মোবাইল এর ক্ষতিকর রশ্মি - আপনার শিশুর ব্যাপারে আপনি কি সচেতন ?
এক সময় রূপকথার গল্প শুনিয়ে শিশুদের খাওয়ানো কিংবা ঘুম পাড়ানো হতো। আজকাল মোবাইলে কার্টুন কিংবা গেমসে ভোলানো হয় শিশুদের।
করোনার দুঃসময়ে দেশের শতকরা ৯০ ভাগ পরিবারে এখন শিশুদের খেলনার সামগ্রীর প্রথমেই রয়েছে মোবাইল ফোন। শিশুর বায়না পূরণে মোবাইলে গেমস দেখা বা গান শোনা যেন এক ধরনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
মোবাইল ফোনের বিকিরণের কারণে অন্ধত্বসহ চোখে ভয়াবহ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে শিশুদের।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, কোমলমতি শিশুদের এই মোবাইল আসক্তি একদিকে যেমন মেধা ধ্বংস করছে, তেমনি আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পাচ্ছে কর্মস্পৃহা। মাত্রাতিরিক্ত হারে সেলফোন ব্যবহারে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ। তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে বাস্তবিক জগতের চেয়ে ভার্চুয়াল জগতের প্রতি মোহ ও আসক্তি বাড়ছে শিশুদের। ঘন্টার পর ঘন্টা তারা বুঁদ হয়ে থাকছে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসে। শারীরিকভাবেও শিশুরা নানা সমস্যায় পড়ছে শুধু এই অতি-আসক্তির কারণে। শুধু শহরে নয়, গ্রামপর্যায়ে স্কুলপড়ুয়া বাচ্চাদের বায়না মেটাতে মা বাবাকে ধারদেনা করে হলেও কিনে দিতে হচ্ছে দামি মোবাইল সেট।
ইউনিসেফের তথ্য অনুসারে, বিশ্বে প্রতি তিনজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর একজন শিশু।
বিশেষজ্ঞরা মোবাইল ফোন আসক্তির বিষয়ে বলেছেন, এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। মোবাইল ফোন থেকে নির্গত রশ্মি দৃষ্টিশক্তির ভীষণ ক্ষতি করে। যেসব শিশু দৈনিক তিন - চার ঘণ্টা মোবাইল ফোনে ভিডিও গেমস খেলে, খুব অল্পবয়সে তাদের চোখের সমস্যা হবে।
তথ্য প্রযুক্তির এ যুগের সাথে আমাদের শিশুরা তাল মিলিয়ে কবে তবে লক্ষ্য রাখতে হবে তা যেন শিশুদের জন্য ক্ষতিকর না হয়।
Copyright Disclaimer Under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use.
Негізгі бет মোবাইল এর ক্ষতিকর রশ্মি আপনার শিশুর ব্যাপারে আপনি কি সচেতন
Пікірлер