বাংলাদেশীরা নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য ও পশ্চিম পাকিস্তানীদের শোষণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অবতির্ণ হয়। গতপর্বের ভিডিওতে আমরা দেখেছি কিভাবে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা শুরু করলো। আর আজকের পর্বে আমরা জানব এই যুদ্ধে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সহায়তা সম্পর্কে এবং ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ সামরিক বাহিনী কিভাবে পাকিস্তানিদের কাবু করলো সে সম্পর্কে।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বের একেক দেশ একেক পক্ষ অবলম্বন করে। বিশেষ করে ভারত, সোভিয়েত রাশিয়া বাংলাদেশের পক্ষ অবলম্বন করলেও শক্তিশালী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করে। ইউরোপের অনেক দেশই নিরপেক্ষ অবস্থা ধরে রাখলেও সেসব দেশের সাধারণ জনগন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলেছে ও সহায়তা করেছে। গোটা বিশ্বের জনগনই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে সমর্থন জানায়।
মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা ছিলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২৫ মার্চের গণহত্যার খবর ভারতই প্রথম বিশ্ববাসীর নিকট তুলে ধরে। বাংলাদেশের প্রায় ১ লাখ ঘরছাড়া মানুষকে ভারত আশ্রয় দেয়, শুধু আশ্রয় দেয় না, সেই মানুষগুলোর খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, অস্ত্র সরবরাহ ও যুদ্ধের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। এতো মানুষের পেছনে খরচ করার জন্য ভারত সরকার সেদেশের মানুষের উপর আলাদা কর চালু করে। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করে সেসব দেশকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানায় ও এর পক্ষে সমর্থন গড়ে তোলে। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ২য় দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেয়। তাদের সামরিক বাহিনীকে বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধেও নামায়। সে সম্পর্কে একটু পরেই আলোচনা করব। তার আগে, সোভিয়েত ইউনিয়ন বা বর্তমান রাশিয়ার ভূমিকাটা একটু জানি।
#itihashshikho
#shikhobangladesh
Негізгі бет মুুক্তিযুদ্ধের যৌথ কমান্ড গঠন ও বৈশ্বিক সহায়তা। স্বাধীনতার ইতিহাস পর্ব-১৩ । ইতিহাস শিখো। Shikho
Пікірлер: 8