#kasmirfiles
#gulmarg
#sonamarg
আসছে শীতকাল বেড়ানোর একটি উপযুক্ত সময়। এ সময় ঘুরতে যেতে দেশের বাইরে কাশ্মীরের সৌন্দর্যের লীলাভূমি ভূস্বর্গকে বেছে নিতে পারেন। আর হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত এই কাশ্মীরের রূপে মুগ্ধ হয়েছিলেন ভারতের মোঘল সম্রাট বাদশাহ জাহাঙ্গীর। তিনি কাশ্মীরকে স্বর্গের সাথে তুলনা করেছেন। ভৌগলিকভাবে কাশ্মীকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। সেন্ট্রাল, নর্থ এবং সাউথ কাশ্মীর।
এবার জেনে নিন কাশ্মীরের দর্শনীয় স্থানগুলোর নাম
কাশ্মীরের পুরো শহরটাই যেন স্বর্গ রাজ্য, দিগন্ত জোড়া উঁচু উঁচু পাহাড় আর সাদা বরফের মেলা। এ রাজ্যেই দেখার মতো নানা জায়গা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি স্থানের নাম দেয়া হলো। শ্রীনগর: শ্রীনগরে আছে মোঘল গার্ডেন, টিউলিপ গার্ডেন, হযরত বাল মসজিদ, ডাল লেক ও নাগিন লেক। গাড়ি ভাড়া করে সারাদিনের জন্য শ্রীনগর শহরটা দেখলে ভালো লাগবে। আরডাল লেকের ভাসমান শহরও ভালো লাগার মতো।
গুলমার্গ:
শ্রীনগর থেকে মাত্র ৫২ কিলো দূরে সবুজ ঘাসে বিস্তৃত গুলমার্গ, যা সারা বছরই বরফে ঢাকা থাকে। এখানে দেখতে পারবেন গন্ডোলা, গলফ কোর্স, বাবা ঋষির মাজার, আফারওয়াত পিক, সেন্ট ম্যারি চার্চ। ক্যাবল কার ছাড়াও প্যারাগ্লাইডিংয়ের মজা পাবেন গুলমার্গে।
পেহেলগাম:
শ্রীনগর থেকে ৯৭ কিলোমিটার দূরে ট্যাক্সি করে যেতে পারবেন পেহেলগামে। জুলাই থেকে অক্টোবরের মাঝে গেলে এখানে দেখা মিলবে রাস্তার দুধারের আপেল বাগান। আছে দেখার মতো অনেক কিছু যেমন- লিদার নদী, বেতাব ভ্যালি, চান্দেরওয়ারি, আরু ভ্যালি, ধাবিয়ান, কাশ্মীর ভ্যালি পয়েন্ট, কানিমার্গ, পেগেলহাম ভিউ পয়েন্ট। এখানের মিনি সুইজারল্যান্ড হিসেবে পরিচিত বাইসারানে ঘুরতে পারেন।
সোনামার্গ:
শ্রীনগর থেকে ৪২ কিলো দূরে সুন্দর উপত্যকা ও ঝর্ণার দেখা মিলবে সোনামার্গে। এখানে আছে থাজিয়ান হিমবাহ। এছাড়াও সিন্ধু নদী আছে স্লেজিং, স্নো বাইক ও ঘোড়ায় চড়ার সুযোগ। তবে কাশ্মীরে কিছু জায়গা রয়েছে যা শহর থেকে একটু দূরে, হয়তোবা অনেকেরই অজানা, তবে ভালো লাগার মতো। যেমন - মার্তণ্ড মন্দির শ্রীনগর থেকে ৬৪ কিলো দূরে অন্যরকম স্থাপত্যে গড়ে উঠা এক হিন্দু মন্দির। এখানে ‘হায়দার’ ছবির একটা বিখ্যাত গানের শুটিং হয়। ছোট্ট একটি শহর কোকেরনাগ, রয়েছে মাছ ধরার ব্যবস্থা। ছটপলে রয়েছে আছে কাঠ বাদাম ও আপেল বাগানের সমাহার। আরও যেতে পারেন নুব্রা উপাতাক্য ও দুধপতরির মতো জায়গায়।
কখন যাবেন কাশ্মীর
রূপে অন্যান্য কাশ্মীর যেকোনো সময়ই ভ্রমণ পিপাসুদের ভালো লাগার মতো একটি জায়গা। তবে কিছু বিশেষ সময়ে কাশ্মীরের সৌন্দর্য বিশেষভাবে ধরা পড়ে সবার চোখে। শীতকাল হিসেবে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে কাশ্মীরে চারিদিকে শুধু বরফ আর বরফ, সাথে স্নোফল। আর তাই এই সময় কাশ্মীরে গেলে চারপাশের এক অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য চোখে পড়বে। তবে শীতকালে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাড়তি সাবধানতার প্রয়োজন আছে।
কীভাবে যাবেন
কাশ্মীর যেতে পারেন প্লেনে, ট্রেনে বা বাসে। বিমানে যাওয়ার ক্ষেত্রে ঢাকা থেকে প্রথমে দিল্লি যেতে হবে, তারপর সেখান থেকে শ্রীনগর। তারপর শ্রীনগর থেকে গাড়ি করে পৌঁছে যাবেন কাশ্মীর। আবার, ট্রেনে যাবার ক্ষেত্রে প্রথমে ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে হবে। কলকাতা যাবার জন্য আছে মৈত্রী এক্সপ্রেস। ট্রেনে কলকাতা নামতে হবে তারপর ওখান থেকে ৩৫-৩৬ ঘণ্টা সফর করে ‘জম্বু’ যেতে হবে। কলকাতা থেকে জম্বু যাওয়ার জন্য ‘হিমগিরি’ ও ‘জম্বু তাওয়াই’নামের দুইটি ট্রেন আছে। সপ্তাহে তিন দিন (মঙ্গল, শুক্র এবং শনিবার) রাত ১১টা ৫০ মিনিটে কলকাতার হাওড়া থেকে জম্বুর উদ্দ্যেশে রওনা দেয় হিমগিরি ট্রেন। আর তাওয়াই প্রতিদিনই যাতায়াত করে হাওরা টু জম্বু, তবে সময় বেশিলাগে। সেক্ষেত্রে তাড়াহুড়া না থাকলে হিমগিরিতে যাওয়াই ভালো। তারপর জম্বু থেকে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার সফর শেষে শ্রীনগর যেতে হবে। শ্রীনগর থেকে গাড়ি করে পৌঁছে যাবেন স্বপ্নের শহর কাশ্মীরে।
বাসের ক্ষেত্রেও প্রথমে গ্রিনলাইন, সোহাগ বা শ্যামলি পরিবহনে কলকাতা থেকে জম্বু গিয়ে ওখান থেকে শ্রীনগরে পৌঁছে গাড়ি করে কাশ্মীরে যেতে হবে। ইচ্ছা হলে কলকাতা থেকে জম্বু অথবা শ্রীনগরে ‘ডোমেস্টিক বিমানে’ ও যেতে পারেন। তবে সেই ক্ষেত্রে ভাড়া একটু বেশি হবে।
কোথায় থাকবেন
থাকার জন্য শ্রীনগর ও জম্বুতে বেশ কিছু হোটেল, রিসোর্ট ও হাউজ বোট রয়েছে। এর মধ্যে হোটেল জামরুদ, হোটেল জাহাঙ্গীর, গ্র্যান্ড হোটেল উল্লেখযোগ্য। তবে ভালো টুরিস্ট এরিয়ায় যদি থাকতে চান তাহলে শ্রীনগরেরে ডাল লেকের পাশে রয়েছে বেশ কিছু হাউস বোট। যেমন-প্রিন্স অফ ভ্যালে, ইয়ং মর্নিং স্টার, নিউজিল্যান্ড হাউস বোট। তবে সেই ক্ষেত্রে খরচ অন্যান্য হোটেলের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হবে। আবার পেহেলগামের কটেজে থাকলে যদি নিজেরা বাজার করে দেয়া হয় তাহলে খরচ কম পড়বে। তবে এই ক্ষেত্রে অনলাইনে বুকিং না দিয়ে কাশ্মীর গিয়ে আপনার যে শহরে থাকতে ইচ্ছে হয় সেই হিসেবে হোটেল বুকিং দিলে ভালো।
কোথায় কী খাবেন
কাশ্মীর গিয়ে নানা ধরনের তাজা ফলের স্বাদ নিতে পারবেন। এছাড়াও কাশ্মীরের মাটন বিরিয়ানি বিখ্যাত। এখানকার ওজওয়ান
(নানা ধরনের খাবারের এক প্লেটার), কাশ্মীরি কাবাব, মাটন রোগান জোশ, ভেড়ার মাংস, পনির চামান, আলুর দম, টক
বেগুন, নাদরু ইয়াখনি বিখ্যাত। আর রফিক ক্যাফেটেরিয়ার কাবাব আর কুলফির স্বাদও মুখে লেগে থাকার মতো।
KASHMIR TOUR GUIDE | Kashmir tour from Bangladesh | চট্ট্রগ্রাম থেকে কাশ্মীর
#kashmir
#vlog
Негізгі бет KASHMIR TOUR GUIDE | Kashmir tour from Bangladesh | চট্ট্রগ্রাম থেকে কাশ্মীর
Пікірлер: 45