হেথায় খুঁজি হোথায় খুঁজি সারা বাংলাদেশে, কবি তাঁর মায়ের হারিয়ে যাওয়া সোনার নোলক ফিরে পেতে এমন হন্যে হয়ে বেড়ানোর কথা বলেছিলেন। নোলক নয়, খোদ বাবা-মা’র দেখা পেতে ১৪ দিন ধরে বাংলাদেশ ঘুরলেন নেদারল্যান্ডসের দুই তরুণী। হতাশ হলেও আশা ছাড়েননি তারা। আবার আসবেন, আবার খুঁজবেন জন্মদাতা-জন্মদাত্রীকে। ৮০’র দশকে ছিন্নমূল শিশু হিসেবে বাংলাদেশ ছাড়লেও পাসপোর্টে পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা না থাকায় দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে তাদের অপেক্ষা।
রিয়া নোয়েল ও কুসুম ফরিদা। নামেই বোঝা যায় খানিকটা। নেদারল্যান্ডসের পাসপোর্ট নিয়ে ঢাকায় এলেও তাদের জন্ম এই বঙ্গ-দেশেই। ৮০’র দশকের শুরুতে ছিন্নমূল শিশু হিসেবে তাদের নিয়ে যায় একটি ডাচ সংগঠন। বেড়ে ওঠে সেদেশের দু’টি দম্পতির কাছে। আদি পাসপোর্টের সূত্র ধরে জন্মদাতা বাবা-মা’কে খুঁজতে ঢাকায় আসেন এই দুই তরুণী।
প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছেন রিয়া। অভিভূত এখনাকার গ্রামীণ পরিবেশ, ভিন্ন ধরনের খাবারে । তবে, যে রক্তের টানে এখানে আসা, তাতো থেকে গেলো অজানাই। জন্মদাতা বাবা-মা’র টান থাকলেও নেই পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা। রিয়ার বাংলাদেশি পাসপোর্টের ঠিকানা- চট্টগ্রামের পটিয়ার দোহাজারি। এর বাইরে শুধু একটি তিনমাসের শিশুর ছবি!
মূল পাসপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, ফরিদার বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাসদা-বড়গোপাল গ্রামে। তার হাতেও নেই এর বেশি তথ্য। ঠিকানা না থাকলেও জনক-জননীর খোঁজ তাড়িত করে তাকে। এ বয়সেই দু’বার এলেন বাংলাদেশে, এবারও হয়নি কূল-কিনারা।
কবির মতো হয়তো শঙ্খচিল শালিকের বেশে নয়, এই বাংলায় আবারও আসবেন রিয়া-ফরিদা। বারবার খুঁজে বেড়াবেন বিনা দোষে হাঁরিয়ে ফেলা বাবা-মাকে। প্রত্যাশা, একদিন মিলে যাবে নাড়ির টানের মর্যাদা।
Негізгі бет বাবা-মা’র দেখা পেতে ১৪ দিন ধরে বাংলাদেশ ঘুরলেন নেদারল্যান্ডসের দুই তরুণী
Пікірлер: 289