হাওয়া খানা | চারআনি রাজার বিনোদন স্থান | পুঠিয়া | রাজশাহী | Hawa Khana | Puthia | Rajshahi |
১০ একর আয়তনের এক দিঘির মাঝখানে অবসর বিনোদনের জন্য নির্মিত হয়েছিল চুন সুড়কি আর পাতলা ইটের গাঁথুনি দিয়ে। ভবনটির দৈর্ঘ্য ৪৫ ফুট, প্রস্থ ৪২ ফুট আর উচ্চতা ৩৪ ফুট । দরজা জানালা বিহিন ভবনটির প্রথম তলা পানির নিচে। দ্বিতীয় তলায় আছে পশ্চিম দেয়ালে ১টি অবশিষ্ট ৩ পাশে ৩ টি করে মোট ১০ টি দরজা । ভবনের চার পাশে আছে ৬ ফুট চওড়া বারান্দা। তৃতীয় তলায় ওঠার জন্য আছে ৩ ফুট চওয়া একটি সিড়িঁ। চুন সুড়কি আর পাতলা ইটের গাঁথুনি দিয়ে তৈরি লাল রঙের দ্বিতল ইমারতের নীচতলা আর্চযুক্ত। ভবনটির প্রথম তলা পানির নিচে এবং দরজা জানালা বিহিন। এ ইমারতের দোতালায় উঠার জন্য দক্ষিণ পাশে সিড়ি আছে। তৃতীয় তলায় তিন পাশে ৩টি দরজা থাকলেও পশ্চিম দেয়ালে কোন দরজা নেই। ভবনের চার পাশে ৬ ফুট চওড়া বারান্দা আছে।
পুঠিয়া রাজবাড়ীর সদস্যরা রাজবাড়ী থেকে রথ বা হাতীযোগে পুকুরের পাড়ে এসে নৌকায় চড়ে পুকুর পাড় হয়ে হাওয়া খানায় অবকাশ যাপন এবং পুকুরের খোলা হাওয়া উপভোগ করতেন। জলঘরে খাবার ছিটিয়ে পুঠিয়ার রাজা বাহাদুর দিঘির মাছ দেখতেন বলে জনশ্রুতি আছে। বিকাল বেলা স্নিগ্ধ হাওয়ার পরশ নিতে রাজাবাহাদুর ঘোড়ায় চেপে দিঘির পাড়ে গিয়ে, ডিঙি নায়ে চড়ে দিঘির কাজল কালো জলে ভেসে গিয়ে উঠতেন হাওয়াখানা ভবনে। কোন কোন সময় ডিঙ্গি নায়ে দিঘিময়ে ঘুরে বেড়াতেন রাজাবাহাদুর । এক সময় দিঘির চার পাশে বসত রথযাএা মেলা । পুঠিয়া রাজবাড়ী থেকে হাওয়াখানা পর্যন্ত কান্দ্রা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যে রাস্তা চলে গেছে, সে রাস্তার সাবেক নাম ’’রথগলি’’। জলঘরে খাবার ছিটিয়ে পুঠিয়ার রাজা বাহাদুর দিঘির মাছ দেখতেন বলে জনশ্রুতি আছে। তবে ভবনটির সর্বশেষ ব্যবহারকারী রাজার নাম নরেশ নারায়ন রায় ,যিনি কমর বেগম নামে এক মুসলিম মহিলাকে বিয়ে করার সময় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নূরুননবী রায় নাম ধারণকওে ছিলেন । সেখানে রাজা স্ববান্ববে আমদ ফূর্তি, দাবা ,তাস ,পাশা ,খেলতেন ।কারো কারো মতেট এটি একটি মন্দির ,রথযাত্রার সময় ঠাকুর সেখানে গিয়ে পূঁজা করতেন । দেশ বিভাগের সময় রাজা নরেশ নারায়ন রায় ওরফে নূরুন্নবী রায় পুঠিয়া ছেড়ে কলকাতা যাবার কালে গনি মন্ডল ও দেলজান মন্ডল নামে দুই কর্মচারীকে হাওয়াখানা দিঘিটি পওন দিয়ে যান । ফলে দিঘির মাঝমাঝি বাঁধ দিয়ে ভাগাভাগির কারণে হাওয়া খানাসহ দিঘির সৌন্দর্য্য কিছুটা হানি হয়েছে । এছাড়া প্রথম তলার স্নানাগার মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলা হয়েছে । দিঘির মাঝখানের বাঁধ তুলে দিয়ে সরকারী বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে চার পাশে সংস্কার করে ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকা ভাসানো হলে এবং হাওয়া খানা ভবনটি সংস্কার করা হলে পুঠিয়ার তারাপুর হাওয়াখানা উত্তরাঞ্চলের পর্যটন কেন্দ্র গুলোর মধ্যে অন্যতম হবে বলে এলাকাবাসীর অভিমত।তাছাড়া এমনিতেও হাওয়াখানা ভবনটি সংস্কার প্রয়োজন ।
#হাওয়া
#হাওয়াখানা
#হাওয়াখানাপুঠিয়া
#Hawakhana
#Hawakhanaphutia
প্রতিটি জায়গা পরিদর্শনের পাশাপাশি এর সৌন্দর্য রক্ষা করাও আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তাই আমাদেরকে আরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
যদি আমার এই প্রচেষ্টা ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে ভিডিওটি শেয়ার করুন, লাইক দিন এবং আমার চ্যানেল টি সাবস্ক্রাইব করে আরও নতুন নতুন ভিডিও বানাতে উৎসাহিত করুন।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
Disclaimer: Don't Download & Copy Anything From This Channel. Its a Cyber Crime. All Videos of this Channel is Copyrighted by Traveler Of Bangladesh.
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
Thanks For Watching..
SUBSCRIBE || LIKE || COMMENT || SHARE ||
▬▬▬▬▬▬▬▬ Traveler Of Bangladesh ▬▬▬▬▬▬▬
Негізгі бет হাওয়া খানা | চারআনি রাজার বিনোদন স্থান | পুঠিয়া | রাজশাহী | Hawa Khana | Puthia | Rajshahi |
Пікірлер: 5