#Partner_agreement_did
বিসমিল্লাহীর রাহমানির রাহিম
“অংশীদারী চুক্তিপত্র দলিল”
মোহাম্মদ কামরুল হাসান আলমাছ, পিতাঃ মৃত সারোয়ার হোসেন চান্দে আলী, মাতাঃ মৃত মোসাঃ আনোয়ারা বেগম, জন্ম তারিখঃ ১৭-০২-১৯৭৬ ইং, সাং-৫/১ বি, উত্তর পাইকপাড়া, ডাকঘরঃ মিরপুর-১২১৬, মিরপুর, ঢাকা। ধর্মঃ ইসলাম, পেশাঃ ব্যবসা এবং জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী।
--- প্রথমপক্ষ - অংশীদার।
এবং
মো: সামছুল আলম, পিতাঃ মৃত মো: কিয়ামুদ্দিন, ঠিকানা: ৮০/১০, এ, মধ্য পাইকপাড়া, মিরপুর, ঢাকা।ম । ধর্মঃ ইসলাম, পেশাঃ ব্যবসা এবং জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী।
---দ্বিতীয়পক্ষ-অংশীদার
এবং
মমতাজ খাতুন, স্বামী ঃ আফজাল হোসেন, মাতাঃ লতিফা বেগম, জন্ম তারিখঃ ০১/০১/১৯৮৩ ইং, মদিনা প্যালেস, বাসা নং-৪১৯/৪২০, দক্ষিণ মনিপুর, মিরপুর-০২, ঢাকা-১২১৬। ধর্মঃ ইসলাম, পেশাঃ ব্যবসা এবং জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। মোবা:
--- তৃতীয়পক্ষ - অংশীদার।
যেহেতু পক্ষগন পরস্পর পূর্ব পরিচিত হওয়ায় পারস্পরিক সমঝোতা ও ঐক্যমত্যে যৌথভাবে অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে ব্যবসা-বানিজ্য পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহন করিয়াছেন।
এবং যেহেতু ভবিষ্যতে উক্ত অংশীদারী ব্যবসা-বানিজ্য পরিচালনা, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং সকল অংশীদারের দায়-দায়িত্ব বিভাজন ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অধিকারাদি সংরক্ষন ইত্যাদি বিষয়ে আইনানুগ ভাবে লিখিত দলিল আবশ্যক হইয়া পড়ায় পক্ষগন লিখিত ভাবে একখন্ড “অংশীদারী চুক্তিপত্র দলিল” সম্পাদনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করিয়াছেন।
সেহেতু, এক্ষনে, পক্ষগন পারস্পরিক প্রস্তাব-সমর্থন, আলাপ-আলোচনা ও সমঝোতায় সর্ব সম্মতভাবে অংশীদারী ব্যবসায়ের অত্র লিখিত চুক্তিপত্র দলিল সম্পাদনে পক্ষগন একক ও যৌথভাবে সর্বসমক্ষে স্বীকার, অঙ্গীকার, ঘোষনা, প্রকাশ ও প্রচার করিতেছেন যে ঃ
১। অংশীদারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা ঃ অত্র চুক্তিপত্র দলিল বলে প্রতিষ্ঠিত অংশীদারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম হইবে “রসের ফোটা মিষ্টির সৃষ্টি” এবং ইহার প্রধান ঠিকানা হইবে সাং- দোকান নং-০২, ন্যাশনাল স্কুল মার্কেট, মিরপুর-০২, ঢাকা-১২১৬।
২। ব্যবসায়ের প্রকৃতি ঃ অত্র অংশীদারী ব্যবসায়ের প্রকৃতি হইবে প্রধানতঃ মিষ্টি, দুগ্ধ ও বেকারী জাতীয় পন্য বিক্রয় ও প্রদর্শন এবং তৎসংশ্লিষ্টে আনুষঙ্গিক কার্যাদি ও ব্যবসা-বানিজ্য পরিচালনা সহ যখন যে ব্যবসা উপযোগী, লাভজনক, সুবিধাজনক ও আইনানুগ বলিয়া অংশীদারগন বিবেচনা করিবেন তাহা অত্র অংশীদারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে একক বা অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ ভাবে পরিচালনা করিতে পারিবেন।
চলমান পাতা-২
৭। হিসাব চুড়ান্তকরণ ও লাভ-লোকসান বন্টনঃ প্রতি অর্থ বৎসর শেষে অত্র অংশীদারী ব্যবসায়ের বার্ষিক হিসাব চুড়ান্ত হইবে। প্রত্যেক ইংরেজী বর্ষের জানুয়ারী মাসের প্রথম দিন হইতে ডিসেম্বর মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত সময়কে অত্র প্রতিষ্ঠানের এক অর্থ বৎসর গণ্য করা হইবে এবং ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে উক্ত অর্থ বর্ষের যাবতীয় আয়-ব্যয়, লেন-দেন, দেনা-পাওয়া, সম্পদ ও দায় ইত্যাদি ও হিসাব বিবরনী প্রস্তুত পূর্বক সকল অংশীদারের যৌথ স্বাক্ষরে চুড়ান্ত হইবে এবং যৌথ সিদ্ধান্তে ইহার লাভ-লোকসান হিস্যানুপাতে বন্টিত হইবে।
তবে উপরোক্ত ৫ (গ) নং শর্তাধীনে অংশীদার পক্ষগণের গৃহিত সিদ্ধান্তে অন্তবর্তী সময়ে অংশীদার পক্ষগণ অংশীদারী প্রতিষ্ঠানের তহবিল হইতে নির্ধারিত সম্মানীভাতা ব্যতিত কোনরূপ অগ্রীম অর্থ গ্রহন করিয়া থাকিলে তাহা বার্ষিক হিসাব চুড়ান্তকালে পক্ষগনের স্ব-স্ব প্রাপ্ত লাভ-লোকসানের সহিত সমন্বিত হইবে।
(চলমান পাতা-৩)
৮। হিসাব পরিদর্শন ও নিরীক্ষা:
অত্র অংশীদারী চুক্তির পক্ষগন যখন ইচ্ছা অংশীদারী ব্যবসায়ের হিসাব পরিদর্শন করিতে পারিবেন। তবে সকল অংশীদারের যৌথ স্বাক্ষর ব্যতীত কোন হিসবা-ই চুড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবেনা। অত্র অংশীদারী ব্যবসায় কোন হিসাব সম্পর্কে অংশীদার পক্ষগণের মধ্যে কোনরুপ দ্বি-মত, বিতর্ক বা বিরোধ দেখা দিলে সকল অংশীদারের যৌথ মনোনীত তৃতীয় যেকোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিরোধীয় বিষয়ের নিরীক্ষক নিয়োগ করা যাইবে।
৯। অংশীদারী প্রতিষ্ঠানের নামে ঋন গ্রহনঃ সকল অংশীদারের যৌথ সিদ্ধান্ত ক্রমে ব্যবসায়িক কারনে আবশ্যকয়ি ক্ষেত্রে যেকোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক হইতে অত্র অংশীদারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে যেকোন অংকের ঋন, অগ্রিম, চলতি মূলধন ইত্যাদি গ্রহন করিতে পারিবেন কিংবা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বন্ধক ও দায়বদ্ধ করিতে পারিবেন এবং এনরুপ ক্ষেত্রে সকল অংশীদার মূলধনের সমহারে যৌথ ও এককভাবে দায়ী থাকিবেন।
১০। অংশীদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ব্যক্তিগত জামানত : অত্র অংশীদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসয়িক স্বার্থে আবশ্যকীয় ক্ষেত্রে কোনরূপ সম্পত্তির কিংবা ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা প্রয়োজন হয়ে পড়লে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অংশীদার পক্ষগণ মূলধনের সমহারে অর্থ বা ব্যক্তিগত জামানাত প্রদান করিবেন।
(চলমান পাতা-৪)
১৫। আইনের প্রাধান্যঃ অত্র দলিলবলে অংশীদারী আইনের অধীনে প্রণীত ও গৃহীত হইল এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে উক্ত আইনের বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।
এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুস্থ শরীরে ও মনে অন্যের কোনরুপ প্ররোচনা ব্যতিরেকে আমরা সকল অংশীদার আমাদের প্রতিষ্ঠিত “রসের ফোট মিষ্টির সৃষ্টি” নামে পরিচালিত ব্যবসায়ের সুবিধার্থে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে অত্র অংশীদারী দলিল নিজেদের কথামত লিখাইয়া, পাঠ করিয়া ইহার মর্মার্থ সম্যক বুঝিয়া ও উপলব্ধি করিয়া উপস্থিত স্বাক্ষীগণের সম্মুখে নিজ নিজ নাম স্বাক্ষরে অত্র দলিল সম্পাদন করিলাম।
ইতি তাং-
অত্র অংশীদারী দলিল মোট .............(...........) পাতায় কম্পোজকৃত এবং ০৩ (তিন) জন স্বাক্ষী বটে।
স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষর, নাম ও ঠিকান:
১। (প্রথম পক্ষের স্বাকর)
২। (দ্বিতীয় পক্ষের স্বাক্ষর)
৩। (তৃতীয় পক্ষের স্বাক্ষর)
Негізгі бет Partner agreement / অংশীদারী ব্যবসার দলিল পত্র কিভাবে লেখবেন, তার নমুনা কপি।
Пікірлер: 50