১৯১৯ সালের ১৫মে রাজশাহী জেলার মাতুলালয়ে জন্ম গ্রহণ করলেন চারু মজুমদার। বাবা বীরেশ্বর মজুমদার ছিলেন ধনী মধ্যস্বত্ত্বভোগী। অথচ সেই পরিবারেই চারু মজুমদারের জন্মটা যেন খানিকটা দৈত্যকূলে প্রহ্লাদের মতো, অন্তত আজ সরকারিভাবে জমিদারি ব্যবস্থার অবলুপ্তির পর একথা বলাই চলে। ১৯৩৩ সালে শিলিগুড়ি বয়েজ স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করে ভর্তি হলেন পাবনা এডোয়ার্ড কলেজে। আর এমন সময়েই এল তেভাগা আন্দোলনের ঝড়। সেটা ১৯৩৬ সাল। মজার ব্যাপার হল, তেভাগা আন্দোলন শুধু হাড়-হাভাতে চাষাদের আন্দোলন হয়ে থাকল না। তার সঙ্গে জড়িয়ে পড়লেন চারু মজুমদার নিজেও। আর জলপাইগুড়ি জেলায় দায়িত্ব নিয়ে ফিরে এলেন।
চল্লিশের দশকের শুরু থেকেই কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে তাঁর চিরস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেল। আরেক পার্টিকর্মী লীলা সেনগুপ্তের সঙ্গে বিবাহ হল ১৯৫২ সালে। না, অন্দরমহলের বন্ধ দরজায় বিপ্লবের আগুন নিভে যায়নি। দুই মেয়ে এবং এক ছেলেকে নিয়ে ছোট্ট একটি সংসার দুজনের। দুজনেরই তাতে সমান দায়িত্ব। কখনও পার্টির কাজে লীলা মজুমদার বাইরে থাকলে চারু বাবু মেয়েদের চুল আঁচড়ে দিয়েছেন। রান্না করে খেতে বসিয়েছেন। আবার দিনরাত গ্রামেগঞ্জে ঘুরে বেড়ানোই যেখানে চারু মজুমদারের স্বভাব, সেখানে রোজগারের দায়িত্বও যে বেশিরভাগতাই লীলা মজুমদারের উপর এসে পড়বে, সেটাই স্বাভাবিক। বোধহয় বিপ্লবীদের সংসারই এমন হয়
#viralvideo
#biography
#bangla
#politics
#charumajumdar
#westbengal
Негізгі бет Ойын-сауық বিতর্কিত রাজনীতিবিদ চারু মজুমদার এর জীবন কাহিনী | Charu Majumdaar | বাংলা
Пікірлер: 486