#desh_deshantor
#প্রবাসীর_খবর
#banglanews
#deshdeshantor
#দেশ_দেশান্তর
তুলি, মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী বাংলাদেশি তরুণী। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে চলে আসেন মালয়েশিয়ায়। এরপর থেকে তার ওপর অত্যাচার শুরু হয়। মেয়ের ওপর এ অত্যাচার সইতে না পেরে তার বাবা স্ট্রোক করে মারা যান। এরপর থেকেই তার জীবনে নেমে আসে বড় ঝড়। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অর্থাভাবে না পারছে চিকিৎসা নিতে, না পারছে টিকিট কেটে দেশে ফিরে যেতে।
তুলির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল পড়ালেখা করানোর কথা বলে। গত ২৩ মে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে এক কর্মকর্তার কক্ষে বসে তুলির জীবনে ঘটে যাওয়া ঝড়ের এ গল্প যেন শেষ হচ্ছিল না। ঢাকার দক্ষিণ খানের (রাজলক্ষ্মী মুন্সি মার্কেট) জলিল মোল্লার ছেলে মো. মোস্তফা কামালের স্ত্রী ও মুন্সিগঞ্জের ফুলতলার আমিনুল হকের মেয়ে তুলি (২০)। সবার পছন্দে পারিবারিকভাবেই ২০১৫ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় তুলি আকতার ও মোস্তফা কামাল।
বিয়ের এক সপ্তাহ পর মালয়েশিয়ায় চলে আসে মোস্তফা কামাল। মেয়ে তুলে নেয়ার আগ পর্যন্ত তার বাবার বাড়িতে থেকে পড়ালেখার সুযোগ দেয়া হবে, বিয়ের আগে এমন কথা থাকলেও শ্বশুরবাড়ি থেকেই পড়ালেখা চালাতে হয় তুলিকে। সব খরচ তুলির বাবাই বহন করতেন। স্বামীর সঙ্গে বিদেশ আসার পর নানা অত্যাচার ও তুলির কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এসব যন্ত্রণা আর নিষ্ঠুরতা মেনে নিয়েই চলতে থাকে তুলির সংসার। এর মধ্যে তার স্বামী কামাল দেশে চলে যায়। তুলির বাবাও যৌতুক দেয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকা ম্যানেজ করেন। পরে একমাত্র মেয়ের অত্যাচারের কথা সইতে না পেরে স্ট্রোক করে হাসপাতালেই মারা যান তিনি। যৌতুকের টাকা আর দেয়া হয়নি।
তুলির জীবনের এ গল্পের বাকিটা শুনি তুলির মুখ থেকেই।
Негізгі бет মালয়েশিয়ায় গিয়ে তুলির জীবনে নেমে এলো ঝড় || Desh Deshantor
Пікірлер: 1,2 М.