কেন হাউজিং কোম্পানি থেকে প্লট কিনবেন না
#bashundharahousing #land #landmark #landprice
বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত লোকেশন নির্ধারণের ক্ষেত্রে জায়গার দামের তারতম্য বেশ বড় ভূমিকা পালন করে। জমি কিনে সে জমিতে বাড়ি বানানো হোক, কিংবা জমি কিনে রেখে পরবর্তীতে উপযুক্ত কোন সময়ে তা বিক্রির উদ্দেশ্যেই হয়, জমি কেনার সময় প্রত্যেকের একটাই লক্ষ্য থাকে কত কম দামে জমিটি কেনা যায়। তবে এক্ষেত্রে জমির মূল্যের চেয়েও যে বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হল উক্ত জমি বা সম্পদের মূল্যায়ন হার নির্ধারণ করা।
আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে বলতে হয় ঢাকার বিভিন্ন এলাকার কথা। রিহ্যাবের দেয়া তথ্য মতে, ২০০০ থেকে ২০১০ দশকের মধ্যে মিরপুর এবং উত্তরায় জমির মূল্য বেড়েছে যথাক্রমে ৪৭১% এবং ৬৫০%। তবে ঠিক একই সময়সীমার মধ্যে বারিধারা এবং গুলশানে যথাক্রমে ৭০০% এবং ১০৩৬% জমির মূল্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
অন্যদিকে পূর্বাচল, সাভার এবং কেরানীগঞ্জ, ঢাকার আশেপাশের এই এলাকা সমূহের জমির মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু তা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে নয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এসে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেননা ঢাকার আশেপাশের এই এলাকা গুলোর জমি কেনার চাহিদা এর আগে তেমন একটা ছিল না, তবে বর্তমানে চাহিদা বেশ বেড়েছে।
বিপ্রপার্টির ডাটাবেজ অনুযায়ী ২০২১ সালে পূর্বাচলে প্রতি স্কয়ার ফিট জমির গড় মূল্য ৮,০৯৭ টাকা, যা কিনা মিরপুর এবং বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জমির স্কয়ার ফিটের গড় মূল্যের সমান। অন্যদিকে, সাভারে জমির প্রতি স্কয়ার ফিটের গড় মূল্য ২,২৪৫ টাকা, যা মোহাম্মদপুরের জমির প্রতি স্কয়ার ফিটের গড় মূল্যের চেয়ে প্রায় ১১% বেশি। আর তাই বলা যায় নিকট ভবিষ্যতে এই এলাকা সমূহের জমির মূল্য একই হারে বা এর চেয়েও বেশি মূল্যে বৃদ্ধি পেতে পারে।
জমির সহজলভ্যতা
সঠিক জমিতে বিনিয়োগ এর জন্য জমির সহজলভ্যতা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক যা কিনা বিনিয়োগের সিদ্ধান্তকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। কেননা অনুন্নত বা খালি জমি যে খুব সহজেই পাওয়া যাচ্ছে তা কিন্তু নয়। আর যেগুলো আছে সেগুলোর মূল্যও হচ্ছে বেশি। যদিও ঢাকা শহরে খালি জমি পাওয়া এখনও কিছুটা কঠিনই বলা যায়। বেশিরভাগ জমিই হয়তো বা ইতিমধ্যে দখল হয়ে গিয়েছে অথবা জমিগুলোতে কোন উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। আর যেই জমি গুলো এখনও বাকি আছে, হয় সেগুলোর মূল্য অনেক বেশি নতুবা সেখানে নির্মাণ কাজ চালানোর ওপর কোন বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে।
আর ঢাকার আশেপাশের এলাকায় এই চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন না হলেও, অনেকটা একই রকমই বলা যায়। মানুষ তাদের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে জমি কেনার জন্য বেছে নিচ্ছেন সাভার, কেরানীগঞ্জ, পূর্বাচল এবং মাওয়া হাইওয়ের আশেপাশের এলাকাগুলোকে। আর হবেই বা না কেন! সঠিক জমিতে বিনিয়োগ এর জন্য ঢাকায় জমি কেনার চাহিদাও যে অনেক বেশি। কিন্তু চাহিদার তুলনায় এখানে খালি জমি তেমন একটা নেই। আর তাই জমিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঢাকা নাকি এর আশেপাশের এলাকা, কোথায় বিনিয়োগ করবেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে জমির সহজলভ্যতা সম্পর্কেও ভাবতে হবে। তবে এক্ষেত্রে পূর্বাচল অ্যামেরিকান সিটি এর কথা না বললেই নয়! দেশের সর্বপ্রথম স্মার্ট সিটি হিসেবে ৮ হাজার বিঘা জমির উপর গড়ে উঠেছে এই সিটি। যেখানে আপনি পাচ্ছেন আধুনিক নগরায়নের সব সুযোগ-সুবিধা।
সুযোগ-সুবিধা
আপনি কী উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করার কথা ভাবছেন তার উপর নির্ভর করবে আপনি ঢাকা নাকি এর আশেপাশের এলাকায় বিনিয়োগ করবেন। কেননা সঠিক জমিতে বিনিয়োগ করার আগে অত্র এলাকার সব সুযোগ-সুবিধার কথাও বিবেচনা করে নিতে হয়। আপনি যদি জমি কিনে সে জমি দীর্ঘদিন ধরে রেখে পরবর্তীতে উপযুক্ত কোন সময়ে তা বিক্রির কথা ভেবে থাকেন, সেক্ষেত্রে ঢাকার আশেপাশের এলাকার জমিগুলোতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্তই হবে উত্তম। এর কারণ হচ্ছে বর্তমান জমির মূল্য এবং ভবিষ্যতের বিভিন্ন সুবিধার অনুপাত তুলনামূলকভাবে ঢাকার চেয়ে এর আশেপাশের এলাকাগুলোতেই বেশি। তবে আপনি যদি জমির উন্নয়ন করে সেখানে আবাসিক হোটেল বা অফিসের জন্য জায়গা তৈরি করতে চান, সেক্ষেত্রে ঢাকার পাশের এলাকাগুলো বিনিয়োগের জন্য সুবিধাজনক নাও হতে পারে। কেননা কমার্শিয়াল প্রপার্টি গড়ে তোলার জন্য এই এলাকাগুলোতে এখনও তেমন একটা ব্যবস্থা নেই। আর তাই জমির অরস্থান নির্ণয়ের আগে বিনিয়োগের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখা প্রয়োজন।
Негізгі бет কেন হাউজিং কোম্পানি থেকে প্লট কিনবেন না
Пікірлер: 10