অঘুম দৈত্য ধরে নিয়ে গেছে দস্যি মেয়ের মা-বাবাকে। দস্যি মেয়ে কি পারবে তাদের উদ্ধার করে আনতে? এই গল্প নিয়ে আমাদের ছোট্ট পরিবেশনা - দস্যি মেয়ে ও অঘুম দৈত্য।
এটার একটা পটভূমি আছে। বহুদিন থেকে আমার মাথায় একটা সুর গুনগুন করে। কেল্টিক মিউজিক শুনতে শুনতে এই সুরটা তৈরি করেছিলাম। সুরটা আমার খুব প্রিয় কিন্তু তার জন্য কোনো গান নেই। কোনো কথা বসাতে ভালো লাগে না। সুরটা শুনলেই বহ্নি বলে- মনে হচ্ছে একটা ‘অ্যাডভেঞ্চার’ এর ব্যাপার আছে এখানে। ২০২০ এ মহামারীর ভেতরে একদিন বহ্নি আইডিয়া দিল- চলো এই সুরটা দিয়ে একটা গল্প বানাই, বর্ণমালা সেখানে হবে মূল চরিত্র। ও নানান জায়গায় গিয়ে অ্যাডভেঞ্চার করবে। আইডিয়াটা আমারও দারুণ পছন্দ হলো। যেহেতু মহামারীর কারণে কারও বাসায় যেতে পারছি না, জনশূন্য প্রাকৃতিক পরিবেশ ঘুরে আসতেই পারি। সব জায়গায় গিয়ে বর্ণমালার কিছু ফুটেজ নেবো। তারপর পুরোটা সুরে বেঁধে গল্প বানিয়ে ফেলব।
পরীক্ষামূলকভাবে একটা ঝর্নার পারে গিয়ে কিছু ভিডিও করলাম। বর্ণমালা খুব খুশি হলো, দারুণ উৎসাহ দেখালো। আমরাও অনুপ্রেরণা পেয়ে গেলাম। মনে হলো কাহিনীটাকে আরেকটু শক্ত গাঁথুনি দেয়া যাক। দৈত্য, পরী মা, ছড়ায় ছড়ায় পথের সংকেত- এমন নানান উপাদান যুক্ত হলো গল্পটায়। আট মাস ধরে ক্যালিফোর্নিয়ার সাগর, নদী, পাহাড়, মরুভূমি, দানব গাছের বনে বর্ণমালা একটু একটু করে অ্যাডভেঞ্চার করলো। সেগুলোকে গল্পের সুতোয় বেঁধে ফেললাম আমরা। বর্ণমালার প্রিয় রুমান খালামনি পরী-মা হয়ে সাহায্য করলেন আমাদেরকে। ওনার চমৎকার আবৃত্তি প্রাণ দিল গল্পটাকে।
গতকাল ছিল আমাদের মেয়েটার চতুর্থ জন্মদিন। ওর জন্য এই গল্পটা আমাদের পক্ষ থেকে একটা উপহার। অনেকদিন পরে এটা দেখতে দেখতে ও হয়তো আমাদের পরিশ্রম, ভালোবাসা আরও গভীরভাবে অনুভব করবে। ২০২০ সালটা কোনো অন্ধকার সময় হিসেবে ওর স্মৃতিতে থাকবে না। ও জানবে এই বছর ছিল সারাদিন একসঙ্গে কাটানোর। এই বছরটা ছিল অ্যাডভেঞ্চারের। এই বছরটা ছিল একটা দস্যি মেয়ের তার মা-বাবাকে সময়দানবের কাছ থেকে উদ্ধার করে নিজের কাছে রাখার...
শুধু গানটা শুনতে পারবেন এখানে গিয়ে: • দস্যি মেয়ের গান | Cham...
Негізгі бет দস্যি মেয়ে ও অঘুম দৈত্য | Dossi Meye o Oghum Doitto | Bornomala, Chamok, Bonhi, Ruman
Пікірлер: 554