𝐄𝐒𝐀𝐋-𝐄-𝐒𝐀𝐖𝐀𝐁 ( 𝐁𝐎𝐍𝐆𝐀𝐎𝐍 )
|| ৮০ তম বার্ষিক বনগাঁ ঐতিহাসিক ইসালে ছওয়াব || 𝐌𝐫. 𝐀𝐙𝐳𝐮 ||
:。 🎀 হজরত পীর আল্লামা আবুবক্কর সিদ্দিকী ( রহ: ) স্মরণে । 🎀 。:
ঈদগা ও ইছালে সওয়াব ময়দান এবং খানকাহ শরীফ।
স্থাপিত ( ১৩৫০ ) মতিগঞ্জ বনগাঁ উত্তর 24 পরগনা ইংরেজি ( ১৯৪৪ ).
𝐄𝐬𝐚𝐥-𝐄-𝐒𝐚𝐰𝐚𝐛 (𝐁𝐨𝐧𝐠𝐚𝐨𝐧)
ঈসাল মানে হল, পৌঁছানো।
আর সওয়াব মানেতো সওয়াব, পূণ্য।
তাহলে ঈসালে সওয়াব মানে হল, সওয়াব পৌঁছানো।
প্রচলিতভাবে “ঈসালে সওয়াব” বলা হয়,
মৃত ব্যক্তির জন্য দুনিয়ায় কোন আমল করে সওয়াব পৌঁছানোকে বলা হয়।
এ ঈসালে সওয়াব শুধু অসংখ্য হাদীস দ্বারা নয়, বরং কুরআনে কারীমের আয়াত দ্বারাও প্রমাণিত।
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, ব্যক্তি যখন মারা যায়, তখন তার নেক আমল করার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি পথ ছাড়া। একটি হল, সদকায়ে জারিয়া, দ্বিতীয় হল ইলম, যদ্বারা মানুষ উপকার পায়, এবং তৃতীয় হল, নেক সন্তানের দুআ।
হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি রাসূল সাঃ এর কাছে এসে বলল, আমার আম্মা হঠাৎ ইন্তেকাল করেছেন।[কিছু বলে যেতে পারেননি] আমার ধারণা! তিনি যদি কিছু বলার সুযোগ পেতেন, তাহলে আমাকে তার নামে সদকা করতে বলতেন। তো আমি যদি তার নামে সদকা করি, তাহলে কি এর সওয়াব তিনি পাবেন? রাসূল সাঃ বললেন, হ্যাঁ।
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। এক জুহাইনা এলাকার এক মহিলা রাসূল সাঃ এর কাছে এসে বললেন, আমার আম্মা হজ্ব করার মান্নত করেছিলেন, কিন্তু হজ্ব করার আগেই তিনি ইন্তেকাল করেছেন। আমি কি এখন তার পক্ষ থেকে তা আদায় করবো? রাসূল সাঃ ইরশাদ করলেন, হ্যাঁ, তুমি তার পক্ষ থেকে আদায় কর। তোমার মায়ের যিম্মায় যদি ঋণ থাকতো, তাহলে কি তুমি তা আদায় করতে না? তেমনি এটাও আদায় কর। কারণ আল্লাহ তাআলাই অধিক হক রাখেন যে, তার সাথে কৃত অঙ্গিকার পূর্ণ করা হবে।
হযরত জাবের রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি মারা গেলে আমরা তার গোসল দিলাম। তারপর কাফন পড়িয়ে রাসূল সাঃ এর কাছে নিয়ে এলাম। যেন তিনি তার উপর জানাযা পড়েন। আমরা হযরতকে জানাযা পড়াতে অনুরোধ করলাম। নবীজী সাঃ কয়েক কদম আগে বাড়লেন। তারপর তিনি বললেন, তার উপর কি কোন ঋণ আছে? আমরা বললাম, দুই দিনার ঋণ আছে। একথা শুনে রাসূল সাঃ ফিরে গেলেন। তখন আবু কাতাদা রাঃ বললেন, আমি তা পরিশোধ করে দিব। ঋণের হক আদায় করে তুমি মৃতকে ঋণমুক্ত করবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তারপর রাসূল সাঃ তার জানাযা পড়ালেন। তারপর একদিন পর রাসূল সাঃ জিজ্ঞাসা করলেন, ঋণ কি আদায় হয়েছে? আবু কাতাদা বললেন, তিনিতো গতকাল মারা গেছেন। তারপর একদিন পর আবার জিজ্ঞাসা করলেন। তখন জবাবে বলা হল, আদায় করা হয়েছে। তখন রাসূল সাঃ ইরশাদ করলেন, এখন উক্ত ব্যক্তির আত্মাকে শান্ত করেছো।
হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাঃ এর সাথে ঈদুল আযহায় নামাযে শরীক ছিলাম। যখন খুতবা শেষ হল। তখন তিনি মিম্বর থেকে নামলেন। তারপর তার কাছে একটি ভেড়া আনা হল। তারপর তিনি তা জবাই করলে নিজ হাতে। জবাইকালে বললেন, বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার, এটি আমার এবং আমার ঐ উম্মতীর পক্ষ থেকে যারা কুরবানী করতে পারেনি।
হযরত আব্দুর রহমান বিন আলা বিন লাজলাজ, তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, আমার পিতা আমাকে বলেছেন, হে বৎস! আমি যখন মারা যাবো, তখন আমার জন্য “লাহাদ” কবর খুড়বে। তারপর আমাকে যখন কবরে রাখবে তখন পড়বে “বিসমিল্লাহি ওয়াআলা মিল্লাতি রাসূলিল্লাহ” তারপর আমার উপর মাটি ঢালবে। তারপর আমার মাথার পাশে সূরা বাকারার শুরু এবং শেষাংশ পড়বে। কেননা, আমি রাসূল সাঃ থেকে এমনটি বলতে শুনেছি। [আলমুজামুল কাবীর লিততাবরানী, হাদীস নং-৪৫১, সুনানুল কুবরা লিলবায়হাকী,
হযরত ইবনে উমর রাঃ বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যখন কোন ব্যক্তি মারা যায়, তখন তাকে আটকে রেখো না, বরং দ্রুত তাকে কবরস্ত কর। আর তার কবরের মাথার পাশে দাঁড়িয়ে সূরা ফাতিহা এবং পায়ের পাশে দাঁড়িয়ে সূরা বাকারার শেষ অংশ তিলাওয়াত কর।
চার ইমামগণের নিকট যে কথাটি গ্রহণযোগ্য, তা হল, কুরআনে কারীমের তিলাওয়াতের সওয়াবও মৃতের কাছে পৌঁছে। কেননা, এটি কুরআনে কারীমের হাদিয়া এবং দুআ।যা তিলাওয়াতকালে আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিল হয়। যেহেতু মাইয়্যেতের জন্য সদকা এবং তার জন্য দুআ করলে তা মৃতের কাছে পৌঁছার বিষয়টি হাদীসে নববী দ্বারা প্রমাণিত। এর উপরই উম্মতের ইজমা।
তাই ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে যেসব কাজ করা যায়ঃ
১
মৃতের নামে সদকা করা।
২
কুরবানী করা।
৩
মৃতের জন্য কুরআন তিলাওয়াত করা।
৪
মৃতের জন্য দুআ করা।
৫
ইস্তিগফার করা।
৬
হজ্ব করা।
ইত্যাদি পূণ্যের কাজ করে মৃত ব্যক্তির জন্য ঈসালে সওয়াব করা যায়। যা কুরআন ও হাদীসের মাধ্যমে সুষ্পষ্টরূপে প্রমাণিত।
এটি অস্বিকার করা মানেই হল মূলত কুরআন ও হাদীসকেই অস্বিকার করা। আল্লাহ তাআলা আমাদের মৃত্যুর পরও এমন ঈসালে সওয়াব যেন কবরে থেকে পাই সেই তৌফিক আমাদের দান করুন। আমীন।
Негізгі бет ৮০ তম বনগাঁ ঐতিহাসিক ইছালে ছওয়াব | 𝐄𝐒𝐀𝐋-𝐄-𝐒𝐀𝐖𝐀𝐁 𝐁𝐎𝐍𝐆𝐀𝐎𝐍 | খানকাহ শরীফ ২১, ২২ ও ২৩শে চৈত্র ১৪৩০ |
Пікірлер