আলোকদিয়া গ্রাম। গ্রামটি মাগুরা জেলার বগিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নবগঙ্গা নদী। নদীটা অবশ্য বহুকাল আগে আলোকদিয়া গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ছিল। কালের পরিক্রমায় নদী সরে গেছে। শ্মশানও নদীর সাথে স্থানান্তরিত হয়েছে। নদী সরে গিয়েছে, রেখে গেছে আলোকদিয়া বাওড়। বাওড়ের এক কোণা এখানেই পড়েছিল। বাওড়ের এখানকার অংশটুকুও এখন নেই। কিন্তু শ্মশানের তিন/চার শতক জায়গা এখনও আছে। মানুষ এই শ্মশানে ভক্তি দিলেও চিতা জ্বলে না। শ্মশানকে কেন্দ্র করে এখানে রয়েছে একটি কালী মন্দির। কালী মন্দির ছিল বিশাল এক বটবৃক্ষের নীচে। বটগাছটিও মরে গেছে। বাংলা ১৩৮৫ সালে আর একটি বটের চারা লাগালেও বাঁচেনি। কিন্তু বটগাছের সাথে থাকা কচা গাছটি বিরাট আকৃতি ধারণ করে পূজো নিচ্ছে। পুখরিয়া গ্রামের ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী ব্যাক্তিত্ব আনন্দ গোপাল দে মন্দিরটিকে পাকা করে দিয়েছিলেন। কবিগানের জন্য একটি মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছিলেন। আনন্দ গোপাল দে মারা যাওয়ার পর মন্দিরটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে, কবিগানও বন্ধ হয়ে গেছে। মন্দিরের পাশে ছিল ব্রাহ্মণ পাড়া। কত বছর আগে থেকে তাদের বাস ছিল কেউ আর বলতে পারে না। দেশত্যাগের কারণে সেই ব্রাহ্মণ পাড়া আর নেই। তবে এখানে মালো পাড়াটি এখনও টিকে আছে। পূজোর সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করা হয়।
যেভাবে যাবেন-
মাগুরা-মহম্মদপুর সড়কের আলোকদিয়া বেলতলা থেকে বায়ের রাস্তা ধরে ২৫/৩০ কদম এগিয়ে বায়ের রাস্তা ধরে ১৫০ মিটার এগোলেই পেয়ে যাবেন কালী মন্দিরটি।
Follow us on social media👇🏻
🔰Facebook: / soptok.org
🔰Website: soptok.org/
#আলোকদিয়া_কালীমন্দির
#আলোকদিয়া_মহাশ্মশান
#আলোকদিয়া
#আলোকদিয়া_কালীতলা
#বগিয়া
#মাগুরা
Негізгі бет আলোকদিয়া কালী মন্দির | আলোকদিয়া কালীতলা | আলোকদিয়া শ্মশান কালী মন্দির | আলোকদিয়া | বগিয়া | মাগুরা
Пікірлер: 8