#Surah #AL_HADID #আল_হাদীদ الحديد# #সূরা_আল-হাদীদ (আরবি ভাষায়: الحديد) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৫৭ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ২৯ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ৪। সূরা আল-হাদীদ মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
নামকরণ
এই সূরাটির ২৫ নং আয়াতের وَأَنْزَلْنَا الْحَدِيدَ বাক্যাংশের الْحَدِيدَ অংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে حديد (‘হাদীদ’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা
বিষ্ময়কর সূরা আল হাদীদ (লোহা) ও আধুনীক রসায়ন- MIRACULAS SURA AL HADID & MODERN CHEMISTRY
সূধী পাঠক, পবিত্র কোরআন মানুষের ধর্মীয় চিন্তা চেতনা ও জীবন চলার নানা অনুশাষনে পূর্ণ; বিশ্বাসীরা বলে এই কোরআন অলৌকীক অর্থাৎ মহান আল্লার বাণী; অবিশ্বাসীরা বলে এটি নবী মোহাম্মদ লিখেছেন। এখন বিশ্বাসের এই দুই ধারা থেকে সঠিক সত্যটা খুঁজে বের করা কিছু চিন্তাশীল মানুষের দ্বায়িত্ব অর্থাৎ যারা নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে কোরআন গবেষণা করেন; অবশ্য বিশ্বাসীদের দাবী অনুযায়ী পবিত্র কোরআনের স্রষ্টা মহান আল্লাহ নিজেও তেমনটাই দাবী করেছেন এবং অবিশ্বাসীদের দিকে ছূঁড়ে দিয়েছেন এক মহা চ্যালেঞ্জ অর্থাৎ অন্তত একটি সূরা তৈরী করে আনার চ্যালেঞ্জ। সময়ের ক্রমধারায় সেই চিন্তাশীলরা ভাবতে শিখেছে উন্নত পদ্ধতীতে। বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে মানুষের হাতে এসেছে উন্নত যন্ত্রপাতি যা ব্যবহার করে মানুষ আজ পবিত্র কোরআনের সেই চ্যালেঞ্জকে পরীক্ষা নীরিক্ষা করে দেখছেন, যতই এগুচ্ছে গবেষণা ততই বেরিয়ে আসছে বিষ্ময়ের পর বিষ্ময়; আর মানুষের মনে শতভাগ বিশ্বস্ততায় স্থান করে নিচ্ছে মহান স্রষ্টার প্রেরিত পবিত্র কোরআন।
এই আয়াতে মহান আল্লাহ বলছেন,
لَقَدْ أَرْسَلْنَا رُسُلَنَا بِالْبَيِّنَاتِ وَأَنزَلْنَا مَعَهُمُ الْكِتَابَ وَالْمِيزَانَ لِيَقُومَ النَّاسُ بِالْقِسْطِ وَأَنزَلْنَا الْحَدِيدَ فِيهِ بَأْسٌ شَدِيدٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ وَلِيَعْلَمَ اللَّهُ مَن يَنصُرُهُ وَرُسُلَهُ بِالْغَيْبِ إِنَّ اللَّهَ قَوِيٌّ عَزِيزٌ
৫৭:২৫ আমি আমার রসূলগণকে সুস্পষ্ট নিদর্শনসহ প্রেরণ করেছি এবং তাঁদের সাথে অবতীর্ণ করেছি কিতাব ও ন্যায়নীতি, যাতে মানুষ ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি নাযিল করেছি লৌহ, যাতে আছে প্রচন্ড রণশক্তি এবং মানুষের বহুবিধ উপকার। এটা এ জন্যে যে, আল্লাহ জেনে নিবেন কে না দেখে তাঁকে ও তাঁর রসূলগণকে সাহায্য করে। আল্লাহ শক্তিধর, পরাক্রমশালী।
প্রচলিত তরজমায় বলা হয়েছে‘ আর আমি নাযিল করেছি লৌহ, যাতে আছে প্রচন্ড রণশক্তি এবং মানুষের বহুবিধ উপকার’ ; এখানে নাযিল শব্দটি দিয়ে এক বিষ্ময়কর তথ্য দেওয়া হয়েছে; নাযিল শব্দের অর্থ হল পৃথিবীর বাইরে থেকে আগত। ১৪ শত বছর পরের বিজ্ঞান বলছে,বিবর্তনের ধারায় পৃথিবীতে লোহা উৎপাদনের মত পরিবেশ কখনো সৃষ্টিই হয়নি; সম্ভবতঃ লোহা কোন সুপার নোভা বিস্ফোরণ থেকে পৃথিবীতে এসেছে। নিশ্চই এই ধারণা নবী মোহাম্মদ সাঃ ছিলনা! তরজমায় ব্যবহৃত শব্দ রণশক্তির রণ অংশটি আরবী অংশে নেই। তাহলে তরজমা দাঁড়ায় ‘আর আমি নাযিল করেছি লৌহ, যাতে আছে প্রচন্ড শক্তি এবং মানুষের বহুবিধ উপকার ’ ; এখন প্রশ্ন হল, এতগুলি মৌলিক পদার্থ থাকতে মহান আল্লাহ কেন শুধু লোহার আলোকপাত করেছেন? আমরা জানিনা তার সঠিক জবাব তবে পারিপার্শিকতার উপর ভিত্তি করে কিছু যৌক্তিক ধারণা করা যায়, তাই বলা চলে, প্রাণ সৃষ্টিতে যে সকল ধাতব পরমানু প্রয়োজন তার মধ্যে লোহার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশী। হয়তোবা সে কারণেই মহান স্রষ্টা লোহাকে একটু বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন; সম্ভবত একে প্রতিকী করে মহান স্রষ্টা জানাতে চেয়েছেন যে এরই মত স্রষ্টার সৃষ্টিতে অন্যান্ন মৌল গুলোতেও অনুরূপ সমন্বয় রয়েছে। তাছাড়াও আধুনীক পৃথিবীতে ধাতব পদার্থের মধ্যে লোহার ব্যবহার এত বেশী যে, তা অন্য কারোর সাথে তুলনাই চলেনা। আধুনীক সভ্যতায় লোহার অবদান সবচেয়ে বেশী। লোহাকে ব্যবহার করে যাত্রিক শক্তি উৎপাদন ছাড়াও এর মধ্যে আরেকটি বিশেষ গুণ রয়েছে তাহল চুম্বক শক্তি। লোহার একটা বিশেষ প্রজাতির মধ্যে এই শক্তি উৎপন্ন হয় তার স্বকীয় বৈশিষ্ট থেকে। এই শক্তিই আধুনীক সভ্যতাকে অনেক গতিময় করে তুলেছে। তাহলে অকুণ্ঠচিত্তে বলা যায় যে লোহা অতীব শক্তিধর ও উপকারী পদার্থ। লোহার এই শক্তির পরিচয় মানুষ হালে পেয়েছে। পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হওয়ার কালে লোহা মানুষের উপকারী ব্যবহার থেকে অপকারী ব্যবহারই হত বেশী কারণ তা থেকে তৈরী হত যুদ্ধাস্ত্র। লোহার এই উপকারী ব্যবহার আধুনীক বিজ্ঞানের অবদান। অতএব বলা যায় পবিত্র কোরআনে লোহার শক্তি ও উপকারিতা সম্পর্কে বর্ণনা পবিত্র কোরআনের অলৌকিতারই পরিচয়।
----------------------------- Video Disclaimer -----------------------------------------
I have tried to use video backgrounds in various places described in the Holy Qur'an. Since I could not take video footage physically everywhere here, so I have used video footages or frames from different authentic sources. I sincerely apologize! I would try to get better footage on all the places in near future InshaAllah!. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use.
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
Edit by : mahfuz art of nature (mahfuz mizbah uddin)
------------------------------------------------------------------------------------------------------
© 2019 copyright by mahfuz art of nature studio
mahfuz008@gmail.com
❤Thanks for watching.
LIKE |
COMMENT |
SHARE |
& SUBSCRIBE To My mahfuz art of nature KZitem Channel.
Негізгі бет 057) Surah AL HADID | আল হাদীদ الحديد | অনুবাদ | Qari Shakir Qasmi | mahfuz art of nature
Пікірлер: 896