মৃত দেহে নেই প্রাণ, আছে কেবল চামড়া ও হাড়
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার ভেতরে প্রাণী জাদুঘরটি অবস্থিত। জনপ্রতি ১০ টাকার টিকেট মূল্য নিয়ে দেখা যাবে কালক্রমে হারিয়ে যাওয়া সেসব মৃত প্রাণীদের। এই প্রাণীরা মারা যাওয়ার পরেও নানা ঔষধ প্রয়োগ করে জ্যান্ত প্রাণীর ন্যায় রূপ ধরে রাখা হয়েছে।
জাদুঘরের গেট দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়বে বিশাল আকারের এক তিমির কঙ্কাল। কাচের ভেতর বাদামি রঙে বার্নিশ করে রাখা কঙ্কালটির বিশালতা যে কাউকে মুগ্ধ করবে।
জাদুঘরের ভেতরে ১০০ মতো প্লাস্টিকের জারে পানির মতো তরল একজাতীয় পদার্থের ভেতর সাজিয়ে রাখা হয়েছে পশুপাখিদের ডিম ও ভ্রুণ। এমনকি কিছু প্রাণীর চামড়াও একইভাবে বোতলে ভাঁজ করে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। বোতলগুলোর মধ্যে বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণী ও বিভিন্ন পাখি ও সরীসৃপের ডিম, বাচ্চা।
আছে- অজগর সাপের বিশাল আকারের কয়েকটি ডিম, উটপাখির দুইটা ডিম (ডিমগুলো আকারে বড় হওয়ায় জারে মাত্র দুটি ডিম রাখা সম্ভব হয়েছে); পাশের বোতলগুলোতে সংরক্ষিত ছিল বিভিন্ন জাতের সাপ। সাপগুলোকে দেখে বোঝার উপায় নেই এগুলো যে মৃত। প্রতিটি বোতলের গায়ে সাপগুলোর কোনটি কোন জাতের তা লিখে রাখা হয়েছে- মণিরাজ, বংকরাজ, পংখীরাজ, শঙ্খিনি সাপ, বাঁশনল সাপ, সোনালি সাপ ও কাল সাপসহ কুমিরের সদ্যজাত বাচ্চা এবং গন্ডারের চামড়া।
আরও দেখতে পাবেন শিম্পাঞ্জির বাচ্চা (ভ্রুণ), উল্লুকের বাচ্চা, শুকরের বাচ্চা, হায়নার বাচ্চা ও বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণী। বড় কাঁচ ঢাকা এক বাক্সে সবুজ সামুদ্রিক কচ্ছপকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। আকারে বড় বলে এর জায়গা হয়নি ছোট কোন বোতলে, তাইতো আলাদা করে বড় বাক্স বানিয়ে একে সাজিয়ে রাখা হয়েছে দর্শণার্থীদের জন্যে। পাশের আরেকটি কাঁচবন্দী বাক্সে ছিল মাঝারি আকারের দুটো শুশুক।
এছাড়াও বাঘ, চিতা বাঘ, কালো বাঘ, সাইবেরিয়ান টাইগার, জেব্রা, জিরাফ, কালো বানর, সাদা হনুমান, লাল পান্ডা ও ময়ুর থেকে শুরু করে নানান বড় পাখির দেহ সংরক্ষিত আছে।
এছাড়াও চিড়িয়াখানার এই জাদুঘরে মৃত প্রাণীদের পাশের আরেকটি ঘরেই রাখা আছে বড় বড় কয়েকটি অ্যাকুরিয়াম। অ্যাকুরিয়ামগুলোতে মৃত নয়, রাখা হয়েছে নানা প্রজাতির জ্যান্ত সামুদ্রিক মাছ। কোনটিতে রাখা হয়েছে কমেট মাছ, কোনটিতে আছে গোল্ডফিশ, সিলভার ডলার, টাইগার শার্ক আবার ডোরাকাটা টাইগার বার্ব মাছ।
• মিরপুর চিড়িয়াখানায় খুব...
• মাত্র ২৯০ টাকায় রাজশাহ...
Негізгі бет মৃত জীবজন্তু মমি বানিয়ে সংরক্ষণ
Пікірлер