মাত্র দুই হাজার টাকা, আর হাতে ২ দিন সময় থাকলেই ক্যাম্পিং,কায়াকিং সহ চন্দ্রনাথ পাহাড়,খৈয়াছড়া ঝর্না,মহামায়া লেক এবং গুলিয়াখালি বিচ এর মত অপরুপ সুন্দর এই ৪ টি জায়গা ঘুরে আসতে পারবেন ।
রাতভর পাহারের মাঝে ক্যাম্পিং মাঝরাতে বার্বিকিউ সকালে উঠে কায়াকিং ,১২০০ ফিট উচ্চতার পাহার সহ গহিন অরন্যের ঝর্না কি নেই আমাদের এই ট্যুরে?
আমাদের ভ্রমণটি শুরু হবে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আর 19 নাম্বার কাউন্টার থেকে সীতাকুণ্ড গামী ট্রেনের টিকিট পেয়ে যাবেন। ১২০ টাকা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করবেন মনে রাখবেন এই ট্রেনে কিন্তু সিট পাওয়া অনেক কঠিন যে আগে উঠবে সে আগে সিট পাবে । জানালা দিয়ে সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে পরদিন সকালবেলা সীতাকুণ্ড রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে যাবেন ।
তারপর সীতাকুণ্ড বাজারেই কোন একটা হোটেলে সকালের নাস্তা সেরে নিবেন সকালের নাস্তা হিসেবে আমরা রেখেছিলাম রুটি আর ডাল যার মূল্য ৩০ টাকা । খাওয়া-দাওয়া শেষ করার পরেই এখান থেকেই একটা সিএনজি রিজার্ভ করবেন ভাড়া পড়বে ফুল সিএনজি 150 টাকা চার থেকে পাঁচ জন এখানে যেতে পারবেন ,আপনাকে একদম চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশে নামিয়ে দিবে ।
২০ টাকা দিয়ে একটা লাঠি কিনে এবং এক বোতল পানি নিয়ে পাহাড়ে ওঠা শুরু করবেন ওঠার সময় ব্যাগ টাক রেখে গেলে ভালো হয় এতে আপনারই সুবিধা হবে । ---------------এই পাহাড়ের উচ্চতা যেহেতু ১২০০ ফিট তাই উঠতে আপনার অনেক কষ্ট হবে এবং আপনার প্রথম থেকেই চেষ্টা করবেন ধীরে ধীরে ওঠার আর মাঝে মাঝে লেবুর শরবত অথবা পানি খেয়ে একটু জিরিয়ে নিতে পারেন ।এই পাহাড়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় দুইটা মন্দির আছে আমাদের গন্তব্য কিন্তু সেখানেই তবে ওঠার সময় কিছু বন্য প্রাণীর সঙ্গে আপনার দেখা হয়ে যাবে তারা নরমালি মানুষের খুব কাছাকাছি থাকে, তাদের কোনভাবে বিরক্ত করার চেষ্টা করবেন না তাহলে তারাও আপনার কিছু করবে না । দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা পরিশ্রম শেষে একদম সর্বোচ্চ চূড়ায় আমরা পৌঁছে গেছি আর এখানে একটা মন্দির আছে এই মন্দিরটা ছিল আমাদের গন্তব্য।এখানে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আমরা নিচে চলে যাব । চন্দ্র পাহাড় সম্পর্কে বিস্তারিত ভিডিও দেখতে চাইলে উপরের আই বাটনে ক্লিক করুন । তারপর পাহাড় থেকে নেমেই আমরা একটি সিএনজি ভাড়া করে সীতাকুণ্ড বাজারে আসি । দশটা থেকে ১১ঃ০০ টার মধ্যেই চন্দ্রনাথ পাহাড় থেকে নেমে আসার চেষ্টা করবেন।
এবার আমাদের গন্তব্য খৈয়াছড়া ঝর্ণা তাই সীতাকুন্ড বাজার থেকে বাসে করে আমরা বড় তাকিয়ে বাজারে যাব এবং ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ৩০ টাকা। বাসে উঠে বাস চালকে বলবেন খৈয়াছড়া ঝর্ণায় যাব তাহলে আপনাদেরকে এই জায়গায় নামিয়ে দেবে আর এখান থেকে সিএনজি করে আপনাকে খৈয়াছড়া ঝর্ণার পাল দেশে যেতে হবে আপনি চাইলে হেঁটেও যেতে পারেন কিন্তু অনেকটা দূরে প্রায় ৪ কিলোমিটার। আমরা একটা সিএনজি ভাড়া করি এবং আমাদের ভাড়া পড়ে জনপ্রতি ২০ টাকা। তারপর একটা সময় আপনাকে সিএনজি থেকে নামিয়ে দেবে , এখান থেকে আরও দুই কিলোমিটার আপনাকে পায়ে হেটে যেতে হবে তবে আপনি যাওয়ার আগেই এই হোটেল গুলোতে আপনার খাবার বুকিং করে যাবেন,কারণ আগে বুকিং করা ছাড়া এই হোটেলগুলোতে খাবার পাওয়া যায় না।
ইন্টারেস্টিং বিষয় হল এখানে ভাত ডাল থাকে আনলিমিটেড আর সাথে থাকে গরুর মাংস অথবা মুরগির মাংস এবং খাবারের মূল্য জনপ্রতি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা এর মধ্যেই আপনার সুবিধা মত দামাদামি করে নিতে পারবেন। তারপর পায়ে এংলেট পরে ঝরনার উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন । কারণ পাহাড়ি ঝিরি পথ অনেক পিচ্ছিল হয়ে থাকে। কিছুটা সামনে এগোতেই একটা টিকিট কাউন্টার পাবেন এখান থেকেই ২০ টাকা দিয়ে একটা টিকেট সংগ্রহ করবেন তারপর ভিতরে প্রবেশ করবেন । মনে রাখবেন আপনাকে অবশ্যই বিকেল পাঁচটার মধ্যে ফিরে আসতে হবে কারণ পাঁচটার মধ্যেই এখানকার সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এরপর দুর্ভাগ্যবশত আপনার যদি কোন বিপদ হয়ে যায় সাহায্য করার মত কেউ থাকবে না ।
এই পাহাড়ি কঠিন ঝিরিপথ পাড়ি দিয়ে আপনাকে সামনে যেতে হবে আর ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাঁটার পর আপনি পেয়ে যাবেন খৈয়াছড়া ঝর্নার প্রথম ধাপ নরমালি সবাই এইটাই দেখে পিছনে ফিরে যায় আর আপনি যদি আমাদের মত এডভেঞ্চার প্রেমী হন তাহলে বাকি স্টেপ গুলো দেখে যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে যে কোন সময় আপনার বিপদ আসতে পারে সব সময় একদম সতর্ক থাকতে হবে । এই ধরনের ট্যুরে চেষ্টা করবেন কয়েকজন মিলে আসার কারণ এখানকার প্রতিটা পদক্ষেপে আপনার বিপদ হতে পারে । আর কোন পথ গুলো বেছে নিলে আপনার সহজেই সবগুলো ঝর্ণার স্টেপ দেখতে পারবেন সেটা জানতে হলে উপরের আই বাটন থেকে এই ভিডিওটি দেখতে পারেন । কিছু কিছু পথ এমন পাবেন যেগুলোতে একটা ভুল হলেই হয়ে যেতে পারে মৃত্যু ্্তাই ওঠার সময় অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে নিজেকে । আমাদের মত করে আপনি একদম সেজ ধাপে আসতে পারেন যাইহোক আমরা এখন আবার নিচে চলে যাব এবং দুপুরের খাবার সেরে নেব । ঝর্ণাগুলো থেকে নামার সময়ও অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে কারণ পথগুলো অনেক বিপদজনক । খাবার হিসেবে আমাদের মেনুতে ছিল ভাত ডাল মুরগির মাংস আলু ভর্তা সবজি এবং সালাত । খাওয়া-দাওয়া শেষে আমরা কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেই তারপর আমাদের পরবর্তী গন্তব্য মহামায়া লেক এর উদ্দেশ্যে রওনা দেব.।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
For Business Inquiries Contract me
itstamim.ban@gmail.com
Facebook Page:
/ youtubertamim
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
#mahamayalake #shitakundo #its_tamim
Негізгі бет ক্যাম্পিং,কায়াকিং,পাহার,ঝর্ণা,সমুদ্র সব ছিলো এই ট্যুরে । SHITAKUNDO TOUR । MOHAMAYA LAKE|KHOIYACHORA
Пікірлер: 20