বিষয়: অভয়মিত্র ঘাট
ফিরিঙ্গিবাজার মোড় থেকে ডানদিকে চলে যাওয়া রাস্তা ধরে সিটি করপোরেশনের কসাইখানার সামনে দিয়ে নদীর দিকে কিছুদূর গেলে অভয়মিত্র ঘাট। বেশ কিছু কাঠের আড়ত আছে এখানে। এরপর বন্দরের কর্মকর্তাদের আবাসিক এলাকা। বন্দর অফিসার্স কলোনি ফেলে সারদা শঙ্খমার্কা খাঁটি সরিষার তেল কারখানা, বন্দর ইলেকট্রিক সার্ভিস সেন্টার এবং বন কর্মকর্তার কার্যালয়। অভয়মিত্র ঘাট বেশি পরিচিত বেড়ানোর জায়গা হিসেবে। প্রতিদিন বিকেলেই অনেক মানুষ ভিড় করে। এখানকার নদীতে ছোট ছোট জাহাজ, ট্রলার নোঙর করা। সন্ধ্যার পর ভাসমান জাহাজে বাতি জ্বলে ওঠে। পানিতে পড়ে তার ছায়া। ঢেউয়ে যায় ছড়িয়ে। শেষে মিলিয়ে যায়।
ফিরিঙ্গী বাজার নিবাসী রায়বাহাদুর অভয়া চরণ মিত্রের নামের স্মারকরূপে ফিরিঙ্গী বাজারের
নিকটবর্তী কর্ণফুলী নদীর অভয় মিত্রের ঘাটের নামকরণ হয়েছে। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল
ঢাকা জিলার বিক্রম পরগনার কামার পাড়া গ্রামে। তাঁর পিতা ব্যবসা উপলক্ষে চট্টগ্রামে বসতি
স্থাপন করেন। তিনি ফিরিঙ্গী বাজারস্থ পৈতৃক বাস ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। অভয়াচরণ মিত্র
১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে লুসাই যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকারকে খাদ্য সরবরাহ করে প্রভুত অর্থ উপার্জন করেন।
(তথ্যসূত্র : বন্দর শহর চট্টগ্রাম : আহমেদ আমিন চৌধুর)
Негізгі бет অভয়মিত্র ঘাট, চট্টগ্রাম
Пікірлер: 6