আজ মহান আশুরা,আজ এই আমলটি করুন, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত ৩৩ বার,সূরা নূহের ১০,১১,১২,নং আয়াত ৩৪ বার
১০ ই মহররমের বিশেষ আমল,,ঘরে বৃষ্টি মত রিজিক আসবে,জীবনের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে,সকল মনোবাসনা পুর্ন হবে
হিজরি সনের প্রথম মাস মহররম। মুসলিম উম্মাহর কাছে এই দিন নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। শরিয়ত ও ইতিহাস উভয় বিবেচনায় মাসটি তাৎপর্যপূর্ণ। ইতিহাসের অনেক অনুপ্রেরণামূলক ঘটনার সাক্ষী এই মহররম মাস।
শুধু উম্মতে মুহাম্মদিই নয়, বরং পূর্ববর্তী অনেক উম্মত ও নবীর অবিস্মরণীয় ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল এই মাসে। মুসলিম ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ এই মাসকেন্দ্রিক অনেক কুসংস্কার, ভুল বিশ্বাস ও কাজের চর্চা রয়েছে মুসলিম সমাজে; যার বৃহদংশই ভিত্তিহীন। ভিত্তি রয়েছে এমন তিনটি আমল নিম্নে তুলে ধরা হলো-
রোজা রাখা
আশুরার দিনে আমল হিসেবে তিনটি কাজ করা যায়। প্রথমত, রোজা রাখা।
এ আমল সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। আশুরা উপলক্ষে দুই দিন রোজা রাখা মুস্তাহাব। মহররমের ১০ তারিখের আগে বা পরে এক দিন বাড়িয়ে রোজা রাখার কথা হাদিস শরিফে এসেছে। ইসলামে আশুরার রোজার বিশেষ গুরুত্ব আছে।
রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে আশুরার রোজা ফরজ ছিল। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.) আমাদের (রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে) আশুরার রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন এবং এর প্রতি উৎসাহিত করতেন। আর এ বিষয়ে তিনি নিয়মিত আমাদের খবরাখবর নিতেন। যখন রমজানের রোজা ফরজ করা হলো তখন আশুরার রোজার ব্যাপারে তিনি আমাদের নির্দেশও দিতেন না, নিষেধও করতেন না। আর এ বিষয়ে তিনি আমাদের খবরাখবরও নিতেন না।
(মুসলিম, হাদিস : ১১২৮)
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.) আশুরা ও রমজানের রোজা সম্পর্কে যেরূপ গুরুত্বারোপ করতেন, অন্য কোনো রোজা সম্পর্কে রাসুল (সা.)-কে সেরূপ গুরুত্ব প্রদান করতে দেখিনি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০০৬, মুসলিম, হাদিস : ১১৩২
বিশেষ একটি আমল: কেউ যদি ১০ ই মহররমে নির্জনে বসে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত ৩৩ বার,সূরা নূহের ১০,১১,১২ নং আয়াত ৩৪ বার পড়ে
ঘরে বৃষ্টি মত রিজিক আসবে,সকল বিপদ ও মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি পাবে, জীবনের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে,সকল মনোবাসনা পুর্ন হবে, আসমানী গায়বি সাহায্যে আসবে
নবীর পরিবারের জন্য দোয়া পাঠ করা
আরেকটি আমল যুক্তি দ্বারা প্রমাণিত। আর তা হলো, আহলে বাইত তথা নবীর পরিবারের সদস্যরা শাহাদাতের কারণে তাঁদের জন্য দোয়া করা, দরুদ পড়া এবং তাঁদের কাছ থেকে সত্যের ওপর অটল থাকার শিক্ষা গ্রহণ করা। এই তিনটি কাজ ছাড়া আশুরায় অন্য কোনো আমল নেই।
স্মরণ রাখতে হবে, ইসলামের ইতিহাসে মহররম মাসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিভিন্ন কারণে। প্রাক-ইসলামী যুগেও মহররমের ঐতিহ্য বিদ্যমান ছিল। পৃথিবীর ইতিহাসের অসংখ্য কালজয়ী ঘটনার জ্বলন্ত সাক্ষী পুণ্যময় এ মাস। আর কারবালার ঐতিহাসিক ট্র্যাজেডিও আশুরার দিনে সংঘটিত হওয়ায় পৃথিবীর ইতিহাসে এক নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। রচিত হয়েছে শোকাভিভূত এক নতুন অধ্যায়। কারবালার বিয়োগান্ত ঘটনাই আশুরার একমাত্র ও আসল প্রেরণার উৎস নয়। তাই আশুরা মানেই কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা নয়, আশুরার ঐতিহ্য আবহমানকাল থেকেই চলে আসছে। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, জাহেলি যুগে মক্কার কুরাইশ বংশের লোকেরা আশুরার রোজা রাখত এবং রাসুল (সা.)-ও আশুরার রোজা রাখতেন। (সহিহ মুসলিম : ২৬৩২) কাজেই আশুরার সুমহান ঐতিহ্যকে ‘কারবালা দিবসে’র ফ্রেমে বন্দি করা শুধু সত্যের অপলাপই নয়, একই সঙ্গে দুরভিসন্ধিমূলকও!
মক্কায় নির্যাতিত অবস্থায় ইয়াসির পরিবারকে লক্ষ্য করে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ধৈর্য ধরো, হে ইয়াসির পরিবার! নিশ্চয়ই তোমাদের ঠিকানা হলো জান্নাত।’
(মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস : ৫৬৪৬)
জাবের (রা.) বলেন, সমুদ্রের মুহাজিররা (হাবশায় হিজরতকারী প্রথম দল) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে প্রত্যাবর্তন করলে তিনি বলেন, তোমরা হাবশায় যেসব অনিষ্টকারী বিষয় দেখেছ তা কি আমার কাছে ব্যক্ত করবে না? তাদের মধ্য থেকে এক যুবক বলল, হে আল্লাহর রাসুল! একদিন আমরা বসা ছিলাম।
এমন সময় আমাদের সামনে দিয়ে সেখানকার এক বৃদ্ধা নারী মাথায় পানি ভর্তি কলসসহ যাচ্ছিল। এ অবস্থায় তাদের এক যুবক তার কাঁধে হাত দিয়ে তাকে ধাক্কা দিল। ফলে সে উপুড় হয়ে মাটিতে পড়ে গেল এবং কলসটি ভেঙে গেল। তখন বৃদ্ধা উঠে দাঁড়িয়ে যুবকের দিকে তাকিলে বলল, হে প্রতারক! তুমি অচিরেই জানতে পারবে যখন আল্লাহ বিচারের আসনে বসবেন। আগে-পিছের সব মানুষকে সমবেত করবেন এবং হাত-পাগুলো তাদের কৃতকর্মের বর্ণনা দেবে, তখন তুমিও জানতে পারবে সেদিন তোমার ও আমার অবস্থা কী হবে।
জাবের (রা.) বলেন, এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ওই বৃদ্ধা সত্য বলেছে, সত্য বলেছে। আল্লাহ সেই উম্মতকে কিভাবে পাপ থেকে পবিত্র করবেন, যাদের সবলদের কাছ থেকে দুর্বলদের অধিকার আদায় করে দেওয়া হয় না।’ (ইবনু মাজাহ, হাদিস : ৪০১০)
#মহররম
#১০ইমহাররম
#আশুরা
#আশুরার_রোজা
Assalamu alaikum, thank you all for following my KZitem channel, if you like my content, please share like comment, if you want to know anything about Quran, please contact, Hafez Qari Faizur Rahman,
DISCLAIMER :- This Channel Does Not Promote Any illegal content, all contents provided by This Channel is meant for "EDUCATIONAL PURPOSE" only
________________________________________
Copyright Disclaimer under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use.
Негізгі бет আজ মহান আশুরা,আজ এই আমলটি করুন, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত ৩৩ বার,সূরা নূহের ১০,১১,১২,নং আয়াত ৩৪ বার
Пікірлер: 67