KUSHTIA DISTRICT of BANGLADESH | A documentary on KUSHTIA | History and Information | Kushtia has a long history since it's birth. Kushtia is actually a city of Mughal Period. During the British period, Kushtia has been established as one of the developed cities in Bengal province. Kushtia has some notable persons who contributed much to the bengali literature as well as anti-british movement. A number of company has also been set up in this district. Rabindranath Tagore stayed in Shilaidah of Kushtia for a long period of time and composed many of his notable works sitting at Shilaidah. Lalon Fakir is also the son of Kushtia. So it can be said that Kushtia has an enriched culture of its own. Enjoy the video and get more educative information. Thanks.
এক নজরে কুষ্টিয়া জেলা । কুষ্টিয়া জেলা ।বৃহত্তর কুষ্টিয়া।
কুষ্টিয়া জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। লালনের মাজার ছাড়াও এ জেলার শিলাইদহে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি ও মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা। এ জেলাতে রয়েছে ইসলাম বিষয়ক বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। কুষ্টিয়া জেলাকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়। কুষ্টিয়া শহর হলো এ জেলার প্রশাসনিক সদর এবং প্রধান শহর। এ জেলার মানুষের কথ্য ভাষাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে শুদ্ধ ভাষা অর্থাৎ বাংলাদেশে বাংলা ভাষার সবচেয়ে প্রমিত রূপ বলা হয়ে থাকে।
বহুপূর্বে কুষ্টিয়া অবিভক্ত ভারতের নদীয়া জেলার (বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে) অন্তর্ভুক্ত ছিল। এছাড়াও পাবনা জেলার মহকুমা ও থানা হিসেবেও রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ছিল এ জেলাটি। কোম্পানি আমলে কুষ্টিয়া যশোর জেলার অধীনে ছিল। ১৮৬৯ সালে কুষ্টিয়ায় একটি পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৭-এ ভারতবর্ষ ভাগের সময় কুষ্টিয়া পৃথক জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর মহকুমাসমূহ ছিল কুষ্টিয়া সদর, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর। তৎকালীন এস ডি ও মৌলভি আব্দুল বারী বিশ্বাস কে প্রধান করে ১৯৫৪ সালে গঙ্গা-কপোতাক্ষ প্রকল্পের সদর দপ্তর স্থাপন করা হয়। এ ছাড়া আরো বেশ কিছু সরকারি অফিস কুষ্টিয়ায় স্থাপনের পরে শহরটিতে পুনরায় উন্নয়ন শুরু হয়। কুষ্টিয়া জেলায় বাংলাদেশের সর্বপ্রথম রেলস্টেশন জগতি রেলস্টেশন, বাংলাদেশের প্রথম বালিকা বিদ্যালয় কুমারখালি পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় অবস্থিত।
কুষ্টিয়া জেলার আয়তন ১,৬২১.১৫ বর্গকিলোমিটার । এর উত্তরে রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা, দক্ষিণে চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলা, পূর্বে রাজবাড়ী এবং পশ্চিমে মেহেরপুর জেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলা ও মুর্শিদাবাদ জেলা অবস্থিত ।
কুষ্টিয়ার ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রধান নদীগুলো হল পদ্মা, গড়াই নদী, মাথাভাঙ্গা, কালীগঙ্গা ও কুমার নদী।
কুষ্টিয়া জেলা ৬টি উপজেলা, ৭টি থানা, ৫টি পৌরসভা, ৫৭টি ওয়ার্ড, ৭০টি মহল্লা, ৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ, ৭১০টি মৌজা ও ৯৭৮টি গ্রামে বিভক্ত। উপজেলাগুলো হলো:
কুমারখালী উপজেলা
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা
খোকসা উপজেলা
দৌলতপুর উপজেলা
ভেড়ামারা উপজেলা
মিরপুর উপজেলা
কুষ্টিয়া একটি প্রাচীন জনপদ। পূর্বে কুষ্টিয়া নদীয়া জেলার একটি মহকুমা ছিল। এখানে দেখার মত অনেক স্থান রয়েছেঃ
শিলাইদহ ও শিলাইদহ কুঠিবাড়ি
রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ী - কুমারখালি উপজেলার শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়ী রয়েছে;
ফকির লালন সাঁইজির মাজার - বাউল ফকির লালন সাঁইজির মাজার কুমারখালি উপজেলার চাঁপড়া ইউনিয়নের ছেউড়িয়া গ্রামে;
টেগর লজ - কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়ায় অবস্থিত এই দোতলা ভবনটি;
পরিমল থিয়েটার - কুষ্টিয়া শহরের স্থায়ী রঙ্গমঞ্চ;
গোপীনাথ জিউর মন্দির - নলডাঙ্গার মহারাজা প্রমথ ভূষণ দেব রায় কর্তৃক দানকৃত জমির উপর নির্মিত;
মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা - বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেনের বাস্ত্তভিটা কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়ায় অবস্থিত;
পাকশী রেল সেতু - কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অবস্থিত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেল সেতু;
লালন শাহ সেতু - কুষ্টিয়া জেলার পদ্মা নদীর উপর নির্মিত "লালন শাহ" সেতুটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু।
ঝাউদিয়া শাহী জামে মসজিদ - চারশো বছরের পুরনো ঝাউদিয়া শাহী জামে মসজিদ, নবাব শায়েস্তা খানের আমলে নির্মিত।
পদ্মা-গড়াই মোহনা - কুষ্টিয়া শহরের অদূরেই রয়েছে পদ্মা গড়াই নদীর মোহনা, অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত এ স্থানটি বরাবরই পর্যটকদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে।
এছাড়াও কুষ্টিয়া জেলাতেই রয়েছে দেশের প্রথম বালিকা বিদ্যালয় কুমারখালি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, দেশের প্রথম রেলস্টেশন জগতি রেলস্টেশন, দেশের প্রথম রেলসেতু গড়াই রেলসেতু, দেশের প্রথম রেললাইন, কুষ্টিয়ার বৃহত্তম বিল চাপাইগাছী-নান্দিয়ার বিল, স্বস্তিপুর শাহী জামে মসজিদ, 'গোল্ডেন ভিলেজ' খ্যাত দৌলতপুরের পঁচিশটি গ্রাম, বারাদি টেরাকোটা মঠ, খোকসা ফুলবাড়ি মঠ, গড়াই পাড়, উপমহাদেশের একসময়ের বৃহত্তম বস্ত্রকল মোহিনী মিল ইত্যাদি।
Негізгі бет KUSHTIA DISTRICT of BANGLADESH | A documentary on KUSHTIA | History and Information |
Пікірлер: 115