কখন আপনার একজন সাইকিয়াট্রিস্ট এর কাছে যাওয়া উচিত?
মানসিক রোগ মানেই পাগল?
আমাদের মনে মাঝে মাঝেই মন খারাপ হয়
রাগ লাগে
টেনশন হয়
অস্থির লাগে
ভয় লাগে, বা রাগ ও জেদ হয়
কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করে না।
যা নানাভাবে চেষ্টা করেও সমাধান করা যায় না, যখন তা স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে, অর্থাৎ দৈনন্দিন, সামাজিক ও পেশাগত কার্যাবলিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাধাগ্রস্ত করে এবং যখন তা ব্যক্তির নিজের ও অন্য মানুষের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, সে ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবীর সহযোগিতা নেওয়া অতি জরুরি।
মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবী কারা
সাইকিয়াট্রিস্ট
ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ও কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট
কাউন্সেলর ও অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্যসেবার কর্মী।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?
গুরুতর ও সাইকোটিক
সিজোফ্রেনিয়া
বাইপোলার মুড ডিসঅর্ডার ইত্যাদি
এসব রোগের ক্ষেত্রে ওষুধ অনিবার্য।
এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় একমাত্র অবলম্বন ওষুধ।
পরবর্তী সময়ে ব্যক্তি যখন স্থির অবস্থায় আসে এবং নিজের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে বুঝতে পারে,
তখন ওষুধের পাশাপাশি সাইকোথেরাপি প্রয়োজন হয়।
নিউরোটিক রোগ
অ্যাংজাইটি
ডিপ্রেশন
ওসিডি
কনভার্সন ডিসঅর্ডার
প্যানিক ডিসঅর্ডার
এ ক্ষেত্রে ওষুধের পাশাপাশি সাইকোথেরাপি প্রয়োজন হয়।
অপেক্ষাকৃত কম গুরুতর রোগ (যেমন-ফোবিয়া, সোশ্যাল অ্যাংজাইটি, সেপারেশন অ্যাংজাইটি ইত্যাদি), আচরণগত বিভিন্ন সমস্যা ও সম্পর্কজনিত জটিলতার ক্ষেত্রে সাইকোথেরাপি ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা দিয়ে ব্যক্তিকে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে সহযোগিতা করা হয়।
এসব ক্ষেত্রে কখনো কখনো স্বল্পকালীন ওষুধের প্রয়োজন হয়।
মানুষ বলেঃ
বড় হলেই ঠিক হয়ে যাবে,
শাসন করলেই ঠিক হয়ে যাবে,
কিছুদিন দেখা যাক,
বিয়ে দিলেই ঠিক হয়ে যাবে,
চিকিৎসার নামে শুধু শুধু পয়সা নষ্ট,
পাগলের চিকিৎসা নেই ইত্যাদি।
কেউ কেউ তাবিজ কবজ দেয়
তখন ঝাড়ফুঁক, তাবিজ, পানিপড়া, মন্ত্র, ঝাড়ানো ইত্যাদি
কাউন্সলিং ই সব কিছু?
কাউন্সলিং হচ্ছে চাটনীর মতো। কাচ্চি বিরিয়ানীর সাথে চাটনী খুব মজা লাগে। কিন্তু শুধু চাটনী খেলে আপনার পেট ভরবে না!
সব ধরনের মানসিক রোগ বা সমস্যার জন্য একই রকম চিকিৎসাব্যবস্থা না।
সমস্যা বা রোগের ধরন ও তীব্রতার ওপর নির্ভর করে চিকিৎসার প্রক্রিয়া ভিন্ন হয়ে থাকে।
সাইকিয়াট্রিস্টের লিখিত অনুমতি ছাড়া কখনোই ওষুধ গ্রহণ করা যাবে না এবং ওষুধ সেবন বন্ধ করাও যাবে না।
মনের রোগের চিকিৎসায় মাল্টিডিসিপ্লিনারি পদ্ধতিতে দলগতভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা করতে হয়, যেখানে সাইকিয়াট্রিস্ট, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট একত্রে কাজ করেন।
যেকোনো ব্যক্তি তাঁর মনের কষ্ট বা সমস্যার কথা খুলে বলে সহযোগিতা পেতে পারেন ওপরে উল্লেখিত পেশাজীবীদের যেকারও কাছে। এমনকি বিশ্বাসযোগ্য বা ভরসা করা যায়, এমন কোনো কাছের মানুষের সঙ্গে কথা বলেও মন হালকা করতে পারেন, সাহায্য পেতে পারেন এবং মনের রোগের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে উপকৃত হতে পারেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে কোনো সমস্যায় ভুগছেন বা তীব্র ধরনের কোনো মানসিক রোগে ভুগছেন-এমন ক্ষেত্রে শুধু সমস্যা শেয়ার করলেই হবে না, মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের পরামর্শ নিতে হবে।
আচ্ছা কথা হলো সাইকিয়াট্রিস্টের মানসিক সমস্যা হলে কার কাছে যাবেন? তাকেও আরেকজন সাইকিয়াট্রিস্ট দেখাতে হবে!
Негізгі бет Тәжірибелік нұсқаулар және стиль মানসিক রোগী চিনিবেন কিভাবে চিকিৎসা কী? ডাঃ আহমাদ হাবিবুর রহিম
Пікірлер: 7