বাংলা ব্যাকরণের 'ধ্বনিতত্ত্ব' অধ্যায়টি হচ্ছে ব্যাকরণ শেখার মূল দরজা। এই দরজা দিয়ে প্রবেশ না করে, অন্য কোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করলে ব্যাকরণকে ভালোভাবে জানা যাবে না। সন্ধি, প্রত্যয়, উপসর্গ বা সমাস যাই পড়ি না কেন; এগুলো ভালোভাবে পড়ার জন্য ব্যাকরণের প্রাথমিক জ্ঞান থাকাটা অতীব জরুরি। আর তাই 'ধ্বনিতত্ত্ব' অধ্যায়ের গুরুত্ব অপরিসীম।
ধ্বনিতত্ত্বের একটি বিশাল অংশ হচ্ছে ব্যঞ্জনবর্ণ। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের যদি জিজ্ঞেস করা হয় ব্যঞ্জন বর্ণ কয়টি? এক বাক্যে সবাই উত্তর করে দিবে ৩৯টি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে ব্যঞ্জনধ্বনি কয়টি জিজ্ঞেস করলেও এই একই উত্তর পাওয়া যায় ৯০% শিক্ষার্থীর কাছে। একই রকম আরেকটি প্রচলিত ভুল হচ্ছে বর্গীয় বর্ণ ২৫টা, বর্গীয় ধ্বনিও ২৫টা। আর এটা তো স্বীকৃত ভুল যে উষ্ম বর্ণের অপর নাম শিস বর্ণ।
তাছাড়া স্পর্শ ব্যঞ্জন বা স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন নিয়েও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা ঝামেলার সৃষ্টি হতে দেখা যায়। এটার অবশ্য অনেক কারণ আছে। স্পর্শ ব্যঞ্জনধ্বনি বা স্পৃষ্ট ব্যঞ্জনধ্বনির সংখ্যা একেক বইতে একেক রকমভাবে দেওয়া। আমি ভিডিয়োতে পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিয়েছি যে অপশনে কোনটি থাকলে কী করবেন।
মূলত ব্যঞ্জন বর্ণ আর ব্যঞ্জনধ্বনি এক নয়। ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্যের কারণেই ব্যঞ্জনধ্বনি ও ব্যঞ্জনবর্ণের মধ্যে এই পার্থক্যের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা যা উচ্চারণ করি ব্যাকরণের ভাষায় সেটাকে আমরা বলি 'ধ্বনি'। আর আমরা যেটা লিখে প্রকাশ করি ব্যাকরণের ভাষায় আমরা সেটাকে বলি 'বর্ণ'। এভাবেও বলা যায় যে ধ্বনির লিখিত রূপকেই বর্ণ বলে। এখন আবার অনেকে চিন্তা করে, "ধ্বনির লিখিত রূপকে বর্ণ বলে" তার মানে, "বর্ণের উচ্চারিত রূপকে ধ্বনি বলে।" তাহলে ব্যঞ্জন বর্ণ যদি ৩৯টি হয় তো ব্যঞ্জন ধ্বনি কেনো ৩৯টি নয়?
আসলে মোট ব্যঞ্জন বর্ণের মধ্যে ৯টি বর্ণ আছে যে বর্ণগুলোর স্বতন্ত্র কোনো উচ্চারিত রূপ অর্থাৎ ধ্বনি নেই। অন্য কোনো ধ্বনির সাহায্যেই ঐ ৯টি বর্ণের উচ্চারণ করা যায়। তাই ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা ৩৯টি হলেও ব্যঞ্জন ধ্বনির সংখ্যা জিজ্ঞেস করলে উত্তর হবে ৩০টি।
[রেফারেন্স : বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ অভিধান (১ম খণ্ড)]
ফেসবুক গ্রুপে এটা নিয়ে আমার একটি পোস্টও করা আছে। সেখানে বাংলা একাডেমির অভিধানের পৃষ্ঠার ছবিসহ দেওয়া আছে। চাইলে সেটাও পড়ে নিতে পারেন।
লিংক - / 2454891891507619
আজকের ভিডিয়ো ক্লাস থেকে আমরা অবর্গীয় ব্যঞ্জনের খুঁটিনাটি সব তথ্য যেমন: উষ্ম বর্ণ, উষ্ম ধ্বনি, শিস বর্ণ, শিস ধ্বনি, অন্তঃস্থ বর্ণ, অন্তঃস্থ ধ্বনি, তাড়নজাত বর্ণ, তাড়নজাত ধ্বনি, পার্শ্বিক বর্ণ, পার্শ্বিক ধ্বনি, কম্পনজাত বর্ণ, কম্পনজাত ধ্বনি, তরল বর্ণ, তরল ধ্বনি, পরাশ্রয়ী বর্ণ, অযোগবাহ বর্ণ ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারব।
'ধ্বনিতত্ত্ব' নিয়ে আমাদের ভিডিয়োগুলোর লিংক ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করা হলো। ধ্বনিতত্ত্ব অধ্যায়ের সমস্যা সমাধানের জন্য এই ভিডিয়োগুলোও দেখতে পারেন। আশা করি, আমাদের ভিডিয়োগুলো আপনাদের ব্যাকরণ দক্ষতাকে আরও মজবুত করবে।
ভাষার / শব্দের / বাক্যের উপাদান ও উপকরণ মনে রাখার সহজ উপায় | বাংলা ব্যাকরণ | F. M. Shariyer Firoz
লিংক - • ভাষার / শব্দের / বাক্য...
বাংলা অক্ষরের A 2 Z (অক্ষর নির্ণয়ের সহজ টেকনিক) | বাংলা ব্যাকরণ | F. M. Shariyer Firoz
লিংক - • বাংলা অক্ষরের A 2 Z (অ...
স্বরধ্বনি ও স্বরবর্ণ (সকল তথ্যের বিস্তারিত ব্যাখ্যা) | বাংলা ব্যাকরণ | F. M. Shariyer Firoz
লিংক - • স্বরধ্বনি ও স্বরবর্ণ (...
ব্যঞ্জনবর্ণ (পর্ব - ১) | ব্যঞ্জনধ্বনি ও ব্যঞ্জনবর্ণ | বাংলা ব্যাকরণ | F. M. Shariyer Firoz
লিংক - • ব্যঞ্জনবর্ণ (পর্ব - ১)...
ব্যঞ্জনবর্ণ (পর্ব - ২) | বর্গীয় ব্যঞ্জনবর্ণ | স্পর্শ ব্যঞ্জন | বাংলা ব্যাকরণ | F. M. Shariyer Firoz
লিংক - • ব্যঞ্জনবর্ণ (পর্ব - ২)...
ব্যঞ্জনবর্ণ (পর্ব - ৩) | অন্তঃস্থ ধ্বনি | উষ্ম ধ্বনি | শিস ধ্বনি | পরাশ্রয়ী বর্ণ | বাংলা ব্যাকরণ
লিংক - • ব্যঞ্জনবর্ণ (পর্ব - ৩)...
ব্যঞ্জনবর্ণ (পর্ব - ৪) | নাসিক্য ধ্বনি ও নাসিক্য বর্ণ | বাংলা ব্যাকরণ | F. M. Shariyer Firoz
লিংক - • ব্যঞ্জনবর্ণ (পর্ব - ৪)...
Негізгі бет ব্যঞ্জনবর্ণ (পর্ব - ৩) | অন্তঃস্থ ধ্বনি | উষ্ম ধ্বনি | শিস ধ্বনি | পরাশ্রয়ী বর্ণ | বাংলা ব্যাকরণ
Пікірлер: 312