বাংলাদেশের অতি পরিচিত পায়রা জাতের একটি পাখি হলো ঘুঘু। ঘুঘু মূলত কলাম্বিডি পরিবারের স্ট্রেপ্টোপেলিয়া গণের অন্তর্গত। এদেশের শহরাঞ্চলের চেয়ে গ্রামাঞ্চলেই ঘুঘু পাখি বেশি দেখা যায়। তবে শুধু বাংলাদেশই নয়, ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এই পাখিদের আবাস। সারা পৃথিবীতে মোট ৩৬টি প্রজাতির ঘুঘু পাখি দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু তার মধ্যে আমাদের দেশে পাওয়া যায় ঘুঘু পাখির মাত্র ছয়টি জাত।
এ পাখি সাধারণত নিচু ঝোপঝাড়ে বাসা তৈরি করে থাকে। প্রধানত গ্রীষ্মকালেই পুরুষ ও স্ত্রী ঘুঘু উভয়ে মিলে নিজেদের বাসা তৈরি করে। ঘুঘু পাখির প্রজননের জন্য উপযুক্ত সময় হলো এপ্রিল থেকে জুলাই মাস।
একটি পূর্ণবয়স্ক ঘুঘু পাখি যখন ডিম উৎপাদনে উপযোগী হয়, তখন তাদের চোখের বৃত্ত খুব ছোট হয়ে যায়। এ পাখিদের মধ্যে ধূসর বর্ণের পুরুষ পাখির চোখের বৃত্তের রং কমলা বা লাল হয় এবং পরিধি হয়ে থাকে ২-৩ মিলিমিটার পর্যন্ত। অন্যদিকে স্ত্রী ঘুঘু পাখির গায়ের রং বাদামি ধূসর এবং চোখের বৃত্ত এক মিলিমিটার পর্যন্ত পুরু হয়।
স্ত্রী পাখির ছয় মাস বয়স হলেই তারা ডিম পাড়া শুরু করে। সাধারনত স্ত্রী ঘুঘুরা প্রতিবার এক জোড়া করে বছরে তিনবার ডিম দেয়। এদিকে বাচ্চা না ফোটা অবধি, সেই ডিম গুলোতে পুরুষ ও স্ত্রী ঘুঘু উভয়ে মিলেই পালাক্রমে তা দিতে থাকে। ঘুঘু পাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে সময় লাগে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ দিন মতো।
এ পাখি গুলো মূলত সকাল ও বিকেলের দিকে খাবার খুঁজে বের হয়। বাকিটা সময় এরা গাছের ডালে ডালে বসেই কাটায়। বলে রাখা ভাল যে, ঘুঘু পাখি খুব দ্রুতবেগে উড়তে পারে। আমাদের দেশে যে কয়টি প্রজাতির ঘুঘু আছে তার মধ্যে সবুজ ঘুঘু সবচেয়ে সুন্দর। এ প্রজাতির ঘুঘুরা সাধারণত ছয় থেকে সাত বছর বাঁচে।
copyright © A BIJOY TV Production-2023
সঙ্গে থাকুন বিজয় টিভির
Website: bijoy.tv/
Facebook: / bijoytvlimited
KZitem: / bijoytvofficial
Негізгі бет ঘুঘু পাখির অজানা রহস্য । Bijoy TV
Пікірлер: 1