আমার কৈফিয়ত (পুনঃ প্রচার), চীনের দেয়াল।
---------------------------------------------------------------
মহা পাঁচিলের উপর গত দেড়বছর আগে আমি ছেঁড়া ছেঁড়া বেশ কিছু আনকাট ভিডিও তাৎক্ষণিকভাবে দিয়েছিলাম। তাতে অনেক ভুলভ্রান্তি ছিলো যা কোনোভাবে এড়ানো যায়নি ভিডিও প্রসাধনী বা জ্ঞানের অভাবে। যেমন করে একটি অভাবী, হত দরিদ্র অথচ সুন্দরী গ্রাম্য কিশোরীকে আধুনিক রূপচর্চার প্রসাধনী বিনা তার অপ্সরা সৌন্দর্য উজালা দেখায়না। অথচ আধুনিক শহরে সামান্য রূপচর্চাতে একটি ন্যাড়া ও কৃষ্ণ খেঁদি-পেঁচিও হয়ে যায় মুহূর্তে নয়নকাড়া সুন্দরী। যেমন করে বাংলাদেশের ৯০% নারী ও মেয়েরা মেকআপের নামে পার্লারে গিয়ে গায়ে-মুখে ঘন উজ্জ্বল রঙের ডিস্টেম্পার লেপে বাইরের জগৎকে জঘন্যভাবে প্রবঞ্চিত করে। আমিও তেমনি সামান্য ভিডিও কাঁটা-ছেঁড়া ও জোড়া-তালি দেয়া শিখে ইদানীং বাংলাদেশী ডিস্টেম্পার মাখা প্রতারক-সুন্দরীদের মত চেষ্টা করছি আমার ভিডিও-ভক্তদের নজর কাড়তে। তবে আপ্রাণ চেষ্টা করেও এই ১৭.৫মিনিটের ভিডিওটিতে আমি তা পারিনি, বারবার ডিস্টেম্পার-হীন চীনের মহা-পাঁচিলের সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেরিয়ে আসতে চাইলো আমার কাঁচা হাতের ফাঁক দিয়ে। আকাশ-ভিডিও (Aerial view) এবং মিউজিক ছাড়া বাকি সব ভিডিও ফুটেজ আমার সৃষ্টি। আমার ধারা বিবরণী ছিলো অনসাইট এবং তাৎক্ষণিক, কোনো ধারা বর্ণনা পরে ভেরো স্টুডিওতে সংযোজন করা হয়নি। বাকিটা তোমাদের উপর ছেড়ে রাখলাম বন্ধুরা।
চীনের মহাপ্রাচীর (ইংরেজি: The Great Wall of China; পাথর ও মাটি দিয়ে তৈরি দীর্ঘ প্রাচীর সারি। এগুলি খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতক থেকে খ্রিস্টীয় ১৬শ শতক পর্যন্ত চীনের উত্তর সীমান্ত রক্ষা করার জন্য তৈরি ও রক্ষাণাবেক্ষণ করা হয়। এরকম অনেকগুলি প্রাচীর তৈরি করা হয়েছিল, তবে ২২০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে চীনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াঙের অধীনে নির্মিত প্রাচীরটিই সবচেয়ে বিখ্যাত।[১] এটি বর্তমান প্রাচীরের অনেক উত্তরে অবস্থিত এবং এর খুব সামান্যই অবশিষ্ট আছে। বর্তমান প্রাচীরটি মিং রাজবংশের শাসনামলে নির্মিত হয়।
চীনের মহাপ্রাচীর মানুষের হাতে তৈরি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্থাপত্য। এই প্রাচীর প্রায় ৫ থেকে ৮ মিটার উচু এবং ৮৮৫২ কিলোমিটার লম্বা। এটি শুরু হয়েছে সাংহাই পাস এবং শেষ হয়েছে লোপনুর নামক স্থানে।
এর মূল অংশের নির্মাণ শুরু হয়েছিল প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ২০৮ সালের দিকে। নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলেন চৈনিক বা চাইনিজরা কিং সাম্রাজ্যের সময়। চীনের প্রথম সম্রাট কিং সি হুয়াং (Qin Shi Huang) এটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন এবং শত্রুর হাত থেকে নিজের সম্রাজ্যকে রক্ষার জন্য দীর্ঘ করে নির্মাণ করেছিলেন। এটি চীনের প্রকৃতিক বাঁধাগুলো ছাড়া অন্যান্য অঞ্চল পাহারা দেওয়ার কাজে এবং উত্তর চীনের উপজাতি সুইং নু (the Hsiung Nu (the Huns)) বিরুদ্ধে এটি প্রথম স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল।
হান, সুই, নরদান এবং জিং সাম্রাজ্যের সময়ের ইতিহাসেও যে কারণে তারা এটি তৈরি করেছিলেন ঠিক একই কারণে চীনের প্রাচীরের পরিবর্ধন, পরিবর্তন, সম্প্রসারণ, পুনঃনির্মাণের উল্লেখ আছে।
বন্ধুরা গত ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০১৭ আমি ও আমার স্ত্রী ভেরোনিকা পুরোদিনের জন্যে বেইজিং থেকে ৯২কিমি দূরে মুতিয়ানা নামক একটি স্থানে যাই বিখ্যাত এয়ার মহা প্রাচীরের কিয়দংশ দেখার জন্যে। দিনভর অনেক ছবি তুলেছি এবং বেশ কয়েকটি ভিডিও করেছিলাম। ক্যামেরায় বরাবরের মত ছিল ভেরোনিকা।
------------------------------------------------------------------------------------------
কেন আমি 'অমানুষ', কেনো আমি ভিন জগতের প্রাণী
--------------------------------------------------------------------------------
প্রিয় বন্ধুরা, নিজেকে সগর্বে 'অমানুষ' এবং ভিন জগতের প্রাণী বলে কেন আমি দাবি করছি যারা এটি বুঝবেন আমার বিশ্বাস তারা আমার কাছে এই 'অমানুষ' শব্দটির ব্যাখ্যা চাইবে না, আর যারা বুঝছে না এবং এর ব্যাখ্যা চাইবে, তদেরকে আমার ব্যাখ্যা সহজ বাংলাতে খুঁটে খুঁটে বুঝিয়ে বললেও তারা বুঝবে না বন্ধু। তাতে আমার সময় নষ্ট হবে বেহুদা। আমার কথা বা আমার ব্যাখ্যা শুনলে ওদের মাথার মগজ মোমের মত গোলে গোলে ওদের পেটে চলে যাবে যা ওদের জন্যে মোটেই ভালো নয়। তাতে ওদের মগজ ছোট থেকে আরো ছোট হবে এবং সে সাথে গলিত মগজ নিচে নেমে ওদের পেট বড় করে দেবে এবং 'ঐটা' আরো ছোট হয়ে যাবে। তার চে ওদেরকে আমার ব্যাখ্যা না দেয়াই শ্রেয়। আবারো বলছি বন্ধু, 'তুমি এবং তোমরা যারা আমার এই অমানুষ শব্দটির দাবী টি বুঝোনা তারা সকলেই 'মানুষ', তাদের 'হাতে ধরি, পায়েও পড়ি, প্লীজ আমি নিজের গ্রহে (তোমাদের এই হোম গ্যালাক্সিতে নয়) ফেরার আগ পর্যন্ত আমাকে এভাবে 'অমানুষ' হয়ে তোমাদের জগতে বাকি কয়টা দিন থাকতে দাও। সহস্র কোটি মানুষের মাঝে আমি নিজেকে গর্বিতভাবে 'অমানুষ' মনে করি। আল্লাহ হু আকবার।
Негізгі бет চীনের মহা প্রাচীর, The Great Wall, China.
Пікірлер: 95