নমস্কার, বঙ্গ সংস্কৃতিতে আপনাদের সকলকে স্বাগত। আজকে আপনাদের দর্শন করাব শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর দ্বিতীয় কলেবর শ্রী শ্রী শ্রীনিবাস আচার্য প্রভুর লীলাভূমি যাজিগ্রাম। যা কাটোয়া থেকে তিন কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। কবি শ্রীনিবাস আচার্য একজন প্রধান বৈষ্ণব আচার্য ছিলেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৫১৬ সালে নদীয়ার চাকুন্দী গ্রামে। পিতা গঙ্গাধর ভট্টাচার্য ওরফে চৈতন্যদাস এবং মাতা লক্ষীপ্রীয়া দেবী। মাতামহ ছিলেন যাজিগ্রামের বলরাম আচার্য। মাএ সাত বছর বয়সে পিতৃবিয়োগ হলে তিনি মায়ের সাথে যাজিগ্রাম চলে আসেন। ভনিতাযুক্ত পদগুলি শ্রীনিবাস আচার্যের রচিত বলে মনে করা হয়। অল্প বয়সে তিনি নানান গ্রন্থে পারদর্শী হয়ে ওঠেন। এই সময় তার সাক্ষাৎ হয় শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর পরিকর ও সহকর্মী নরহরি সরকার এর সাথে এবং তার পরেই গৌরাঙ্গ প্রেমে হয়ে অধ্যয়ন ছেড়ে গৃহত্যাগ করেন চৈতন্যদেবের সাথে সাক্ষাৎ এর বাসনায়। তাবে তার সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি। কারন পথেই তিনি জানতে পারেন যে চৈতন্যদেব অপ্রকট হয়েছেন। তিনি মর্মাহত হয়ে জগন্নাথ দেব ও মহাপ্রভুর লীলাভূমি দর্শন করে গৃহে ফিরে নবদ্বীপে গিয়ে চৈতন্য পত্নী বিষ্ণুপ্রিয়া ও তার অভিভাবক বংশীবদন ঠাকুরের সাথে দেখা করেন। প্রধান বৈষ্ণব আচার্য হবার পাশাপাশি তার কাছে বিষ্ণুপুরের মল্লরাজ বীর হাম্বির এর শিষ্যত্ব গ্রহণের কাহিনী খুবই বিখ্যাত ও হৃদয়স্পর্শী। নিত্যনন্দ দাস রচিত প্রমবিলাস ও নরহরি চক্রবর্তী রচিত ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থ থেকে জানা যায় শ্রীনিবাস ও অন্যান্য ভক্তরা বৃন্দাবন থেকে গৌড় যাএা পথে বন বিষ্ণুপুরের রাজা বীর হাম্বির এর প্রেরিত দস্যুদল দ্বারা লুন্ঠিত হন। পরে তার রাজ সভায় শ্রীনিবাসের ভাগবত পাঠ শুনে তিনি বৈষ্ণব ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন এবং স্বস্তৃক শ্রীনিবাস আচার্যের শিষ্যস্ত গ্রহণ করেন। শ্রীনিবাস আচার্য তাকে বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষিত করেন। এরপর থেকে রাজা বীর হাম্বির বৈষ্ণব ভাবধারায় জীবন অতিবাহিত করেন।
your quire's
#burdwan
#katwa
#historicalplaces
#travel
#vlog
#love
#minivlog
#tranding
#viralvideo
#everyone
#sripat_jajigram
#যাজিগ্রাম
#জাজিগ্রাম
#শ্রীনিবাস_আচার্য
srinivasa_acharya
#sripat_of_srinivasa
Негізгі бет শ্রীপাট যাজিগ্রাম
Пікірлер: 4