অনিয়ম ও আইন বহির্ভূতভাবে আমার বাড়ী নিলাম করা হয়েছে, দাবী ভুক্তভোগী ফারুক হোসেনের
দিনাজপুর অফিস ঃ ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) থেকে ঋন নেয়ায় মোঃ ফারুক হোসেনের মাথা গোজার একমাত্র ঠাই হারিয়ে যেতে বসেছে। ২০১৮ সালে তিন ভাই বেকারীর নামে ১০ লক্ষ টাকা সিসি ঋন নেন মোঃ ফারুক হোসেন। ২০১৯ সালে কোভিড-১৯ এর প্রকোপে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে। ব্যবসা বাণিজ্য সব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিজস্ব পুজি ও ব্যাংকের ঋনকৃত অর্থ লোকসান হয়ে ফারুক হোসেন দেউলিয়া হয়ে যায়। ফারুক হোসেনের দেউলিয়াত্বর সুযোগ নিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে ফারুক হোসেনকে কোন নোটিশ না দিয়েই তার একমাত্র ১ কোটি ৫২ হাজার টাকার বাড়ী মাত্র ৫০ লক্ষ টাকায় নিলাম দিয়ে দেয়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের এই অনিয়ম ও আইন বহির্ভূত নিলামের প্রতিবাদে ফারুক হোসেন তার পরিবার ও দিনাজপুর বেকারী মালিক সমিতি গতকাল মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন শেষে দিনাজপুর জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান করেন। মোঃ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় কোভিড-১৯ এর কারণে আমার ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। নিজস্ব পুজি ও ব্যাংকের ঋনকৃত অর্থ লোকসান হয়ে যায়। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর একটি চেকের মামলায় আমি কারাগারে অন্তরীন হই। এই সুযোগ নিয়ে ইউসিবি ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপক মোঃ মামুনুর রশীদ, হাউজিং এষ্টেটের সহকারি প্রকৌশলী মোঃ মূর্শেদ আলম ষড়যন্ত্র শুরু করেন। আমার অনুপস্থিতিতে খুব দ্রæত ইউসিবি ব্যাংক নিলাম করে দেয় যা আইন সম্মত নয়। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন ঋন নেওয়ার পর পর্যায়ক্রমে ১ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা ঋনের কিস্তি পরিশোধ করা হয়। কমার্স ব্যাংক লিমিটেড দিনাজপুর শাখার মাধ্যমে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসিকে পে-অর্ডার করে ১৬ লক্ষ ৫শ আশি টাকা দেওয়া হয় (পে অর্ডার নং- ০৪৯৬৭৭৯, তারিখ- ২৬/৭/২০২৩)। কিন্তু ইউসিবি ব্যাংক পে-অর্ডার গ্রহণ না করায় আমি বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালত দিনাজপুর এ ইউসিবি ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি (যার নং- ৬৫/২০২৩ অন্য) মামলা চলমান অবস্থায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৬ মার্চের মধ্যে বাড়িটি খালি করার জন্য উচ্ছেদ নোটিশ প্রদান করেন। এরই প্রতিবাদে গতকাল দিনাজপুর বেকারী মালিক সমিতি, ভুক্তভোগী ফারুক হোসেনের পরিবার ও এলাকাবাসী মানববন্ধন, সাংবাদিক সম্মেলন ও জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচী পালন করে। মানববন্ধন চলাকালীন দিনাজপুর বেকারী মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ সাইফুল্লা বলেন, কোভিড-১৯ এ সরকার ব্যবসায়ীদেরকে ক্ষতিপূরন দিয়েছে অথচ ফারুক হোসেন কোভিড-১৯ এ দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পরেও ব্যাংকে ১ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা পরিশোধ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে ১৬ লক্ষ ৫শ আশি টাকা মোট ১৭ লক্ষ ৫৪ হাজার ৫শ আশি টাকা দেওয়ার পরেও ফারুক হোসেনকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বাড়ী থেকে উচ্ছেদের জন্য। তিনি কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন ব্যাংক কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ, সহকারি প্রকৌশলী মূর্শেদ আলম তার এক বন্ধু মোঃ মেরাজ হোসেন রিয়নের বোন কানিজ ফাতেমার নামে সেল পারমিশন করে রেজিষ্ট্রি করে দেন। যা সম্পূর্ন অবৈধ ও আইন বহির্ভূত ভাবে করা হয়েছে। তিনি দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সুষ্ঠ তদন্ত করে ফারুক হোসেনের বাড়ী ফিরিয়ে দেয়াসহ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপক মোঃ মামুনুর রশীদ হাউজিং এষ্টেটের সহকারি প্রকৌশলী মোর্শেদ আলম সহ জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করেন। সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে রোলেক্স বেকারীর সত্ত¡াধিকারী সুকলা খান, জামান বেকারীর মোঃ মিজানুর রহমান, অংকুর সাহা, আইয়ুব আলীসহ বেকারী মালিক সমিতির মালিক শ্রমিক ও ভুক্তভোগীর পরিবার অংশগ্রহণ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী ফারুক হোসেনের ভার্সিটি পড়-য়া কন্যা মাসুমা আক্তার। সে লিখিত বক্তব্যে তার পিতা ও পরিবারের প্রতি অন্যায় ও অবিচারের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী এবং একমাত্র মাথা গোজার ঠাই পৈত্রিক বাড়ি ফিরিয়ে দেয়ার দাবী জানান।
Негізгі бет ইউসিবি ব্যাংক ঋণ পরিশোধের সুযোগ না দিয়ে অবৈধভাবে বসতবাড়ি অবৈধভাবে নিলাম এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন ।
Пікірлер