খয়রাশোল গঙ্গারামচক কয়লাখনি বিস্ফোরণ ২০২৪ - অতীত ও বর্তমান-
৭ই অক্টোবর ২০২৪ খয়রাশোল ব্লক অন্তর্গত গঙ্গারামচক কয়লাখনিতে বীভৎস বিস্ফোরণে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে বেশীর ভাগ কয়লাখনি থেকে কয়েক মিটার দূরে অবস্থিত বাস্তবপুর সাঁওতাল পল্লীর বাসিন্দা। প্রত্যাশিত ভাবে বিস্ফোরণের খবর বিভিন্ন সংবাদে প্রকাশিত হলেও এত বড় মর্মান্তিক ঘটনা অন্যান্য সাধারন খবরের মতো একটি খবর হয়েই হারিয়ে গেল। সামাজিক মাধ্যমেও তাঁর কোন চর্চা দেখি না। এত মানুষের প্রানহানির জন্য দায়ী কে? ব্লাস্টের জন্য খনি কর্মীদের যে প্রশিক্ষণ বা সুরক্ষা কবজ দেওয়া প্রয়োজন সেটা কি আদৌ ছিল সেদিন ? মৃতের পরিবারকে কয়েক লক্ষ টাকা বা চাকুরি দিয়েই কি প্রশাসন বা মাইন কোম্পানি তাঁদের দায়িত্ব এড়াতে পারে? এই সকল প্রশ্নের উত্তর আমাদের কাছে নেই।
এই বিস্ফোরণে যে গ্রামের মানুষ সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত সেই বাস্তবপুর গ্রামের সঙ্গে সম্পর্ক চাকুরি সূত্রে। যে পঞ্চায়েতের অধিনে সেই গ্রাম ও কয়লাখনি অবস্থিত সেই নাকড়াকোন্দা পঞ্চায়েতে আমি কয়েক বছর এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করেছিলাম। কর্মরত থাকালীনই খনি তৈরি প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়। কয়লাখনি শুরুর ফলে গ্রামীন জীবন ও অর্থনীতি উন্নয়নে কতটুকু সহায়ক হবে সে বিষয়ে পুরো ধারনা না থাকলেও স্থানীয় আদিবাসীদের জীবনযাত্রার উপর যে তাঁর এক গভীর বিরুপ প্রতিক্রিয়া পড়বে সে বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ ছিল না। খনির নিক্টস্থ গ্রামবাসীদের কি কি দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক, ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক সমস্যা হতে পারে তাঁর উপর সেই সময় একটি গবেষণামূলক প্রতিবেদন তৈরী করেছিলাম। সরকারি কর্মী থাকার কারনে তখন সেই প্রতিবেদন কোন পত্রিকা বা সেমিনারে প্রকাশ করতে পারিনি। চাকুরি থেকে ইস্তফা দিয়ে যখন সেই গ্রামে ফিরে যায় তখন খনির কাজ জোর কদমে শুরু হয়েছে। আমার প্রতিবেদনের প্রাসঙ্গিকতাও হালকা হওয়ার ফলে সেটি কম্পিউটারের হার্ডড্রাইভেই পড়ে ছিল।
সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার ফলে আমার সেই প্রতিবেদনটি যে এই ভাবে প্রাসঙ্গিক হবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি। বিস্ফোরণে মৃত্যুর অনেক পরিবার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে, তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সেই প্রতিবেদনের কিছুটা অংশ শেয়ার করলাম।
_______________
Негізгі бет The plight of two Santal villages in Birbhum district: Pre coal mine tragedy in October 2024
Пікірлер: 2