সৈয়দ আব্দুল হাদী- বাংলা গানের অন্যতম প্রবাদ পুরুষ, জীবন্ত কিংবদন্তি। যাকে বলা হয় সংগীতের বটবৃক্ষ। অসংখ্য জনপ্রিয় গান কন্ঠে ধারন করে সমগ্র বাংলাদেশের পথে-প্রান্তরে, ঘাটে-মাঠে, গ্রাম-গঞ্জ-শহরের আনাচে কানাচে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। আধুনিক, দেশাত্মবোধক ও চলচ্চিত্রে গাওয়া তাঁর অধিকাংশ গানই গেঁথে আছে ভক্ত-শ্রোতার মনে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার শাহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই শিল্পী। বাবা ছিলেন সংস্কৃতিমনা, নিজে প্রচুর গান শুনতেন ও গান গাইতেন। বাবার গান ও গ্রামোফোন শুনেই তিনি গানের প্রতি অনুরাগী হয়ে উঠেন। এক সময় গুনগুন করে গানও তোলেন কণ্ঠে। আর এভাবেই তার সংগীতের চর্চা শুরু।
ষাটের দশক থেকে শুরু হয়েছিল সৈয়দ আব্দুল হাদীর গানের ক্যারিয়ার, যা অব্যাহত আছে এখনও। ১৯৫৮ সালে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন উর্দু সিনেমা” ইয়ে ভি এক কাহানি” চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার মধ্য দিয়েই হয়েছিলো তাঁর সিনেমায় গান গাওয়ার সূচনা। পরবর্তীতে ১৯৬৪ সালে, প্রথম বারের মতো বাংলা সিনেমায় গান গেয়েছেন তিনি। এরপর থেকেই আব্দুল হাদী’র নাম ছড়িয়ে পড়তে লাগলো সাধারণ মানুষের মুখে মুখে, গেয়ে গেলেন একের পর এক কালজয়ী গান।
সৈয়দ আব্দুল হাদীর গায়কি শুধু স্বতন্ত্র নয়, গান নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তিনি বরাবরই স্বকীয়তার পরিচয় দিয়েছেন। বাণীসমৃদ্ধ গানেই তাঁর ঝোঁক আজীবন। তাই তো তাঁর কণ্ঠে চটুল কথার গান শোনা যায়নি। তারপরও জনপ্রিয়তার দিক থেকে তিনি কারও চেয়ে কম নন। সিনেমার গানে তার আধিপত্য চোখে পড়ার মতো। অসংখ্য সুপারহিট গান গেয়েছেন, যা আজও মানুষের মুখে মুখে।
সৈয়দ আব্দুল হাদীর গাওয়া কালজয়ী অনেক দেশের গানই শ্রোতাদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রাম এর সময়ও গান দিয়ে উদ্যমী করে তুলেছেন আপামর জনতা কে।অন্যান্য অনেক শিল্পীর সঙ্গে অসহযোগ আন্দলোনের সময় “বিক্ষুব্ধ শিল্পী সমাজ” নামে একটি সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন।
চলচ্চিত্রের কণ্ঠশিল্পী হিসেবেই সৈয়দ আবদুল হাদীকে সবাই চেনেন-জানেন। এছাড়া তিনি রবীন্দ্রসংগীত গেয়েও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত হয় সৈয়দ আবদুল হাদীর প্রথম রবীন্দ্র সংগীতের একক অ্যালবাম ‘যখন ভাঙলো মিলন মেলা’।
ব্যক্তিগত জীবনে গানের বাইরের জগতেও একজন সফল মানুষ তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় মাষ্টার্স পাশ করার পর তিন বছর অধ্যাপনা করেছেন জগন্নাথ কলেজে । এরপর বাংলাদেশ টেলিভিশনে যোগ দেন। বিটিভির প্রথম চারজন প্রডিউসারের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন। লন্ডনে ওয়েল্স ইউনিভার্সিটিতে প্রিন্সিপাল লাইব্রেরিয়ান হিসেবে অবসরকালীন দায়িত্ব পেয়েছিলন সৈয়দ আবদুল হাদী।
সংগীতের প্রতি শ্রদ্ধা ও অক্লান্ত পরিশ্রম তাকে বাংলা গানে খ্যাতির শীর্ষে পৌছে দিয়েছিল।সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্যে সৈয়দ আব্দুল হাদী অর্জন করেছেন অসংখ্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননা। ২০০০ সালে,সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘একুশে পদক’পেয়েছিলেন এই বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী। চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকের জন্য পাঁচ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়াও ২০০০ সালে একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন। কিন্তু তিনি মনে করেন, তার সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে তার কাজ দিয়ে মানুষের অন্তরে প্রবেশ করতে পারা, মানুষের অন্তুরকে স্পর্শ করতে পারা।
(Samanata 6 August 2021)
===================
if you have any concern or copy rights issues on this video, please send me an email or Facebook massage, your contain will be remove within 24 hours.
** to Copywriter owner:**
If any part of the contents of this channel is that your property as a musician, label, image distributor or artist, please send me a message and your content will be removed within 24 hours.
PLESE DO NOT FLAG MY CHANNEL.
Thank you with Best regards.
===============(Copyright Disclaimer)=============
COPYRIGHT DISCLAIMER UNDER SECTION 107 OF THE
COPYRIGHT ACT 1976
.
Copyright Disclaimer Under Section 107 of the Copyright
Act 1997, allowance is made for “fair use” for purposes
such as criticism, news reporting, teaching,
scholarship, and research. Fair use is a use permitted by
copyright statute that might otherwise be infringing. Non-
profit, educational or personal use tips the balance in
the favour of fair use.
Fair Use Disclaimer
===============
This channel may use some copyrighted materials without specific authorization of the owner but contents used here falls under the “Fair Use” as described in The Copyright Act 2000 Law No. 28 of the year 2000 of Bangladesh under Chapter 6, Section 36 and Chapter 13 Section 72. According to that law allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use.
“I am hereby declared that all images and animations are used to make this content from google search www.google.com. Usage rights: "free to use, share or modify.”
☎ CONTACT : email or
Facebook:
www.facebook.c...
Негізгі бет আবদুল হাদী | সুপার হিট সিনেমার গান
Пікірлер: 2