হযরত উমর কেন পাগলের মতো কান্না করেছিলেন?
...................
প্রতিটি মানুষের জীবনে এমন কিছু সময় আসে, যখন সে দিশেহারা হয়ে পরে। যখন সে নিজেকে বড় অসহায় অনুভব করে। পর্বতের মতো অটল মানুষটিও নুয়ে পরে ঝড়ে বিধ্বস্ত বৃক্ষের মতো। পাথরের মতো কঠিন হৃদয় টুকরো টুকরো হয়ে পরে ভেঙে পরা কাঁচের মতো। সবচে ধীর-স্থির মানুষটিও হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে উন্মাদের মত আচরণ করতে থাকে।
হযরত ওমর (রা.) ছিলেন এমনই একজন মানুষ, যাকে আমরা জেনেছি দৃঢ়চেতা, দুর্দান্ত সাহসী আর কঠিন হৃদয়ের অধিকারী হিসেবে। জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়গুলোতেও তাকে আমরা দেখি আত্মবিশ্বাস আর নির্ভিকতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে। কোরায়েশদের অত্যাচারে দিশেহারা সাহাবীরা যখন ইসলাম গ্রহণ করার পর ভয়ে মুখ খুলতে পারতেন না, তখন ওমর রাঃ ইসলাম গ্রহণ করেন এবং তখন মক্কার পথে পথে ঘুরে মাথা উঁচু করে ঘোষণা দেন, আমি ইসলাম কবুল করেছি। আবু জাহেল, আল ওয়ালিদ আর উতবাহ ইবনে রাবিয়ার মতো কোরায়েশ নেতাদের মুখের উপর তিনি বলেন, আজ থেকে আমি নবী মুহাম্মদ সাঃ এর সাথী।
তিনিই সেই ব্যক্তি, যিনি কোরায়েশদের সাথে লড়াই করে কাবা ঘরে প্রবেশ করেছিরেন এবং সেখানে নামাজ আদায় করেছিলেন। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি মদীনায় হিজরতের সময় বলেছিলেন, যদি এমন কোনো মায়ের সন্তান থাকে, যে তার মায়ের বুক খালি করতে চায়, সে যেন আমার পথ আগলে দাঁড়ায়। রসুলের কাছে এক নির্ভরতার প্রতীক ছিলেন হযরত ওমর। নিপীড়িত সাহাবীদের কাছে সাহস আর উদ্দীপনার নাম ছিলেন হযরত ওমর। মুসলিম উম্মাহর কাছে এক পাহাড়সম দৃঢ়তার নাম ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)।
কিন্তু এই মানুষটিও একদিন ভেঙে পড়েছিলেন। এই মানুষটিও একদিন হতাশায় নুয়ে পরেছিলেন। তিনি এতটাই কাতর হয়ে পরেছিলেন যে, মনে হচ্ছিল এ যেন ওমর নয়, বরং এক পুত্রহারা দুর্বল বৃদ্ধ মানুষ। তিনি এতটাই দিশেহারা হয়ে পরেছিলেন যে, রসুলের প্রিয় সাহাবীদের উদ্দেশ্যে তিনি চিৎকার করে বলেছিলেন, আমি তোমাদের জিহ্বা কেটে ফেলব, আমি তোমাদের মাথা ফাটিয়ে দেব। কি ঘটেছিল সে দিন যে, ওমর (রা.) এর মতো মানুষ এতটা উদ্ভ্রান্তের মতো আচরণ করছিলেন? বিস্তারিত থাকবে ইসলামিক ভিডিও বাংলার আজকের পর্বে।
Негізгі бет হযরত উমর কেন পাগলের মতো কান্না করেছিলেন?
Пікірлер: 150