মিত্র মুস্তাফিদের ইতিহাস
---------------------------------------
প্রায় ৪০০ বছর আগের কথা। নদিয়া জেলার শান্তিপুরের প্রখ্যাত গুরুমশাই মোহন মিত্র ও তার চার ভাই সপরিবারে নদীয়ার টেকা গ্রাম থেকে উঠে এসে রাণাঘাট থেকে আড়াই ক্রোশ দূরে উলা- বীরনগর গ্রামে বসবাস শুরু করেন। মোহন মিত্রের পুত্র শ্রী রামেশ্বর মিত্র ছিলেন খুব উচ্চ-শিক্ষিত ও প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব, তখন বাংলার নবান ছিলেন নাবাব মুরশিদকুলি খান এবং বাংলার গভর্নর পদে ঔরঙ্গজেবের মামা শাইস্তা খান। রামেশ্বর মিত্র বাবার পন্ডিতির পেশা ছেড়ে বাংলার নবাব মুর্শিদকুলী খাঁ ও শাইস্তা খানের কোষাধ্যক্ষ এবং হিসাবরক্ষকের চাকরি নেন। । দিল্লীর সিংহাসনে তখন বসে আছেন মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব (১৬১৮ - ১৭০৭)। ১৭০৪ সালে কাজের পারদর্শিতার জন্যে সম্রাট ঔরঙ্গজেব খুশি হয়ে রামেশ্বরকে ‘মুস্তাফি’ উপাধি দান করেন, সাথে স্মারকচিহ্ন এবং উপহার হিসাবে একটি সোনার পাঞ্জা (সম্রাটের ডানহাতের তালুর ছাপ)। পরবরতিকালে তিনি নদীয়ার রাজার থেকে জমিদারী এস্টেট খরিদ করেন।
রামেশ্বর মিত্র মুস্তাফির বড় ছেলে শ্রী রঘুনান্দন মিত্র মুস্তাফি পরবর্তীকালে চলে আসেন হুগলী জেলার বলাগড় শ্রীপুর গ্রামে এবং এখানে নিজের জমিদারি শুরুকরে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন এবং ক্রমে নির্মাণ করেন এই সব সুন্দর স্থাপত্য যেমন রাধাগোবিন্দ মন্দির, রাস মোলমঞ্চ, চণ্ডী মণ্ডপ আরও অনেক।
রামেশ্বর মিত্রের চতুর্থ পুত্র অনন্তরাম মিত্র মুস্তাফির সুখারিয়া হুগলী নদীর পশ্চিম পারে বলাগড় আর সোমরাবাজারের মধ্যে অবস্থিত ছোট্ট একটি গ্রামে চলে আসেন। এবং এখানে নিজের জমিদারী শুরু করেন। গ্রামটিতে মোট চারটি উল্লেখযোগ্য মন্দির প্রাঙ্গণ আছে, যার সবকটিই মিত্র-মুস্তাফিদের।
#travelvlog #banglavlog #balagarh #tourism #historyofbengal #history #hooghly
Негізгі бет Balagarh & Sripur Tour || History of Mitra Mustafi || Radha Gobinda Temple|| Bengali Vlog||
Пікірлер: 12