বিচারপতি শাহাবুদ্দিন পার্ক গুলশান।
গুলশান ২ নম্বর মোড় থেকে উত্তর দিকে দুই মিনিট হাটার পার রাস্তার পুর্ব দিকের গলিতে ঢুকলেই চোখে পড়বে শাহাবুদ্দিন পার্ক ।
গুলশানের অট্টালিকার ভাঁজে চোখ জুড়ানো মন ভোলানো এক টুকরো সবুজ। আর এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। ঘুরতে পারেন প্রিয়জনকে নিয়েও। আগে থেকেই এটি ছিল একখন্ড সুবুজের পাক। আর এখন তাতে আধুনিকতার ছোঁয়া দিয়ে জলাধার ঘিরে করা হয়েছে হাটাপথ। চলছে ফোয়ারা।
বিশাল লেকের চারিধারে হেটে ঘুরে আসতে পারেন। সবুজ পত্র পল্লবে সাজানো গোছানো এই পাকে নানা প্রজাতির এক হাজার সাত'শ ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছ আছে। তার সঙ্গে লতা-গুল্ম যেন বিছিয়ে রেখেছে সবুজের শামিয়ানা।
আর এখানে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনায় অনিন্দ্য সাজ দেওয়া হয়েছে। নির্মাণ শৈলীর প্রতিটি ভাঁজেই চোখে পড়ে আধুনিকতা ছোঁয়া।
পাকের ভেতরেই আছে লাইব্রেরি, হাঁটার পথের পাশেই সাইকেল লেন। বাস্কেট বল গ্রাউন্ড। আরও আছে ব্যাডমিন্টন কোর্ট, ব্যায়ামাগার।
তবে এই পাকের বিশেষ দিক হলো এর জলাধার ধরে হাঁটার পথ। চারপাশে তিনটি ডেক। লেক ধরেই মুক্ত মঞ্চ। এমনটা এই ঢাকা শহরে আর নেই।
গুলশান ২ ম্নম্বর মোড় থেকে উত্তর দিকে দুই মিনিট হাটা দূরত্বে বিচারপতি শাহাবউদ্দিন আহমেদের নামে এই পার্ক এখন এভাবেই সজ্জিত করা হয়েছে। ১৬ কোটি টাকায় পাকে ৫ ধরনের হাঁটার পথ দেখা যাচ্ছে। একটি পথ লাল ইটের, আরেকটি কনক্রিট ব্লকের, অন্যটি সবুজ ঘাসের পথ। আরও আছে পানির উপর উড প্লাস্টিক কম্পোজিট প্ল্যাংকের পথ এবং সাইকেল লেন।
এখানে একসঙ্গে ৪০০ মানুষের বসার সুবিধা রয়েছে। এই মুক্তমঞ্চের সামনে জলাধারের ওপর নির্মিত পারফরম্যান্স ডেক এবং জলাধার থেকে বেরিয়ে আসা কৃত্রিম পানির ফোয়ারা বা জলচ্ছ্বটা স্থাপন করা হয়েছে।
পার্কটিকে সুন্দরভাবে ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে সিসিটিভি কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে থেকে পার্কটি সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকতে পারে। এই কন্ট্রোলরুমের পাশ দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে ৪ তলা উঠলেই ওপর থেকে পুরো পার্কের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।
Негізгі бет ঢাকার নতুন পার্ক।। গুলশান ২।। বিচারপতি শাহাবুদ্দিন পার্ক
No video
Пікірлер: 50