আমরা ছিলাম ৬ ভাইবোন আমি ছিলাম সবার বড়। বাবা ছিলেন কৃষক নিজেদের জমি চাষ করতাম বাবার সাথে আমি কাজ করতাম। বাপ বেটা মিলে সংসারে অভাব দূর করতে পারতাম না। ছোট ভাইবোনরা পড়ালেখা করত ওদের কাউকে ক্ষেতে খামারে নিতাম না যদি পড়ালেখার ক্ষতি হয়। এভাবে দিনের পর দিন কষ্ট করতে লাগলাম কিন্তু কষ্টের দিন শেষ হয় না। একদিন কিছু জায়গা বিক্রি করে পারি দিলাম ইরাক।
সেখানে চার বছর ছিলাম তারপর বাড়িতে আসলাম। এর মাঝে সংসারে অভাব কিছুটা দূর হলো ভাইবোনদের পড়ালেখা ভালো চলছিল। কিছুদিন যাবার পর দেখালাম আবার ও পুরনো দুঃখটা বাড়ির চারপাশে ঘুরছে। আবার পারি দিলাম সিঙ্গাপুর। সিঙ্গাপুর এসে মাত্র কয়েক মাস থাকার পর পারমিট বাতিল করে দিল।
দেশে গিয়ে পরলাম মহাবিপদে যা টাকা ছিল সব শেষ। মা বাবা বললেন বিয়ে করতে, আমি বিয়ে করেনি কারণ ভাইবোন গুলো পড়ালেখা শেষ করে চাকরি পাক আবার বোনদের বিয়ে দেওয়া হয় নাই।
কয়েক বছর পর আবার আসলাম সৌদি আরবে। এর মাঝে কেটে গেল অনেক বছর। ছুটিতে বাড়ি গেলাম বিয়ে করব বলে কিন্ত বিয়ে করতে গিয়ে পরলাম অনেক জামেলায়। বয়স বেশি আর অশিক্ষিত বলে ভাল বাড়িতে বিয়ে করতে পারলাম না।
শেষে কোনো উপায় না পেয়ে গরিবের এক মেয়েকে বিয়ে করলাম তা আবার আমার থেকে অর্ধেক বয়সের। জীবনে খুঁজে পেলাম সুখের ঠিকানা, ভালো কাটছিল ছুটির দিনগুলো মনে হইছিল পৃথিবীতে আমি একজন সুখী মানুষ। ছুটি শেষ করে আবার চলে আসলাম সৌদি আরবে এসে কোনো কিছু ভালো লাগত না।
রাতে ঘুম আসেনা কাজে মন বসে না, বাড়ি যাওয়ার জন্য মন ছটফট করত। মনে মনে ভাবলাম ভাইবোনদের বিয়ে হয়ছে ভালো চাকরি হয়ছে ভাইদের, এখন আমার দায়িত্ব শেষ এই ভেবে একেবারে বাড়ি চলে গেলাম।
আর এটাই ছিল আমার জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল এখন সেই ভুলের মাসুল দিতে হচ্ছে। কিছু দিন যাওয়ার পর দেখালাম চেনা মানুষ গুলো অচেনা হয়ে গেল, যে মা বাবা ভাই বোনদের জন্য এত কষ্ট করলাম তারা যেন আমাকে চিনে না কারণ আমি কেন একেবারে চলে এলাম দেশে।
আর বুঝতে পারলাম এতদিন ওরা আমাকে ভালোবাসেনি, ভালবাসতো আমার টাকাকে। আর মা বাবা আমার কথা শুনতনা ভাইদের কথা শুনত কারণ ওরা মা বাবাকে বেশি যত্ন করত বলে মা আর আমার বৌয়ের সাথে প্রতিদিন লেগে থাকত ঝগড়া। মা বলত আমি বৌয়ের কথা শুনি আর বউ বলত মার কথা, এদিকে বৌয়ের সাথে আমার সম্পর্ক ভালো না, বৌয়ের যেটা ভালো লাগে আবার আমার সেটা ভালো লাগে না।
Негізгі бет Ойын-сауық ২১ বছর প্রবাস জীবন কাটানোর পর এক সৌদি প্রবাসীর দুঃখ গাঁথা সত্যি ঘটনা জানুন !!!
Пікірлер: 392