সাতক্ষীরায় জাকির চাচার পতিত পুকুরে হাজার কেজি দেশি জাতের শোল মাছ।
ভালো সুস্থ সবল গ্রুথ পোনার জন্য কল করুন 01771 183153
অব্যবহৃত পতিত জমির পুকুরে দেশি জাতের শোল মাছ চাষ করে সফলতা লাভ করেছেন সাতক্ষীরার জাকির হোসেন। এই পুকুর থেকে হাজার কেজিরও বেশি শোল মাছ তুলে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। এক লাখ টাকা ব্যয় করে এক বছরে তিনি লাভ করেছেন ছয় লাখ টাকা।
প্যাকেজ। পুরান সাতক্ষীরায় মাত্র পাঁচ শতক জমির একটি পতিত ও অব্যবহৃত পুকুর বন্দোবস্থ নিয়েছিলেন জাকির। সেখানে দেশি জাতের পোনা ছাড়েন তিনি। এক বছরের মাধায় তিনি লাভ করেছেন এক টন শোল মাছ। যার বজার মূল্য প্রতি কেজি ৬০০ টাকা হিসাবে ছয় লাখ টাকা।
জাকির বলেন ১৯৯৯ সালে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম এ শেষ করেন তিনি। এরপর চাকরির পেছনে না ছুটে তিনি আত্মকর্মসংস্থানের পথ খুঁজে নেন। বৃষ্টির পানিতে তার এলাকা ডুবে যাওয়ায় জাকির একদিন কুড়িয়ে পান এক জোড়া দেশি শোল মাছ। এই শোল জোড়া থেকে তিনি শোল মাছ চাষে উদ্যোগী হয়ে ওঠেন। শোল চাষের নিয়ম কানুন শিখে নেন। সেই থেকে এখন তার পাঁচটি পুকুরে চলছে শোল মাছের চাষ। পুরান সাতক্ষীরার এই পতিত জমির পুকুরটি বার্ষিক মাত্র দেড় হাজার টাকার বন্দোবস্থ চুক্তিতে সেখানে চাষ করেন শোল মাছের। মাত্র এক বছরের মাথায় এই শোল প্রতিটি ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জাকির হোসেন তার পুকুরে কোনো ধরনের রাসায়নিক পদার্থ এমনকি কীট নাশকও প্রয়োগ করা হয় না। সম্পূর্ন জৈব সারের ওপর ভিত্তি করে তিনি এই মাছ লালন করেছেন। কোনো রাসায়নিক খাদ্য, বিশেষ করে পোলট্রি ফিড ব্যবহার করেন নি তিনি। মাছের খাদ্য হিসাবে ছোট জাতের মাছ ব্যবহার করে এই শোল বড় করে তুলেছেন জাকির হোসেন।
জাকির বলেন বাংলাদেশের মাটি পানি ও প্রকৃতি মাছ চাষের অনুকূল। পুরনো পতিত জলাশয়ে দেশি জাতের মাছ চাষের উপযুক্ত জায়গা উল্লেখ করে তিনি বলেন চাকুরি না পেয়ে হতাশ না হয়ে দেশের যুব সমাজ এ ধরনের উদ্যোগে এগিয়ে আসতে পারে। এর ফলে আমাদের হারিয়ে যাওয়া নানা জাতের দেশি মাছ পুনরায় বাঙ্গালির পাতে উঠবে। বিদেশি প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে হাইব্রীড জাতের মাছ উৎপাদনের প্রয়োজন পড়বে না।
Негізгі бет জাকির চাচার শোল চাষে বছরে ৬লক্ষ টাকা আয় || Zakir's uncle earns Rs 6 lakh a year from shoal farming
Пікірлер: 57