আসসালামু আলাইকুম
আপনারা এক দিনে কিভাবে নাটোর ভ্রমণ করবেন, কিভাবে যাবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছি.....
ঢাকা থেকে ডাইরেক্ট নাটোরের বাস আছে আপনারা সরাসরি নাটোর শহরে চলে যাবেন।
নাটোর রাজবাড়ি ও উত্তরা গণভবন ( দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি ) একদম শহরেই অবস্থিত। সুতরাং আপনি কোনটা আগে ভিজিট করবেন সেটা আপনার সুবিধা মতো সিদ্ধান্ত নিবেন।
আমরা আগে নাটোর রাজবাড়ি ভিজিট করেছি।
নাটোর শহর থেকে রিকশা বা টেম্পু করে সহজেই চলে যাবেন নাটোর রাজবাড়ি। নাটোর রাজবাড়ি গেইটের সামনেই আপনি টিকেট কাউন্টার দেখতে পাবেন সেখান আপনাকে টিকেট কাটতে হবে।
নাটোর রাজবাড়ী ১৭০৬ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। তবে ১৭১০ সালে প্রতিষ্ঠা পায় বলে মতভেদ রয়েছে। এই রাজবাড়ীটি মোট ১২০ একর জায়গার ওপর অবস্থিত। রাজবাড়ীটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৮টি ভবন রয়েছে। আরো রয়েছে ২টি গভীর পুকুর এবং ৫টি ছোট ছোট পুকুর। রাজবাড়ীকে বেষ্টন করে আছে দুই স্তরের বেড়চৌকি।
রাজবাড়ীর পুরো এলাকা ২টি অংশে ভাগ করা যায়- ছোট তরফ ও বড় তরফ। রাজবাড়ীতে কয়েকটি মন্দিরও রয়েছে। এই মন্দিরগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল তারকেশ্বর শিব মন্দির, আনন্দময়ী কালিবাড়ি মন্দির এবং শ্যামসুন্দর মন্দির।
অষ্টাদশ শতকের শুরুর দিকে নাটোর রাজবংশের উত্থান ঘটে। ১৭০৬ সালে বানগাছির জমিদার গণেশ রায় ও ভবানী চরণ চৌধুরী চাকরিচ্যুত হলে দেওয়ান রঘুনন্দন জমিদারিটি তার ভাই রাম জীবনের নামে বন্দোবস্ত নেয়। ফলে নাটোর রাজবংশের পত্তন ঘটে।
পরে রাজা রাম জীবন নাটোর রাজবংশের প্রথম রাজা হন। বিশাল জমিদারির রাজধানী নিজ জন্মভূমিতে স্থাপনের উদ্দেশে রঘুনন্দন তার ভাই রাম জীবন ও পণ্ডিতবর্গ তৎকালীন ভাতঝাড়ার বিলকে পছন্দ করেন। তবে ভাতঝাড়ার বিল পুঠিয়া রাজা দর্পনারায়ণের সম্পত্তি হওয়ার কারণে তারা দুই ভাই রাজা দর্পনারায়ণের নিকটে বিলটি রায়তী স্বত্বে পত্তনীর আবেদন করেন।
এরপর নতুন রাজাকে রাজা দর্পনারায়ণ জমিটি ব্রহ্মোত্তোর দান করেন। রাজা রামজীবন বিলটি সমতল করে রাজবাড়ী স্থাপনার কাজ শুরু করেন। তিনি এলাকাটির নামকরণ করেন নাট্যপুর। সেসময় তার ভাই রঘুনন্দন মুর্শিদাবাদের বড়নগরে থাকতেন। রাজা রামজীবন এর মৃত্যু হয় ১৭৩৪ সালে।
বাবার মৃত্যুর পরে রামজীবনের দত্তক পুত্র রামকান্ত নাটোরের রাজা হন। তবে ১৭৪৮ সালে তার অকাল মৃত্যু হয়। পরে নবাব আলীবর্দী খাঁ রাজা রামকান্তর সহধর্মিণী রাণী ভবানীর ওপর জমিদারি পরিচালনার দায়িত্ব ভার দেন। রাণী ভবানীর রাজত্বকালে তার জমিদারিটি অনেকটা বিস্তৃত ছিল।
নাটোর রাজবাড়ীর পুরো এলাকাটি ১৯৮৬ সাল থেকে রানী ভবানী কেন্দ্রীয় উদ্যান হিসেবে উন্মুক্ত করা হয়েছে। আর উদ্যানটি এখন জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে।
রাজবাড়ী ভিজিট শেষ করে আপনি যাবেন উত্তরা গণভবন দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি। উত্তরা গণভবন নাটোর শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। শহরের মাদ্রাসা রোড থেকে রিকশা বা সিএনজি করে সহজে চলে যাবেন উত্তরা গণভবন বা দিঘাপতিয়া রাজবাড়ী।
সামনেই কাউন্টার জনপ্রতি প্রবেশ মূল্য ১৫ টাকা।
উত্তরা গণভবন ভিজিট শেষ করে দুপুরের খাবার খেয়ে নেবেন। উত্তরা গণভবনের সামনেই খাবারের হোটেল রয়েছে মোটামুটি মানের খাবার পেয়ে যাবেন।
দুপুরের খাবার শেষ করে চলে যাবেন হালতিবিল। উত্তরা গণভবন থেকে হালতি বিল ৮/১০ কিলো। সিএনজি ভাড়া করে সরাসরি চলেন যাবেন হালতি বিল বা পাটুল মিনি কক্সবাজার।
সেখানে গিয়ে প্রথমেই একটা নৌকা ভাড়া করে নিবেন।একটা মাঝারি সাইজের নৌকা ভাড়া নেবে 500 টাকা। তাদের সাথে চুক্তি থাকবে ৩/৪ গ্রাম ঘুরিয়ে দেখাবে। সেখানে ফুচকা, চটপটি, চা কফি সবই পাবেন।
আপনার ভ্রমণ আনন্দময় হোক এই কামনায়
#ronyexpress
Негізгі бет একদিনে নাটোর ভ্রমন || Natore travel || নাটোর রাজবাড়ি-উত্তরা গণভবন-হালতি বিল
Пікірлер: 16