মহাভারতের দেবী দুর্গার উপাসনার কথা প্রথম পাওয়া যাচ্ছে বিরাট পর্বে। যুধিষ্ঠির পাশা খেলায় হেরে যাওয়ার পর শর্ত মতোই রাজ্য, সম্পদ সব হারিয়েছিলেন তাঁরা। সঙ্গে যোগ হয়েছিল বারো বছরের বনবাস এবং আরও এক বছরের অজ্ঞাতবাস। এই অজ্ঞাতবাস কালে কেউ তাঁদের খোঁজ পেলে আরও বারো বছরের জন্য বনবাসে যেতে হবে তাদের। কিন্তু এভাবে তো অনন্তকালের জন্য এই প্রথা চলতে পারে না। বনবাসের সময় শেষ হলে পঞ্চপাণ্ডব অজ্ঞাতবাসের জন্য নির্বাচন করেন বিরাটনগরকে। কিন্তু সেই রাজ্যে যাওয়ার আগে মুনিরা যুধিষ্ঠিরকে উপদেশ দেন, দেবী দুর্গার কাছে অজ্ঞাতবাসের সাফল্য কামনা করার জন্য। সেইমতো দেবীর আরাধনা করেন জ্যেষ্ঠ পাণ্ডব। স্তব করেন, ‘দুর্গাৎ তারয়সে দুর্গে তৎ ত্বং দুর্গা স্মৃতা, জনৈ’। যুধিষ্ঠির দুর্গার যে রূপের স্তব করেছিলেন, তিনি চতুর্ভুজা, চতুর্বক্তা ও সিংহারূঢ়া। এই দেবী অতসী বর্ণের, সুচারুদশনাও। চোখ নীল পদ্মের মতো গভীর ও সুন্দর। আমাদের পূজিতা দেবীর মতো পাণ্ডবদের উপাস্য এই দেবীরও সৃষ্টি হয়েছিল দেবতাদের দেহনিঃসৃত পুঞ্জীভূত তেজ থেকেই। মহিষমর্দিনীর ঘোর রূপের উপাসনা করেছিলেন যুধিষ্ঠির। তাঁর স্তবে সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে রাজ্য ফিরে পাওয়ার বরও দিয়েছিলেন দেবী। এই স্তব পাঠ করলে সবরকম বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যেকোনো শুভ কাজ শুরু করার আগে সেই কাজ নির্বিঘ্নে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য এই স্তুতি পাঠ করা একান্ত কর্তব্য। মা দুর্গা আপনাদের সকলের সহায় হোন। সকলে খুব ভালো থাকুন।
আমাদের সনাতন ধর্মের শক্তির কথা প্রচার করে মানুষের জীবনকে সুন্দর ও সুখী করার উদ্দেশ্যে ব্রতী হয়ে আমরা এই চ্যানেলটি এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া আমরা অসম্পূর্ণ। তাই আমাদের কনটেন্ট আপনাদের ভালো লাগল অবশ্যই চ্যানেলটি subscribe করে notification Bell all করে রাখবেন। ব্যক্তিগত ভাবে পছন্দ ভিডিও গুলি শেয়ার করে আপনার আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে ছড়িয়ে দিন। লাইক করে আমাদের বাধিত করুন। ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলে খুব ভালো থাকুন।
Негізгі бет ।। Shree Durga Stuti ।। মহাভারতের বিরাট পর্বে যুধিষ্ঠির কৃত দুর্গাস্তুতি ।।विराटपर्वणी दुर्गा स्तुति
No video
Пікірлер: 2