শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা - যথার্থ গীতা - ষষ্ঠ অধ্যায় - অভ্যাস যোগ
শ্রী কৃষ্ণ যে কালে গীতার উপদেশ দিয়েছিলেন, সেই সময় তাঁর মনোগত ভাব কি ছিল? মনোগত সমস্তভাব ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। কিছু প্রকাশ হয়, কিছু ভাব-ভঙ্গিমা দ্বারা ব্যক্ত হয় ও বাকী পর্যাপ্তটা ক্রিয়াত্নক। কোন পথিক সে পথে চলেই তা জানতে পারেন। শ্রীকৃষ্ণ যে স্তরে ছিলেন, ক্রমশঃ চলে সেই অবস্থা প্রাপ্ত মহাপুরুষই জানেন যে, গীতার উপদেশ কি বলে! তিনি শুধু গীতার পঙ্তিগুলিই পুনরাবৃত্তি করেন না, পরন্তু সেগুলির ভাবও ব্যক্ত করেন, কারণ যে দৃশ্য শ্রীকৃষ্ণের সমক্ষে ছিল, সেই দৃশ্যই বর্তমান মহাপুরুষের সমক্ষেও, সেইজন্য তিনি দেখছেন, দেখিয়ে দেবেন; আপনার অন্তরে জ্রাগ্রতও করে দেবেন, সেই পথে পরিচালনাও করবেন।
‘পূজ্য শ্রী পরমহংসজী মহারাজ’ও সেই স্তরেরই মহাপুরুষ ছিলেন, তাঁর বাণী ও অন্তঃপ্রেরণা থেকে গীতাশাস্ত্রের যে অর্থবোধ হয়েছে, তারই সঙ্কলন ‘যথার্থ গীতা”।
স্বামী অড়গড়ানন্দ
Негізгі бет শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা - ষষ্ঠ অধ্যায় - অভ্যাস যোগ
Пікірлер