কিয়ামতের দিন প্রতিটি কথার জবাব দিতে হবে, পৃথিবীতে তুমি কি কাজ করেছো!! সেদিন তোমার হাত সাক্ষ্য দিবে, পা সাক্ষ্য দিবে, চক্ষু সাক্ষ্য দিবে!! এভাবে জিকির করে কি জান্নাত পাওয়া যাবে ?? জান্নাত কি এতই সহজলভ্য ?? জিকির হলো একটা ইবাদত। জিকির করলে মন হালকা হয়, আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করা যায়। জিকির করবেন একাকী, একান্তমনে এবং নিঃশব্দে। কিন্তু জিকিরের নামে বিভিন্ন জলসায় এগুলো কি হচ্ছে ?? জিকিরের নামে এরা যা করছে তা, ইসলাম ধর্মের জন্য ফেতনা স্বরুপ, এরা ইসলাম ধর্মকে ভন্ডামীতে পরিনত করছে, হাসির পাত্র বানাচ্ছে। আচ্ছা বলুনতো, আপনারা যারা এভাবে জিকির করছেন; আপনী কি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, বিধান মোতাবেক রোজা রাখেন ? আপনী কি পিতা-মাতা, ভাই-বোনের হক্ব আদায় করেন ? আপনী কি এতিম, দুঃস্থ, অসহায় ও মোসাফির মানুষকে টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করেন ? আপনী কি হারাম-হালাল মেনে চলেন ? আপনী কি সর্বদা সত্য কথা বলেন, মিথ্যা বর্জন করেন ? আপনী কি সূদ, ঘুষ ও দূর্নীতিকে ঘৃনা করেন ? যদি আল কোরআনের এই নির্দেশনাগুলি মেনে চলেন, তাহলে আপনার জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী জান্নাত লাভের নিশ্চয়তা। ইসলাম একটা সহজ, সরল ও সত্য ধর্ম। এরা যা করছে, তা সম্পুর্ন ইসলাম ধর্ম বিরোধী কাজ। মহাগ্রন্থ আল কোরআনে এভাবে উচ্চস্বরে জিকিরের কোন উল্লেখ নেই। আমাদের নবী মুহাম্মদ (সঃ) কি এভাবে জিকির করতেন কিংবা এভাবে ইসলাম প্রচার করতেন ?? কখনই না। আহারে, মানুষ টাকা ইনকামের জন্য কতো নীচে নেমেছে!! ধর্মকে পুঁজি করে তারা টাকা ইনকাম করছে!! এরা পরকালকে ভয় করে না, জাহান্নামকে ভয় করে না!! জাহান্নাম, সেটা কতোই না নিকৃষ্টতম স্থান। আল কোরআনের জ্ঞানগর্ভ আলোচনা পরিত্যাগ করে, তারা আজ ইসলামের মূলধারা হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আল কোরআনের নির্দেশনা মেনে চললে ইহকালে শান্তি ও পরকালে রয়েছে জান্নাত লাভের নিশ্চয়তা। কিন্তু ইসলামের লেবাস পড়ে, এরা আজ কি করছে ?? শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। শয়তান এদের পথ প্রদর্শক হয়ে কাজ করছে। শয়তানের চ্যালেন্জ এখানে সার্থক হয়েছে।
Пікірлер: 117