#ঋষি__অষ্টাবক্র #উপনিষদের গল্প@rkmnewtown.Swami_Harimayananda
অষ্টাবক্র (সংস্কৃত: अष्टावक्रः, আইএএসটি: Aṣṭāvakraḥ) হল হিন্দুধর্মের একজন বৈদিক ঋষি। তার নামের আক্ষরিক অর্থ হল "আটটি বিকৃতি", যে আটটি শারীরিক বিকৃতির নিয়ে তিনি জন্মগ্রহন করেছিলেন। বৈদিক ঋষি অরুণী তার মাতামহ, তার বাবা-মা দুজনেই অরুনীর দর্শনের ছাত্র ছিলেন। অষ্টাবক্র হিন্দু ইতিহাস মহাকাব্য ও পুরাণের বিখ্যাত চরিত্র হয়েছিলেন।[৩]
অষ্টাবক্র হলেন অষ্টাবক্র গীতার লেখক, যা হিন্দু ঐতিহ্যে অষ্টাবক্র সংহিতা নামেও পরিচিত। পাঠ্যটি ব্রহ্ম ও আত্মার উপর একটি গ্রন্থ।[৪]
জন্ম
উদ্দালক-কন্যা সুজাতা ও উদ্দালক-শিষ্য কহোড়ের পুত্র। অষ্টাবক্র মাতৃগর্ভেই বেদজ্ঞান লাভ করেছিলেন। একদিন বেদপাঠরত কহোড়কে তিনি মাতৃগর্ভ থেকেই বলেন যে, কহোড়ের বেদপাঠ ঠিক হচ্ছে না। মহর্ষি কহোড় তাতে ক্রুদ্ধ হয়ে গর্ভস্থ পুত্রকে শাপ দিলেন যে, তার দেহ অষ্টস্থানে বক্র হবে। অষ্টাবক্র তখনও ভূমিষ্ঠ হন নি ওঁর পিতা অর্থোপার্জনের আশায় জনক রাজার কাছে যান। সেখানে বন্দী নামে এক পণ্ডিত থাকতেন,যাঁর সঙ্গে তর্কে পরাস্ত হলে রাজ আজ্ঞায় পরাজিতদের জলে ডুবিয়ে দেওয়া হত। কহোড় তর্কে বন্দীর কাছে পরাস্ত হওয়ায় তারও সেই গতি হল। অষ্টাবক্র শিশু অবস্থায় জানতেন না যে, তার পিতার মৃত্যু হয়েছে - তিনি উদ্দালককেই পিতা বলে জানতেন।
পিতাকে উদ্ধার
বালক বয়সে তিনি যখন মাতা সুজাতার কাছে পিতার মৃত্যুর কারণ জানতে পারলেন,তখন তিনি মাতুল শ্বেতকেতুকে নিয়ে জনক রাজার কাছে গেলেন। সেখানে বন্দীকে তর্কে পরাস্ত করে তিনি বললেন যে, বন্দী যেরকম পরাজিত ব্রাহ্মণদের জলে ডুবিয়েছিলেন,এবার সেই ভাবে বন্দীকে জলে ডোবানো হোক। বন্দী তখন নিজেকে বরুণের পুত্র বলে পরিচয় দিয়ে বললেন যে, তিনি ব্রাহ্মণদের জলের মধ্যে পিতা বরুণের যজ্ঞ দেখতে পাঠিয়েছিলেন। তারা এখন সবাই ফিরে আসবেন। তবে উনি অষ্টাবক্রের সম্মানে জলের মধ্যে অন্তর্ধান করে পিতার সঙ্গে মিলিত হবেন। কহোড় ও অন্যান্য ব্রাহ্মণরা ফিরে এলে বন্দী সমুদ্রে প্রবেশ করলেন। কহোড় পুত্র গর্বে পরম প্রীত হয়ে অষ্টাবক্রকে একটি নদীতে প্রবেশ করতে বললেন। সেই নদী থেকে উঠতেই অষ্টাবক্রের দেহ আর বক্র রইলো না।[৫] উক্ত স্থানে তিনি শিবের উপাসনা করেন এবং ওই শিব মূর্তির নাম হয় বক্রনাথ ও স্থানের নাম হয় বক্রেশ্বর।
বিবাহ
Негізгі бет #ঋষি__অষ্টাবক্র
Пікірлер: 311