#hatiya #bangladesh #noakhali #walkingtour
হাতিয়া বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত একটি দ্বীপাঞ্চল উপজেলা। যেটি বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে ১৭ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত বঙ্গোপসাগর এর বুকে একটি দ্বীপ। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম উপজেলা। অপরদিকে, হাতিয়া শহরের আয়তন ৩৬ বর্গ কিলোমিটার।
হাতিয়া উপজেলার আয়তন ২১০০বর্গ কিলোমিটার। এটি আয়তনের দিক থেকে নোয়াখালী জেলার সবচেয়ে বড় উপজেলা। এ উপজেলা নোয়াখালী জেলার বেশ কিছু উপকূলীয় ১৯টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। এর এলাকার পরিমাণ ২,১০০ বর্গ কিলোমিটার। এ উপজেলার উত্তরে সুবর্ণচর উপজেলা ও লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলা, দক্ষিণে ও পূর্বে বঙ্গোপসাগর, পশ্চিমে ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলা ও তজুমদ্দিন উপজেলা।
হাতিয়া উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন রয়েছে। চর ঈশ্বর ইউনিয়নের ভাসানচর ব্যতীত সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম হাতিয়া থানার আওতাধীন এবং ভাসানচরের প্রশাসনিক কার্যক্রম ভাসানচর থানার আওতাধীন। পৌরসভা: হাতিয়া, ইউনিয়নসমূহ: নিলক্ষ্মী (নদী গর্ভে বিলুপ্ত), হরণী, চানন্দী, সুখচর, নলচিরা, চর ঈশ্বও, চর কিং, তমরদ্দি, সোনাদিয়া, বুড়িরচর, জাহাজমারা, নিঝুমদ্বীপ
হাতিয়ার নামকরণ সম্পর্কে একাধিক প্রবাদ প্রচলিত রয়েছে। প্রবাদগুলো যেমন মজার তেমন আকর্ষণীয়। ইতিহাস ও বাস্তবতার সমৃদ্ধ উপ্যাখানগুলো সংশ্লিষ্ট প্রবক্তকরা গ্রহণযোগ্য করার প্রয়াসে যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যাও সংযুক্ত করেছেন। হাতিয়ার নামকরণ প্রবাদের দুটি প্রধান ধারা লক্ষণীয়। তন্মধ্যে একটি হাতিয়া অন্যটি হাতি প্রবাদ নামে খ্যাত। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ হাফেজ মাওলানা এ কে মোমাজাদ আহমদ তার আমার দেখা হাতিয়া প্রবন্ধে উল্লেখ করেন- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসনের সময় এক ইংরেজ আলোচ্য দ্বীপে উঠে এ এলাকার নাম কি জিজ্ঞাসা করেন। জবাবে এলাকার লোকজন বলে হাটিয়া। এরপর থেকে ইংরেজ দ্বারা হাটিয়া নামজারী হয়ে গেল। যা পরবর্তীতে বাংলা উচ্চারণের সুবিধার্থে হয়ে গেল হাতিয়া। মৌলভী জামাল উদ্দিন বলে ফরাসীরা বাণিজ্য করতে ভারতীয় উপমহাদেশে আসেন। তারা নদীপথে এ অঞ্চল দিয়ে যাতায়াত করত। হাতিয়া তখন মাত্র দুটি দ্বীপ। সাগরদি ও নিলক্ষী। দূর থেকে তা দেখতে তলোয়ার বা হাতিয়ার এর মতো মনে হতো। এ হাতিয়ার বা তলোয়ার থেকে হাতিয়া নামের উৎপত্তি। এডভোকেট শরিফ মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন- সন্দ্বীপের দিলাল রাজার একটি হাতি ছিল। হাতিটি হাতিয়া ভূ-খণ্ডের পাশে একটি কর্দমাক্ত খালে আটকা পড়ে মারা যায়। পরবর্তীতে এ ভূ-খণ্ডের নাম হয়- “হাতি”-পা -আ থেকে হাতিয়া”। দ্বীপের বিখ্যাত কবি আবদুর রশিদ তার পিতার লিখিত পুঁথির আলোকে বলেন- একদা এ অঞ্চলে বড় ধরনের জলোচ্ছাসে কোথা থেকে একটি হাতি ভেসে আসে এবং দ্বীপের খালে আটকা পড়ে মৃত্যু ঘটে বিধায় এ দ্বীপের নাম হয় হাতিয়া। দ্বীপের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি দ্বীপের নামকরণ সম্পর্কে বলেন- একদা এ দ্বীপে জলদস্যুদের দৌরাত্ম ও অত্যাচার ছিল। জলদস্যুদের অত্যাচারের খবর তৎকালীন বাংলার শাসক শেরশাহ্ এর নিকট পৌঁছলে তিনি দস্যুদের দমনের জন্য হাতিয়াল খা নামক সেনাপতির নেতৃত্বে একদল সৈন্য প্রেরণ করেন এবং অত্যন্ত সুনামের সহিত দস্যুদের দমন করে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনেন। ঐ সেনাপতির নামানুসারে এ দ্বীপের নামকরণ করা হয় “হাতিয়াল দ্বীপ”। কালক্রমে হাতিয়াল থেকে ‘ল’ উঠে গিয়ে এর নাম হয় হাতিয়া দ্বীপ। উপরোক্ত হাতিয়া দ্বীপের নামকরণ ইতিহাস আলোচনা কালে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে একটি বিষয় লক্ষ্য করা যায়, হাতিয়া দ্বীপের নামকরণে হাতি নামটি অনেক আলোচনায় এসেছে। তাই দ্বীপের নামকরণ সম্পর্কিত উপরোক্ত কাহিনী ও তথ্য কতটুকু সত্য এবং ইতিহাস নির্ভর তা ঐতিহাসিককের অনুসদ্ধান ও সঠিক গবেষণার বিষয়।
মোট জনসংখ্যা ৪,৫২,৪৬৩ জন (প্রায়), পুরুষ ২,২৩,৮৫৩ জন (প্রায়), নারী ২,২৮,৬১০ জন (প্রায়)। জনসংখ্যার ঘনত্ব ৩০০ (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে), জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৩%। মোট ভোটার সংখ্যা ২,১৮,০১৯ জন, পুরুষ ভোটার ১,১০,২০০ জন, মহিলা ভোটার ১,০৭,৮১৯ জন
দর্শনীয় স্থান : নিঝুম দ্বীপ, কাজির বাজার, কমলার দিঘী, রহমত বাজার সি-বীচ, তমরুদ্দি পাথর ঘাট, সূর্যমূখী সি বীচ, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা পার্ক, স্বর্ণদ্বীপ সেনানিবাস, আলাদি গ্রাম, টাংকির ঘাট, ভাসানচর, দমার চর, কাটাখালী ম্যানগ্রোভ, কাটাখালী খাল, আমতলী ফরেষ্ট এরিয়া
Негізгі бет হাতিয়া শহর দেখুন কেমন | হাতিয়া উপজেলার ইতিহাস জানুন | Hatiya Bangladesh | হাতিয়া কি সবচে বড় উপজেলা?
Пікірлер: 20