ঢাকার খুব কাছ দিয়ে বয়ে যাওয়া বংশী নদীতে কোন রোদেলা দিনে যদি সাতার কাঁটতে নামেন ঝুম বর্ষার দিনে, কে জানে, আপনার সাথে দেখা হয়েও যেতে পারে এই সবুজ সোনালির মিশেলের সুন্দর মাছটির বিশাল কোন ঝাঁকের।
এই সুন্দর, অতি সুন্দর মাছটি হল দেবরি বা লাউপুঁটি। ইংরেজি নাম Sind Danio. বৈজ্ঞানিক নাম Devario devario.
এরা চমৎকার অর্নামেল্টাল ফিশ - জলজ গাছ সমৃদ্ধ একুয়ারিয়ামে অত্যন্ত সুন্দর লাগে। যদিও এরপরেও এদের নিয়ে মানুষের তেমন আগ্রহ নেই। দেশী শুনলেই বাঙালি হবিইস্টের আগ্রহ চলে যায়।
এরা সাধারণত পানির উপরিভাগে বাস করে৷ এদের আকার ৫ সেমি থেকে একটু বেশি। ফিশবেস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এদের অনুকূল তাপমাত্রা ১৫-২৬ °C, হার্ডনেস ৫-১৯ dH এবং পিএইচ ৬-৮। আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষনে এদের রঙ নির্ভর করে pH এর উপর অনেকটা, খাবারে প্ল্যান্টস ম্যাটার আরেক উপায়।
বাংলাদেশে এদের সংখ্যা ভয়াবহ ভাবে কমেছে, কারন সবার জানা। কি ধরনের ভয়াবহ চায়না দুয়ারী আর কারেন্ট জালে এদের পোনা পর্যন্ত আটকে যায়। সেসব জেলেরা ফেলেই দেয় যদিও। দেশের কথিত মন্সটার ফিশকিপারদের বিদেশি মন্সটারদের খাদ্য চাহিদা মেটাতে এদের লাখে লাখে ধরা হয়। এইটা আপনার শুনলে অবাক লাগে, আমি জানি না। যে যে কেউ ই জানেন কাটাবনের। সেখানে অবশ্য এদের সিলভার টেট্রা নামে বে'চা হয়৷
বাংলাদেশে এদের পাওয়া যায়, ঢাকার কাছের বংশী নদীতে, রাজশাহীর পদ্মা, সুনামগঞ্জের হাওরগুলো, যশোরের চিত্রা, আত্রাই সহ আরো অনেকখানেই। প্লাবনভূমির মাছ এরা। কীটনাশক আর রাসায়নিক সার ব্যবহারের জন্য এদের বিশাল হ্যাবিট্যাট পুরাই লস হয়ে গেল।
বাংলাদেশ - ভারত - আসাম মিলিয়ে অসংখ্য নাম প্রচলিত - বাঁশপাতা, চেবলী,, ধরি, ,অঞ্জু, দেবারি (Debari),বাঁশপাতা, পাতুকরই,, খঞ্চে, ,মল্লি, , পুরান্দাহ, পাথা, মুখনি, বঙ্কুয়াসো, , চাপচেলা, বানসপাতা, ছিবলি - এতগুলো নাম দেখেই ধরে নিতে পারেন এক সময় বাংলায় এদের অসংখ্য নাম প্রচলিত ছিল।,এখন এদের কেউ চেনেই না - এর কারন বুঝতে কারই খুব মাথা ঘামাতে হবে না, এরা হারিয়ে যাচ্ছে দ্রুত,খুব দ্রুত
Негізгі бет দেবরি l Devario devario.
Пікірлер: 11