Khairani video link:
• KHAIRANI // GULMA HOME...
Sittong video link:
• SITTONG -- a Serene Pa...
Tinchuley video link:
• TINCHULEY/ যাবতীয় তথ্...
লামাহাট্টা হল একটি ছোট গ্রাম যা প্রায় 5,700 ফুট উচ্চতায় এবং প্রধান শহর দার্জিলিং থেকে 23 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পাইন বন এবং মাউন্ট কাঞ্চনজঙ্ঘার সুন্দর দৃশ্য দ্বারা বেষ্টিত এই মনোরম গ্রামটি 2012 সালের শেষের দিকে একটি ইকো-পর্যটন স্থান হিসাবে গড়ে উঠেছে ।
যদিও এটি একটি ছোট গ্রাম যেখানে কৃষিকাজ এবং গবাদি পশুপালন হল জীবিকার প্রধান উৎস, লামাহাট্টা দার্জিলিং-কালিম্পং রাজ্য সড়ক দ্বারা ভালভাবে সংযুক্ত। হানিমুন দম্পতি এবং যারা শহুরে জীবনের কোলাহল থেকে দূরে যেতে এবং কিছু দিনের জন্য প্রাকৃতিক নির্জনতা উপভোগ করতে চান তাদের
কাছে লামাহাট্টা খুবই আকর্ষণীয় । পাইন বা ধুপি বনে ঘেরা শান্তিপূর্ণ ও যানজটমুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশ। লামাহাট্টার প্রধান আকর্ষণ হল পার্ক এবং গ্রামের মধ্যে সুসজ্জিত বাগান। একটি ট্রেকিং রুটও তৈরি করা হয়েছে যা পর্যটকদের পাইন গাছের গোলকধাঁধা দিয়ে স্থানীয়ভাবে "জোরে পোখারি" (যমজ পুকুর) নামে দুটি সুন্দর পুকুরে নিয়ে যাবে। ভ্যানটেজ পয়েন্টে জায়গাগুলি চারপাশের দিকে নজরদারির টাওয়ার দিয়ে স্থাপন করা হয়েছে। লামাহাট্টা হল ভ্রমণকারীদের জন্য একটি নিখুঁত উপলক্ষ্য গন্তব্য যারা শহুরে জীবনের গুঞ্জন থেকে বিপরীত দিকে ট্র্যাক তৈরি করতে চান এবং নিয়মিত বিচ্ছিন্নতার প্রশংসা করেন, এর অসাধারণ এবং বিস্ময়কর ধরণের ফুলগুলি দৃশ্যকে আচ্ছাদিত করে এবং প্যাটিও নার্সারিগুলিকে জুড়ে দেয়। লামাহাট্টা দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর মতো সমস্ত সত্যিকারের ভ্রমণ কেন্দ্রের সাথে অনেক বেশি যুক্ত।
সাল ২০১২ দিনটা ছিল মার্চ মাসের ১ তারিখ সরকারি প্রশাসন গাড়িতে দার্জিলিং থেকে কালিম্পং যাচ্ছিলেন এই পথ দিয়ে, তখন গ্রামের কিছু মহিলা ও পুরুষ গোরু চড়িয়ে ও মাথায় কাঠের বোঝা নিয়ে যাচ্ছিলো এই পথ দিয়ে। এত গাড়ির কনভয় একসঙ্গে যাচ্ছিল দেখে ওরা ভয় ভয় চোখে অবাক হয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ওই লম্বা গাড়ির সারি দেখছিল। হঠাৎ একটা গাড়ি দাঁড়িয়ে গেল এবং এক ভদ্রমহিলা গাড়ি থেকে নেমে পথের ধারে বসে থাকা এক যুবক কে জিজ্ঞাসা করলো এই জায়গাটার নাম কি ? রাস্তার ধারে বসেছিল এক যুবক, ওই যুবক জানালো যে জায়গার নাম পিপলিধারা। আরও জানালো জঙ্গলের ওপরে দুটো পোখরি আছে, এটা গো চারণ ক্ষেত্র। এখানকার মানুষ জন বেশির ভাগই লামা সম্প্রদায়ের। এর পরে ওই ভদ্রমহিলা বিভিন্ন প্রশাসনিক ধাপ পেরিয়ে এই জায়গাটায় একটা সুন্দর পর্যটক কেন্দ্রর রূপ দেন।
এখানকার forest protection committee এর chairman Mr Wang Chuk Palzor , ৬২ বছরের এই তরুণ মনের মানুষটির ভূমিকাও এই লামাহাটাকে ঘিরে কাজ শুরু হয়। ২৯/০১/২০১৩ সালে এই পার্কের দ্বার উদ্ঘাটন করেন সেদিনের সেই ভদ্রমহিলা। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাই এখানকার মানুষের কাছে এই পার্কের ডাকনাম মমতা পার্ক। লামাহাটা ও তিন মাইল এর মাঝামাঝি বাঁ হাতি রাস্তাটা নিচের দিকে নেমে গেছে লামাহাটা গ্রামের দিকে। পুরো পথটাই তাকদা চা বাগানের মধ্যে দিয়ে গেছে দেড় কিমি। এই পথটা শুধুই পাথুরে পথ। ভারী সুন্দর এই পথ, চার পাশ সবুজ আর সবুজ তার মধ্যে দিয়ে লাল হলুদ পাহাড়ি পথ। মাঝে মাঝে পাহাড়ি মেয়ের দল মাথায় কাঠের বোঝা নিয়ে আমাদের শহুরে মানুষ দেখে হাসিতে গড়া গড়ি করতে করতে আড়ছোখে লাজুক চাউনি দিয়ে চা বাগানের বাঁকে হারিয়ে যাচ্ছে।
ছবির মতো সুন্দর এই পাহাড়ি ছোট্ট গ্রাম। সারা পাহাড় জুড়ে তাকদা চা বাগান। ১৮৭০ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার, ভুটান থেকে আগত এক কৃষক পরিবারকে পুরো এই অঞ্চলটাই দিয়ে দেয় চাষবাস ও গবাদি পশু পালনের ভূমি হিসাবেপিপলিধারা, মানে বনভূমি। এর রূপ দেখে পাগল হতে হয়। লামাহাটা পার্কের ওপরে আছে এক রহস্যময় সৌন্দর্য্য। জোড়পোখরি, পায়ে হেটে প্রায় দেড় কিমি পথ। পিচ রাস্তা থেকে ২ কিমি মতো পাহাড়ি দুর্গম পথ। গাড়িটা একটা ছোট্ট প্লেট এর ওপর রেখে, এর পর কুয়াশার ভিতর দিয়ে এক অজানা পথে হাটা শুরু হল। অবশেষে সেই পোখরিতে পৌঁছানো গেল, বেশ খানিক্ষন ওই নির্জন কুয়াশা ঢাকা পোখরির রেলিঙের ধারে গল্প গুজব হল। এত সুন্দর জায়গাটা ছাড়তে মন চাইবে না।
Негізгі бет লামাহাটা - A ROAD TRIP // Sightseeing // Offbeat North Bengal // VLOG NO-31
Пікірлер: 2