মমতা বন্দোপাধ্যায় কংগ্রেসে থাকার সময় ১৯৯২ সালের
নভেম্বর কলকাতায় ব্রিগেডে বিশাল সমাবেশের ডাক
দিয়েছিলেন৷ সেই ডাকে ঐ ব্রিগেড পরিপূর্ণ হয়ে যায়৷
বাংলার চারিদিক থেকে এই সমাবেশে উপস্থিত হয় নানান
বয়সের সমর্থকেরা৷
আমি তখন ফটোগ্রাফিতে শিক্ষানবিশ একজন
ফটোগ্রাফার৷ উত্তর কলকাতায় বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদে
আমার ফটোগ্রাফি পাঠ শুরু৷ পকেটে সংস্থার পরিচয়পত্র৷
জানতে পারি মমতা ব্রিগেডে সমাবেশের ডাক দিয়েছেন৷
আমি একজন ফটোগ্রাফার হয়ে সাহস করে ঐ সমাবেশের
মঞ্চে উঠেপড়ি৷ তখন পুলিশের অত কড়াকড়ি ছিল না৷
MINOLTA SLR Camera বের করে দিদির বিভিন্ন মুহূর্তের
ছবি তুলতে থাকি৷ এতদিন আমি এই গুলিকে যত্ন করে
আগলে রাখি নিজের কাছে৷
১৯৯২ সালে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের
সময় বিধানসভার নির্বাচনে ভোটে কারচুপি ও ব্যাপক
ছাপ্পা ভোট হত৷ যার ফলে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন
অনেকটাই দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছিল৷
সচিত্র ভোটার কার্ডের দাবীতে মমতা বন্দ্যো-
বন্দোপাধ্যায় মহাকরণ অভিযানে অহিংস সত্যাগ্রহ পদযাত্রা
করেন৷ তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের অধিনস্ত পুলিশ,
মিছিলে গুলি চালায়, যারফলে ১৩ জন যুবক ও যুবতী মারা
যান৷ নর্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার জন্য সচিত্র ভোটার
পরিচয়পত্রের দাবীতে ২১শে জুলাই মহাকরণ অভিযানের ডাক
দিয়েছিলেন তৎকালীন যুব কংগ্রস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
প্রথমে এই কর্মসূচির দিন ঠিক হয়েছিল ১৪ জুলাই৷ সে বছর
ওই সময় প্রাক্তন রাজ্যপাল নুরুল হাসান প্রয়াণের জন্য কর্মসূচি
পিছিয়ে ২১শে জুলাই করা হয়৷ ১৯৯২ সালের এই ঘটনার
পর থেকেই প্রতিবছর এই দিনটিকে “ শহিদ দিবস ” হিসেবে
পালন করা হচ্ছে৷
পরবর্তীকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগেস ছেড়ে
নতুন দল তৃণমূল কংগ্রস তৈরি করেন, প্রতিষ্ঠা হয়
১লা জানুয়ারি ১৯৯৮৷ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান নেত্রী হলেন
মমতা বন্দোপাধ্যায়৷
সেই থেকে তূণমূল কংগ্রেসের যাত্রা শুরু৷
বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত সরকার
হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন৷
Негізгі бет ১৯৯২ ব্রিগেডের বিশাল সমাবেশে মমতা বন্দোপাধ্যায় যে ইতিহাস লিখেছিলেন ২০২৪ এ সাক্ষী থাকবে কি?
Пікірлер: 2