||পাহাড়ের_কোল_ঘেঁষে #মন মাতানো গল্প#"পাঁচদিনের পরিচয়ে কেউ চারটা বছর অপেক্ষা করে না। সে আর ফিরবে না।"#হৃদয়ছোঁয়া একটি গল্প |সত্য ঘটনা অবলম্বনে # Romantic Story|| Bangali Short Story#Bangla Story#Love kahini
#লেখায়:#নাজমুন বৃষ্টি
"পাঁচদিনের পরিচয়ে কেউ চারটা বছর অপেক্ষা করে না। সে আর ফিরবে না। তুই তোর জীবন আবার নতুন করে শুরু কর।" বান্ধবীর বলা কথাটায় পৃথার দৃষ্টি ঝাঁপসা হয়ে এলো। সে ঝাঁপসা দৃষ্টিতে মলিন হাসলো। ইরা আরো চেপে ধরা কণ্ঠে জানালো, "তুইও জানিস তুই বৃথা আশা করছিস।" পৃথার জবাব না পেয়ে সে আবারো বলে উঠল,
"প্রথম প্রথম তো ভাবতি সে এলো বলে! কিন্তু এভাবে চারটা বছর নষ্ট করলি বৃথা আশার জন্য।""নষ্ট কই করলাম! আমি তো ঠিকই এগিয়ে গেলাম। এই যে সেই স্নাতক শেষ করে ফেললাম!"
"এটাকে এগিয়ে যাওয়া বলে না। নিজের আসল সত্ত্বাকে তো হারিয়ে ফেলছিস।""কই হারালাম?" "গুটিয়ে নিয়েছিস।""সে তো নিজের প্রয়োজনে।" "আর আমাদের?""তোদের কী?""আমরা যে আমাদের হাসিখুশি সেই চঞ্চল অনুকে আর দেখিনি।"
পৃথা জবাব দিল না। ইরার একটা কথাও মিথ্যা নয় তাই সে জবাব খুঁজে পেল না।
"শোন,আর কোনো অপেক্ষা নয়। তুই এখনো জানিসই না যে ছেলেটা আছে কী নেই!"
পৃথা চমকে তাকালো চেঁচিয়ে উঠল,
"ইরা।"
পৃথার ঠোঁট কাঁপছে। ইরার এই কথাটা বলতে মুখেও আটকালো না!
ইরা নিজের মুখ সংবরণ করার চেষ্টায় বোঝানোর ভঙ্গিমায় বলল,
"না মানে এমনও তো হতে পারে যে ছেলেটা বিয়ে করে ফেলেছে। আর তার চেয়ে বড়ো কথা, সে কী তোকে আদৌ ভালোবাসতো? একটা চরিত্রের প্রেমে পড়েছিস। সেটার জন্য দীর্ঘ চারটা বছর কেউ অপেক্ষা করে না। এইবার বেরিয়ে আয়।"
"আমার পরিবার থেকে কে ফোন করেছে ?" পৃথার শান্ত কথায় ইরা নড়েচড়ে বসলো। সে এদিক ওদিক তাকালো। তার মানে অনু সব বুঝে গিয়েছে। তবু সে না বোঝার ভঙ্গিমায় শুধালো,
"মানে?"
"মানেটা তো তুইই জানিস। "
Негізгі бет ||পাহাড়ের_কোল_ঘেঁষে
Пікірлер: 2