নাম , নামের অর্থ মানে চিন্তামণি, কৃষ্ণচৈতন্য , রসবিগ্রহ , নিত্য শুদ্ধ , নিত্য মুক্ত, সর্বমঙ্গল কারক, অভিন্ন চিত্ত " নাম নামিনো :"। নাম হইলো কণ্ঠের হার। যেই নাম, সেই কৃষ্ণ। যেই নাম, সেই ভগবান। নাম ছাড়া জগতে কেউ ত্রাণ পাইতে পারে না। নামের মধ্যে সব আছে। পানের মধ্যে নাম গাঁথা থাকিবে , এইটা মনে থাকা চাই। নামের আশ্রয় থাকিলে জীব অদৈত হয়। বৃহস্পতি শ্রীভষ্ট হইয়া মায়াবদ্ধ হইলে জীবের সৃষ্টি হয়। নাম চৈতন্যময়। নামই , সত্য, ত্রেতা , দ্বাপর , কলি , এই চার যুগের সমস্টি।
জন্ম আর মৃত্যু, এই দুইটাতে অষ্টকাল হয়। অষ্টকাল উদ্ধার হইলে শ্রীপদ লাভ হয়। উদয় আর অস্ত মিলিয়ে ৪ কাল হয়। আবার অস্ত আর উদয় মিলিয়ে ৪ কাল হয়। দিনকে ধরিয়া নিবেন জন্ম। আর রাত্রিকে ধরিয়া নিবেন মৃত্যু। তাই জন্ম আর মৃত্যু নিয়ে ৮ কাল হইলো। নামের স্মরণে এই আটকাল উদ্ধার হয়। এই নামের মধ্যে সব আছে।
নাম হইতেছে কণ্ঠার হার। এই নামের গুনেই , সীতার রাম হইতাছে আর প্রহ্লাদের নরসিংহ উদ্ধার হইতাছে। দীক্ষা হইলো জ্ঞান। নাম করিতে করিতে জ্ঞান লাভ হয় , তখনই দীক্ষা হয় আর ভাগবত দর্শন হয়। এই নামই ধর্ম, কর্ম,অর্থ, কম সব কিছু উদ্ধার করে।
ব্রম্মতেজের উৎপত্তি হইলে পাপ থাকেনা। সূর্য উদয় হইলে গুহার ভিতর কিন্তু অন্ধকার থাকে। কিন্তু গুরুর উদয় হইলে জীবন হইতে সব অন্ধকার মুক্ত হয়। এই জগৎটা প্রাণময়, তবে কেন তাহাকে খুঁজি ? কারণ , যা খুঁজিতেছি , তাহা পাইলে তো আর খুঁজিতে হয়না। তাই খুঁজিতে হয় ভক্তির ভাব। গুরু বিচার করিতে নাই। গুরু যে বীজমন্ত্র দেন , তাহা ধরিয়া রাখিতে হয়।
গঙ্গাজলে যদি কূপের জল ফেলা হইলে গঙ্গাজল , গঙ্গা জলই থাকে কিন্তু কূপের জলের মধ্যে গঙ্গাজল ফেলিলে তাহা কখনো গঙ্গাজল হইতে পারেনা। সত্যনারায়ণ ভান্ডার পাস্ হইয়া গেলে আর কোনো কিছুর পাশের দরকার পড়েনা। আমি আছি , আমার ভক্তগন গোবিন্দ ভাব পাইবেন। আমার , তোমার আর আপনার মধ্যে একটি অখণ্ড "মা" আছেন। সেই মা কে পাইবেন না। শিব যদি ব্রমান্ডে আর শক্তি থাকে পাতালে। শিবশক্তি এক হইলে তবেই মাকে পাওয়া যায়।
আমি যদি অব্যয়কে আশ্রয় করি তাহা হইলে অব্যক্ত হই। আমি যদি খন্ডকে আশ্রয় করি তবে খন্ড খন্ড হইয়া যাই। আকাশ ছাড়িয়া আমরা অন্য কিছু দেখিতে পারিনা, কারণ আকাশ সর্বত্র। কর্তৃত্ব ছাড়িয়া পতিসেবা করিলে সত্যনারায়ণ পাওয়া যায়। পতি অর্থাৎ সত্যনারায়ণ- এর অধীনে সদাই বাস করিতে হয়। তার প্রতীক্ষায় সদাই বাস করিতে হয়, পরে প্রাপ্তি হয়। দেহের সাথে পঞ্চ জিনিস মিত্র হইয়া প্রপঞ্চ অর্থাৎ অন্ধকার দ্বারা আটক হয়। সকলেই মাটিতে লয় হয়। চন্দ্র, সূর্য , গ্রহ, তারা এদের সকলেরই পরস্পরকে প্রয়োজন আছে। সত্য ছাড়িয়া অসত্যকে ধরিলে অভাব হয়।
কর্তা হইলেই পাপ করে। যদি কর্তৃত্ব না করি তখন পাপ পুন্য থাকে না। আমি কর্তা হইয়াই পাপ করি। কর্তা হইলেই মনের অধীন হয়। আপন পর ভেদ হয়। তাই পাপ পুন্য হয়। কর্তা মুক্ত হইলেই আর কিছু থাকে না। আমি করতে হইলে , আমি ঘুমাই কোনো ? আমি কে ? তুমি কে ? তোমারই বা কে ? আমারই বা কে ? এগুলি বিচার কোরিয়া দেখিবে। কর্তা হইয়া কিছু করিতে গেলে তার শেষ হয়না। কাজেই কর্তা হইয়া কিছু করিতে হয়না। ঘুমে শান্তি আসে কর্তৃত্ব দানে। যদি ঘুমটা আপন কোরিয়া নিতে পারেন , তাহা হইলে সত্যের কোলে যাওয়া যায়।
নামকে ধরিয়া থাকিলে নামের শক্তিতে সব হয়। শব্দটা ব্রম্ম , যেটা উচ্চারিত হইয়া আসে , কিন্তু যে ইহার উচ্চারণ কর টরে বিচার করার দরকার কি ?। যা পাইয়াছি সেটাই ব্রম্ম। সেটারই অধীন হও। এই শরীর আমার নয় , এই চক্ষু আমার নয় , কারণ আমি দিন দিন ক্ষয় হইতেছি। বেদের থেকে যাহা হয় তাহা সত্য। বেদভিন্ন যাহা করা যায় তাহা অসত্য। আমি চলিলে সব চলিবে। আমি অচল হইলে সব অচল। আমি সত্য আর বাকি সব মিথ্যা। আমি যাহা পারিনা সেটা নামই করিবে। জগৎ তা সত্যনারায়ানের, এই সত্য যখন চৈতন্য হয় তখন আনন্দ হয়। নামই এই কলির একমাত্র আশ্রয়। নাম ছাড়া এই জগতে কেউ ত্রাণ করিতে পারে না।
শরীর মড়ার সময় পরে থাকে, বাহির হয় খালি প্রাণ। যেটা বাহির হয় তাকে ধরবেন। তাই প্রাণকে নামের সাথে যুক্ত করবেন। যেটা চিরকাল থাকে সেটা ধরতে হয়। আমাকে খুঁজতে গেলে আমার দেহতো আর আমি না, আকাশের মধ্যে সব আছে। নামকে ধরে রাখাই ধর্ম। সর্ব শাস্ত্রে হরি আছে। হরিনাম এমন ভাবে জপিবেন যেমন একজনের সাথে ভাব হয়। তেমনি ভাবে নামের সাথে ভাব করিতে হইবে। নামকে ত্যাগ করিতে নাই। নাম ভিন্ন ঋণ শোধ হয়না। নামকে আশ্রয় করিলে আর যাওয়া আসা থাকে না। নাম সংকীর্তন ছাড়া উপায় নাই।
"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম , রাম রাম হরে হরে। "
জয় রাম। জয় গোবিন্দ।
ডিসক্লেইমার :
আমি এই ভিডিওটি করেছি ইন্টারনেট ও গুরুদেবের নানারকম বই পড়ে। বিশ্বাস এবং অবিশ্বাস যার যার নিজের উপরে। আমার ভিডিওটিকে একটি নিছক প্ৰয়াস হিসাবেই ধরতে আপনাদের অনুরোধ করবো।
মিউজিক : Music by Soulmusic from Pixabay
পিকচার : সমস্ত পিকচার এডিটেড করা হয়েছে এবং সমস্ত পিকচার ইন্টারনেট হইতে সংগৃহিত করা হয়েছে।
আমাদের এই ভিডিও তৈরী করার একমাত্র উদ্দেশ্য হইলো গুরুদেবকে সন্মান জানবার। কোনো ধর্মকে আঘাত করিবার উদ্দেশ্য আমাদের নয়। ঘটনাটি শ্রুতিমধু করিবার জন্য মূল ঘটনাটির কিছু পরিবর্তন করিয়া সম্পূর্ণ ভাবে ব্যাখ্যা করা হইয়াছে। এবং এই ব্যাখ্যার জন্য আমরা ব্যাতিত আর কেউ দায়ী নয়। এই গল্পটিতে কোনো পশু ,পাখি অথবা কোনো জীবের ক্ষতি বা হত্যা করিবার কথা উল্লেখ করা হয় নাই। এই ঘটনাটিতে কোনো ধর্মকে আঘাত করা হয় নাই। এই লেখনীটি সম্পূর্ণ আমার। জয় রাম। জয় গোবিন্দ।
Негізгі бет Фильм және анимация নামের মাহাত্ম। NAMER MAHATTO | UNVOCAL | SRI RAM THAKUR | RAM THAKURER BANI | RAM THAKURER LILA
Пікірлер: 99