"মা-বাবার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং সন্তানের প্রতি মা-বাবার দায়িত্ব ও কর্তব্য" বুদ্ধের সিগালোবাদ সুত্রের আলোকে_ শ্রদ্ধেয় ড. সংঘপ্রিয় মহাথের ভান্তের ধর্মদেশনা।
In the Sigālovāda Sutta, a discourse given by the Buddha to Sigāla, the Buddha outlines the duties of children towards their parents. According to the sutta, children are advised to honor and respect their parents by supporting them in various ways. The specific duties include:
1. Supporting their parents financially: Children should provide for their parents' material needs and ensure they have a comfortable life.
2. Showing gratitude: Children should express their appreciation and respect towards their parents for the care and upbringing they have received.
3. Following their parents' advice: Children should listen to their parents' guidance and teachings, as they are based on wisdom and experience.
4. Upholding the family traditions: Children should maintain the family values and traditions passed down by their parents.
By fulfilling these duties towards their parents, children not only show respect and gratitude but also create positive karmic conditions for their own well-being and spiritual growth.
জন্মের জন্যে আমরা মাতাপিতার কাছে ঋণী। এই ঋণ অপরিশোধ্য। এ জন্য প্রত্যেক ধর্মেই পিতামাতাকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত’। ‘জননী স্বর্গ অপেক্ষা গরীয়সী’। “পিতা ধর্ম, পিতা কর্ম, পিতাই পরম তপস্যার ব্যক্তি’। পিতামাতা যেমন আমাদের স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে ছোট থেকে বড় করেছেন, তেমনি পিতামাতার প্রতিও আমাদের অনেক দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে।
সন্তানের সর্বপ্রথম দায়িত্ব হচ্ছে মাতাপিতাকে শ্রদ্ধা করা। তাঁদের শ্রেষ্ঠ সম্মানের আসনে প্রতিষ্ঠিত করা। তাঁদের প্রতি সবসময় বিনম্র আচরণ করা। মনে রাখতে হবে, মাতাপিতার শাসনের আড়ালে থাকে ভালোবাসা, মঙ্গল কামনা। তাঁদের মতো অকৃত্রিম স্বজন পৃথিবীতে দ্বিতীয় আর কেউ নেই।
মাতাপিতা যেমনই হোক না কেন, সন্তানের কাছে তারা সব সময় শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি। তাই তাঁদের অবাধ্য হওয়া কোনো ক্রমেই উচিত নয় । অবাধ্য সন্তান মাতাপিতার কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কৃতী সন্তান পিতামাতার কাছে মাথার মুকুটস্বরূপ। যে সন্তান মাতাপিতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও অনুগত, তারা জীবনে সাফল্য লাভ করে।
মাতা পিতার প্রতি কর্তব্য কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে একটি উদাহরণ দেয়া যায়- বায়েজিদ বোস্তামির (রা) অসুস্থ মাতার শিয়রে সারারাত পানির গ্লাস হাতে দাঁড়িয়ে থাকার ঘটনা এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মায়ের ডাকে দুর্যোগপূর্ণ রাতে সাঁতার দিয়ে দামোদর নদী পার হওয়ার কাহিনী কে না জানে । এঁরা সকলেই জীবনে সফল হয়েছেন এবং মহান ব্যক্তি হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছেন। কাজেই মাতাপিতার কথা মেনে চলা এবং তাঁদের প্রতি কর্তব্য পালন করা আমাদের জীবনে সফলতার সোপানও বটে।
অনেক মাতাপিতা আছেন, তাঁরা নিজে অশিক্ষিত হয়েও সন্তানকে উচ্চশিক্ষা দান করেন। সেই সন্তান পড়ালেখা করে উচ্চপদে আসীন হয়ে অনেক সময় তাদের মাতাপিতার প্রতি কোনো দায়িত্ব পালন করেন। না। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা দূরে থাক, ন্যূনতম দায়িত্ব ও কর্তব্যও পালন করেন না। এটা সবচেয়ে দুঃখের ও পরিতাপের বিষয়। কোনো সুসন্তান কখনো মা-বাবার প্রতি এমন অমানবিক আচরণ করতে পারে না। বৃদ্ধ অবস্থায় মা-বাবা সন্তানের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় তাঁদের অসুখ ও স্বাস্থ্যের প্রতি অধিক নজর দিতে হবে। তাঁদের সেবা-শুশ্রূষার প্রতি যত্নশীল হওয়া সন্তানের একান্ত কর্তব্য।
মাত পিতার প্রতি কর্তব্য যথাযথভাবে পালন সুসন্তান হওয়ার আবশ্যিক শর্ত। বাস্তব ও ব্যবহারিক জীবনে মা-বাবার সেবা ও তাঁদের প্রতি যথার্থ কর্তব্য পালন করে সন্তান হিসেবে নিজের জন্মঋণ শোধ করা উচিত। যদিও মা-বাবার ঋণ অপরিশোধ্য, তবু তাঁদের যেন অযত্ন, অবহেলা না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাদের মনে কষ্ট হয়, এমন আচরণ থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষত, বৃদ্ধ বয়সে মা-বাবা যদি সন্তানের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা না পান, এর চেয়ে দুঃখের আর পরিতাপের কিছু নেই। এ অমানবিক ও হীন কাজ কেউ যেন না করে।
মনীষীদের পিতামাতার প্রতি কর্তব্যের উদাহরণ : পৃথিবীতে যারা প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন এবং মহাপুরুষের খ্যাতি অর্জন করেছেন তারা প্রায় সবাই অবিচল নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছেন। আলেকজান্ডার বলেছেন_
“আমার মায়ের এক বিন্দু অশ্রু আমার শতপংক্তি মুছে দিতে পারে।”
সব পিতামাতার আকাঙ্ক্ষা এই যে, সন্তানরা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হােক, দেশ-বিদেশে তাদের খ্যাতিতে পিতামাতার মুখ উজ্জ্বল হােক।স্বনামধন্য পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কথা কে না জানে। পিতামাতার প্রতি তার অঢেল ভক্তির কথা আজ আমাদের মুখে মুখে ফিরছে। যে সন্তান পিতামাতার সন্তুষ্টি বিধান করে তার জীবন সার্থক।
“পিতামাতার আদেশ-নির্দেশ পালন কর; তারা অক্ষম হয়ে পড়লে তাদের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ কর না, সব সময় তাদের জন্য প্রার্থনা কর।”
প্রকৃতপক্ষে, পিতামাতা না হলে এ সুন্দর ভুবনের আলােবাতাস দেখা যেত না; এ ভুবনে আগমন করাই অসম্ভব হতাে। সুতরাং পিতামাতার অনুগত ও বাধ্য হওয়া সন্তানের অবশ্য কর্তব্য। পিতামাতার চেয়ে আপন জন কেউ নেই। তাই বলা চলে-
“পিতৃ মাতৃ ধন এ বিশ্বে বেশি আপন।”
www.facebook.c...
#সদ্ধর্মদেশক #বৌদ্ধ ধর্ম দেশনা #বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার মহাসচিব #ড.সংঘপ্রিয় মহাথের #মা-বাবার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য
Негізгі бет মা-বাবার প্রতি সন্তানের এবং সন্তানের প্রতি মা-বাবার দায়িত্ব ও কর্তব্য!দেশনায়'ড. সংঘপ্রিয় মহাথের
Пікірлер: 4