অভিধেয় তত্ত্ব প্রসঙ্গের আলোচনা // শ্রী সুমন জানা // 9679100699 // শ্রীধাম নবদ্বীপ
#shyamsundar_kirtan_jagat
#suman_jana
#9679100699
#chaitanya_bhagwat
#chaitanya_charitamrita
#bagwat_katha
#hari_katha
👉সুন্দর তত্ত্বপূর্ন ভাগবত কথা... পুরো ভিডিও টা দেখে ভালো লাগলে অবশ্যই ভিডিও টি Like, Share ও Comment করবেন.
👉সর্বোচ্চ বিস্ময়কর ভক্তিতত্ব:-
"এহো বাহ্য,আগে কহো আর" কোন নিগূঢ় ভক্তিতত্ব বোঝাতে এরূপ বিস্ময়কর উক্তি কহিলেন শ্রীমন্মহাপ্রভু ?
ইহা সকল ভক্তের জানা প্রয়োজন
- ব্রজের রাগানুগা ভজন এক আশ্চর্য মহিমায় বিরাজমান।এখানে সাধনার প্রাপ্তি সর্বোচ্চ আনন্দে পরিপূর্ণ যার কাছে মুক্তি,মোক্ষ বা বৈকুণ্ঠগতি 'এহো বাহ্য ,আগে কহ আর ' - মহাপ্রভুর এই সুদৃঢ় বিচার মুখ্য বিচার্য হয়ে পরে।
সাধকের সর্বোচ্চ ভজন ভাব হল -"কৃপায়া বিতরতং নিজদাস্যম্"
-শ্রীল রূপ গোস্বামী।
প্রথমে কৃষ্ণদাস্য ভাব বর্ধিত হয়ে বিশেষ ভাবের প্রতি আকর্ষণ হয় যাহা সখ্য,বাৎসল,ব্রজ মাধুর্য ও সর্বশেষ রাধারাণীর দাসী হয়ে যুগল সেবা প্রাপ্তি ও তার ফলস্বরূপ যুগল মাধুর্য আস্বাদন- ইহাই সাধন ক্রম।
হরিভজনে মুক্তি বা মোক্ষ তা অনায়াসেই সিদ্ধ হয়ে যায় এবং তা গৌর ভক্তরা স্বীকার করেনা,এমনকি বৈকুন্ঠের বিলাস ঐশ্বর্য্যও ব্রজ অনুরাগী ভক্তকে মুগ্ধ করতে পারেনা।কারণ রাধাকৃষ্ণ যুগল সেবা প্রাপ্তি ও তার মাধ্যমে যুগল মাধুর্য আস্বাদন তার থেকে অনেক কোটি গুনে আনন্দঘন।।
তাই রূপ রঘুনাথ নরোত্তম আদি গোস্বামীদের ভজনে সদা মঞ্জরী স্বরূপে রাধাদাসী ভাবই প্রকাশ পেয়েছে।এই উচ্চ ভাব আজ প্রচারের অভাবে জগতবাসী উপলব্ধি করতে পারছে না।এটা সত্যিই জগতমাঝে জানানোর দরকার আছে।হয়তো সবাই এই উচ্চ ভাব গ্রহণের যোগ্যতা নাই,কিন্তু মনে রাখা দরকার ভজন কৃপাসাধ্য বিষয় -তাই যার হৃদয়ে ভজনের লালসা জাগবে রাধারাণীর কৃপা ঠিকই তার উপর বর্ষিবে -এতে কোনো সন্দেহ নাই।তাই গোস্বামীদের ভজন তত্ব ঠিক ভাবে জানা দরকার -এতে ভক্তদের মনের সংকীর্ণতা কেটে ঐশ্বর্য্য আড়ম্বরে পূর্ণ গৌণ ভজন থেকে মন আরো উচ্চ নিসকিঞ্চন মাধুর্য ভজনে এ অনুরক্ত হবে।
গৌড়ীয় ধারায় যে "সম্বন্ধ","অভিধেয়","প্রয়োজন" তত্ব -তা সঠিক ভাবে উপলব্ধি করা দরকার
আমাদের "প্রয়োজন" তত্ব হল রাধাদাসী হয়ে যুগল মাধুর্য আস্বাদন,
আর তাই "অভিধেয়" তত্ব হল-সেই স্তর প্রাপ্তির জন্য ভজন -মানস সিদ্ধদেহ গোপীভাবে ভজন যা পুরুষ দেহ স্বরূপে কদাপি সম্ভব নয় -"সবে এক সখীগণের হয় অধিকার"/"নিজ মনে সিদ্ধ দেহ করিয়া ভজন রাত্রিদিন চিন্তে রাধাকৃষ্ণ সেবন" চৈ.চ।
আর তার জন্যই সর্বপ্রথম দরকার রাধারাণীর গণে "সম্বন্ধ" স্থাপন অর্থাৎ যিনি রাধারাণীর দাসী মঞ্জরী স্বরূপে ভজন করছেন তাঁর কৃপা ও আনুগত্যে সেই স্বরূপের সম্বন্ধ প্রাপ্তি অর্থাৎ সিদ্ধপ্রণালী ও নিজ গুরুপ্রদত্ত "মঞ্জরী স্বরূপ" প্রাপ্তি ও তার সাথে মূলসেবা,কুঞ্জ,নাম,বয়স তথা একাদশ ভাবরূপ স্বরূপ প্রাপ্ত হওয়া যা রূপ সনাতন নরোত্তম আদি সকল সাধকের সিদ্ধ ভজন স্বরূপে দেখা যায় অসংখ্য ভজন রসগ্রন্থে -ইহাই তো সাক্ষাৎ মহাপ্রভুর মহাদান।
মনে রাখতে হবে গুরুপ্রদত্ত এই মঞ্জরী স্বরূপ মানস ভজনযোগ্য এক চিন্ময় দেহ যার দ্বারা রাধাকৃষ্ণের যুগল সেবা সাধন হয় এবং অন্তিমে "সাধনে ভাবিবে যাহা সিদ্ধ দেহে পাবো তাহা,রাগ পথের এই সে উপায়"-প্রেমভক্তিচন্দ্রিকা।
তাই ব্রজ অনুরাগী বাবাজী বা গোস্বামীবর্গ যাদের এই উচ্চ ভজন প্রনালী, সম্বন্ধ তত্ত্ব প্রাপ্ত আছে ও ভজননিষ্ঠা আছে তাদের কাছ থেকে এই সম্বন্ধ তত্ব স্বীকার করেই এই রাগানুগা ভজনে আমাদের প্রবৃত্ত হতে হবে।।
তাই,এই উচ্চ ভাব কে এড়িয়ে না গিয়ে যত্ন করা প্রয়োজন।তার জন্য সেইসমস্ত উচ্চ ভজনশীল সাধুর সঙ্গ করার জন্য নির্দ্বিধায় সর্বদা ছুটে যাওয়া দরকার।মনে রাখা দরকার লক্ষ লক্ষ সাধনাতেও এই ভাব মিলে না কারন ইহা অতীব নিগূঢ় তত্ব যা উদ্ধব,নারদ,শিব,ব্রহ্মা আদি দেবতাদেরও কাম্য,তাহা আজ কলিযুগ পাবন অবতার গৌর কৃপায় ভক্তগণ লাভ করার সৌভাগ্য প্রাপ্ত হয়েছে।
ভজনের পূর্ণ প্রাপ্তিটাতেই সাধকের লোভ থাকা উচিত যা রাধাদাস্য ভাবের সাথেই ভজন সিদ্ধির দিকে নিয়ে যায়।
মোক্ষ বা সাযুজ্য মুক্তির বিভিন্ন স্তরকে মহাপ্রভু 'বাহ্য ভক্তি' বলিলেন মূলতঃ এই গোপী আনুগত্যময়ী রাধাদাস্য ভাবের উৎকর্ষতা বোঝাতেই,সেখানে সখ্য বা বৎসল ভক্তির চেয়েও রাধাদাস্য ভক্তির উৎকর্ষতা বহু বহু গুন বেশি মাধুর্য-আস্বাদনীয়।।তাই রায় রামানন্দ ও মহাপ্রভুর "এ হো বাহ্য আগে কহ আর" -চৈ.চ,মধ্যখন্ড, এই বিষয়টি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
সকল ভক্তের হৃদয়ে শ্রী গৌরাঙ্গের মহাদান এই রাধাদাস্য ভাব তথা ব্রজের রাগানুগা ভজনের উচ্চ ভাবনা স্থান লাভ করুক এবং গুরু কৃপায় সকল ভক্ত এই মধুর রাগ ভজনে ডুব দিক - এই প্রার্থনা করি।
রাধে রাধে।
Негізгі бет অভিধেয় তত্ত্ব প্রসঙ্গের আলোচনা // শ্রী সুমন জানা // 9679100699 // শ্রীধাম নবদ্বীপ
No video
Пікірлер: 32