বিদ্যাপতি নীল পাহাড় ও রোহিনী সরোবর এর সাথে নীলমাধবের খবর পাঠালেন রাজা কে । ততদিনে উৎকল প্রদেশে জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। রাজা লোক সমাগমসহ পালকী নিয়ে নীলমাধবকে আনতে এলেন। কিন্তু নারায়ন তো লিলা বিলাসী। তার লীলা বোঝা কি মানুষের কাজ। রাজা নীল পর্বতে পৌঁছে দেখলেন সেখানে নীল মাধব নেই নীল মাধব লিন হয়ে গেছে। নীলমাধবকে পেয়েও হারিয়ে সেই দুঃখে রাজা নিজের জীবনকে বিসর্জন দেওয়ার পণ করে বসলেন। তখন নারায়ন দৈব বাণীর মাধ্যমে তার ভক্তকে জানালেন যে তুমি ফিরে চাও রাজা আমি নিজে সমুদ্রপথে তোমার কাছে আসবো। তারপর সমুদ্রে এক বিশাল কাঠপায় রাজা। কিন্তু সেই কাঠকে কিছুতেই নড়ানো গেল না। তখন আবার দৈবানি হলেও যে এই কাঠ তখনই নড়বে যদি সবর রাজ বিশ্ব বসু এসে এই কাঠ স্পর্শ করে। খবর পাঠানো হলো সবুররাজ বিশ্ব বসুকে। তিনি এলেন এবং এই কাঠ মন্দির পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছল। এখানে আরেক বিপদ উপস্থিত হল রাজা বহু বড় বড় শিল্পী কে ডেকে কাঠ থেকে মূর্তি নির্মাণের জন্য। কিন্তু কোন শিল্পী কার থেকে মূর্তি নির্মাণ করতে পারলেন না মূর্তি নির্মাণ তো দূরের কথা কাঠে একটা আচর পর্যন্ত কেউ কাটতে পারল না। তখন রাজা নারায়ণের শরণাপন্ন হলেন। কেমন হবে দেব মূর্তি কারণ নীলমাধবকে তো রাজা চোখেই দেখেননি। তখন এক বৃদ্ধ এসে জান এই কাঠ থেকে প্রভু মূর্তি নির্মাণ করবেনকরবেন। তবে তার একটা শর্ত আছে। তার শর্ত হলো 21 দিনের আগে যতক্ষণ না তার কাজ শেষ হচ্ছে তত দিন পর্যন্ত কেউ মন্দিরের দরজা খুলে মন্দিরের ভেতর প্রবেশ করতে পারবে না। রাজা সেই শর্তে রাজি হলেন ২১ দিনের জন্য মন্দিরের দরজা বন্ধ হয়ে গেল। প্রথম প্রথম কিছুদিন শব্দ পাওয়া গেলেও মন্দিরের ভেতর থেকে 14 দিন থেকে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেলগেল। রাজ পত্নী রানী গুন্ডিচা বৃদ্ধের চিন্তায় অস্থির হয়ে পড়লেন। চিন্তাই কাতর হয়ে রানী গুন্ডিচা ১৪ দিনের মাথায় জগন্নাথ মন্দিরের দরজা খুলে মন্দিরে প্রবেশ করলেন। রানী প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে সে বৃদ্ধ জগন্নাথ মূর্তি নির্মাণের কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই অন্তর্ধান করলেনকরলেন। আসলে জগন্নাথ মূর্তি নির্মাণের জন্য দেব শিল্পী বিশ্বকর্মা এসেছিলেন ........ ......
#পুরান #jagannath #jagannath #jagannathtemple #jagannathrathyatra #jagan #puri #rathayatra #rathayatralive #rathasaptami2024
#jagnnathpuri
Негізгі бет জগন্নাথ। পুরীতে জগন্নাথ দেব প্রতিষ্ঠার কাহিনী। নীল মাধব থেকে জগন্নাথ দেব। Jagannath. ratha yatra.
Пікірлер: 1