স্বামী বিবেকানন্দ, সপ্ত ঋষির এক ঋষি- পর্ব-দুই : বক্তা: সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়।#Sanjib chattopadhyay speech#
মহামানবের মহাজীবনের চিরপ্রস্থান! জীবনের স্প্যানটা কত দিনের? খুব বেশি কি? মোটেই নয়। তিনি এই পৃথিবীতে আমাদের মধ্যে সশরীরে ছিলেন মাত্র উনচল্লিশ বছর ছ মাস চব্বিশ দিন। কিন্তু স্বল্পায়ু এই মানুষটি কয়েকটি বছরে লিখে ফেলেছিলেন এক সুবৃহৎ ইতিহাস। তরোয়ালের প্রভূত্ব, স্বৈরাচারি রাষ্ট্রনায়ক, তাঁর অস্ত্রের দম্ভে যা কস্মিনকালেও করতে পারেন নি বা পারবেন না, সেই মহামানব গুরু ও গুরুমায়ের আশীর্বাদ এবং স্রেফ নিজের সাধনা,দয়া, মায়া , সেবা দিয়ে জয় করেছিলেন সমগ্র পৃথিবীর মানুষের মন। এই কাজে তাঁর পাশে কে ছিলেন? ছিলেন তাঁর আধুনিক গুরু শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, শ্রীমা, তাঁর গুরু ভ্রাতারা, সিস্টার নিবেদিতা ও অল্পকয়েকজন গুণমুগ্ধ ভক্ত মানুষ। তাই তো তিনি আজও আমাদের মনে চির ভাস্বর, চির অমলিন, তিনি আমাদের সিমলে পাড়ার নরেন্দ্রনাথ দত্ত থেকে স্বামী বিবেকানন্দে উত্তীর্ণ হওয়া এক মহামানব। আমাদের বড় আপন জন, বড় কাছের মানুষ। ঠাকুরের কথায় সপ্তঋষির এক ঋষি। সাধক, সেবক স্বামী বিবেকানন্দ।
বজ্রের মতো কঠোর এই মহামানব তাঁর গুরু নির্বাচনের ব্যাপারেও ছিলেন বেজায় খুঁতখুঁতে। রীতিমতো কষ্ঠিপাথরে ঘসে তিনি যাঁকে গুরু হিসেবে বরণ করবেন সেই মানুষটি আদৌ সোনা, না সোনালি রঙের ঝুটাপাথর তা যাচাই করেছিলেন। কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছিল গুরু শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেবকে। সেই পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়ে তারপর তিনি স্থায়ী আসন পেতেছিলেন তাঁর পুত্র ও শিষ্য নরেনের হৃদয়ে।
মানুষের এবার বিবেক জাগ্রত হোক, চৈতন্য হোক তোমাদের। গঠিত হল ‘রামকৃষ্ণের ফৌজ’।
জাগতিক যা কিছু সব হরণ করব , আমি রামকৃষ্ণ, নরেন্দ্র আমার সারথি। নরেন্দ্রনাথের রামকৃষ্ণ সাধনা, লক্ষ্য বিশ্বের কল্যাণ। স্বামী বিবেকানন্দের সংগ্রাম। আলো, আলো, আলো প্রভু! জ্বালাও আরও আলো।
★ ছবি: সন্ধ্যারতির পর বেলুড় মঠ ,বেলুড় মঠে স্বামী বিবেকানন্দের পুণ্য স্মৃতিধন্য গৃহখানি।ছবি: অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়।
Apurba Chatterjee, apuch1964@gmail.com , facebook.com/apurba.chatterjee.313?mibextid=ZbWKwL,@apurba1964।
★Subscribe to us: sanjibani sudha,
Негізгі бет স্বামী বিবেকানন্দ,সপ্ত ঋষির এক ঋষি-পর্ব-দুই :বক্তা:সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়।
Пікірлер: 33