History of Faridpur District in Bangladesh | ফরিদপুর জেলার ইতিহাস । ফরিদপুর কেন এত উন্নত? |
ফরিদপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে ঢাকা বিভাগের একটি জেলা ও প্রশাসনিক অঞ্চল। ফরিদপুর বাংলাদেশের ৪র্থ তম বৃহত্তম পৌরসভা ও দেশের ১৪তম বৃহত্তম শহর।
উপজেলার সংখ্যানুসারে ফরিদপুর বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা। ভৌগোলিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ জেলা হওয়ায় ফরিদপুর তথা পদ্মা বিভাগ প্রস্তাবিত রয়েছে।
আয়তন ২০৭২.৭২ বর্গ কিলোমিটার, ফরিদপুর জেলা ৮৯.২৯° পূর্ব হতে ৯০.১১° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ এবং ২৩.১৭° উত্তর হতে ২৩.৪০° উত্তর অক্ষাংশে অবস্থিত, উত্তরে রাজবাড়ী জেলা ও মানিকগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে গোপালগঞ্জ জেলা জেলা, পশ্চিমে মাগুরা জেলা ও নড়াইল জেলা এবং পূর্বে ঢাকা জেলা, মাদারীপুর জেলা ও মুন্সীগঞ্জ জেলা জেলা অবস্থিত।
ফরিদপুর জেলার প্রতিষ্ঠা ১৭৮৬ সালে। মতান্তরে এ-জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮১৫ সালে। ফরিদপুরের নামকরণ করা হয়েছে এখানকার প্রখ্যাত সুফি সাধক শাহ শেখ ফরিদুদ্দিনের নামানুসারে। এ জেলার পূর্বনাম ছিল ‘‘ফতেহাবাদ’’। ফরিদপুর জেলার প্রতিষ্ঠা সন ১৭৮৬ হলেও তখন এটির নাম ছিল জালালপুর এবং প্রধান কার্যালয় ছিল ঢাকা। ১৮০৭ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা জালালপুর হতে বিভক্ত হয়ে এটি ফরিদপুর জেলা নামে অভিহিত হয় এবং হেড কোয়ার্টার স্থাপন করা হয় ফরিদপুর শহরে।
ফরিদপুর জেলায় মোট পৌরসভা ৬টি, ওয়ার্ড ৩৬টি, মহল্লা ৯২টি, ইউনিয়ন ৮১টি, গ্রাম ১৮৮৭টি। মোট উপজেলা ৯টি। সেগুলো হচ্ছেঃ
ফরিদপুর সদর উপজেলা
বোয়ালমারী উপজেলা
আলফাডাঙ্গা উপজেলা
মধুখালী উপজেলা
ভাঙ্গা উপজেলা
নগরকান্দা উপজেলা
চরভদ্রাসন উপজেলা
সদরপুর উপজেলা
সালথা উপজেলা
দেশের প্রধান পাট ফলনশীল জেলা ফরিদপুরে সুস্বাদু ধান, ইক্ষু, গম, পেঁয়াজ, সরিষা,মরিচ, সহ নানা ফসল উৎপন্ন হয়। ফরিদপুরের পদ্মার ইলিশ জগৎখ্যাত হয়ে আছে আজও। খেজুরের গুড় এই জেলায় প্রচুর উৎপাদন হয়। আকাশ ও উজান থেকে আসা পানির উপযোগিতায় ফরিদপুরে কৃষির সম্প্রসারণ হয়েছে অভাবিত। এখনও কৃষিই এখানকার অর্থনীতির প্রাণ। প্রমত্তা পদ্মা, কোল থেকে ভূবনেশ্বর ও আড়িয়াল খাঁ, কুমার, মধুমতি, গড়াই, চন্দনা, বারাশিয়া নদী মানুষের হাতে সোনার ফসল ও মাছসহ অনন্য সম্পদ তুলে দিয়েছে। ফরিদপুর সমগ্র বাংলাদেশে পাট, মসুর এবং পেয়াজের দানা উৎপাদনে শীর্ষ জেলা।
১৯,৮৮,৬৯৭ জন (২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)
পুরুষ ৮,৯৩,২৮১ জন
মহিলা ৮,৪৯,৪৪০ জন
এই জেলায় শিক্ষার হার ৭৩%। এখানে মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা: ৪২৪টি; তারমধ্যে:
সরকারী কলেজ: ৮টি;
বেসরকারী কলেজ: ২৪টি
সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়: ৬টি
বেসরকারী উচ্চ বিদ্যালয়: ১৮৯টি
জুনিয়র হাই স্কুল: ৫২টি
মেডিকাল কলেজ: ২টি
মাদ্রাসা: ১৪১টি
কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯টি।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব:
শামসুল হক ফরিদপুরী - বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব,লেখক ও গবেষক
আবদুল খালেক - অবিভক্ত ভারতবর্ষের কংগ্রেস নেতা, ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক।
অম্বিকাচরণ মজুমদার - সাবেক সভাপতি, জাতীয় কংগ্রেস।
আবদুল হক ফরিদী শিক্ষাবিদ
Негізгі бет History of Faridpur District in Bangladesh | ফরিদপুর জেলার ইতিহাস । ফরিদপুর কেন এত উন্নত? |
Пікірлер: 6