জাহান্নামের আগুনের তীব্র তাপদাহ ও উষ্ণতা এত প্রখর ও যন্ত্রণাদায়ক হবে, যা কল্পনাতীত। সেখানে রয়েছে আগুন হ’তে প্রস্ত্ততকৃত পোশাক, বিছানা, ছায়া, ভারী বেড়ি এবং আগুনের জিঞ্জির, আগুনে উত্তপ্ত ও প্রজবলিত কোটি কোটি টন ভারী লোহা ও গুর্জ, আগুনে উত্তপ্ত করা আসনসমূহ প্রভৃতি। সুতরাং যার সৃষ্টি লেলিহান অগ্নিশিখা হবে তার অভ্যন্তরস্থ বায়ুর ধ্বংসলীলা কত ভয়ংকর হ’তে পারে তা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, وَأَصْحَابُ الشِّمَالِ مَا أَصْحَابُ الشِّمَالِ، فِيْ سَمُوْمٍ وَحَمِيْمٍ، وَظِلٍّ مِنْ يَحْمُوْمٍ، لاَ بَارِدٍ وَلاَ كَرِيْمٍ. ‘আর বাম দিকের দল কত হতভাগ্য, বাম দিকের দল! তারা থাকবে অত্যুষ্ণ বায়ু ও উত্তপ্ত পানিতে, কৃষ্ণবর্ণের ধূম্রের ছায়ায়, যা শীতলও নয় আবার আরামদায়কও নয়’ (ওয়াক্বি‘আহ ৫৬/৪১-৪৪)। জাহান্নামীরা জাহান্নামের আযাবে অতিষ্ঠ হয়ে এক ছায়াকর বৃক্ষের দিকে ছুটে আসবে। যখন সেখানে পৌঁছবে তখন বুঝতে পারবে যে, এটা কোন ছায়াদানকারী বৃক্ষ নয়, বরং এটা জাহান্নামের ঘনকালো ধোঁয়া। অনুরূপভাবে জাহান্নামের বিদগ্ধকারী কঠিন লু-হাওয়া দিয়ে কাফেরদের শাস্তি দেওয়া হবে। যেমন মহান আল্লাহ বলেন, قَالُوْا إِنَّا كُنَّا قَبْلُ فِيْ أَهْلِنَا مُشْفِقِيْنَ، فَمَنَّ اللهُ عَلَيْنَا وَوَقَانَا عَذَابَ السَّمُوْمِ. ‘তারা বলবে, পূর্বে আমরা পবিবারবর্গের মধ্যে শংকিত অবস্থায় ছিলাম। তারপর আমাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন এবং আমাদেরকে অগ্নিশাস্তি থেকে রক্ষা করেছেন’ (তূর ৫২/২৬-২৭)।
- Күн бұрын
দুই দল উম্মতকে আল্লাহ জাহান্নামের আগুনে দিবেনা | আল্লামা জামাল উদ্দিন | Sohoj Islam | 2022
- Рет қаралды 461
Пікірлер: 1